• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
টয়লেট থেকে ২ বছর পর উদ্ধার সুজিত
টয়লেট আটক মানসিক প্রতিবন্ধী সুজিত দাসকে (৩২) পুলিশ উদ্ধার করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। সুজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কাশিপাড়া গ্রামের মৃত হরেন্দ্র দাসের ছেলে। গত দুই বছর নিখোঁজ ছিলেন তিনি।  সম্প্রতি থানা থেকে ২শ’ গজ দূরে তাদের বাড়ির নোংরা টয়লেটে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করেছেন নাসিরনগর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন সুজিত যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন, সে কারণে নিজেদের ও অন্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে টয়লেটে আটকে রাখা হয়।  পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জেলে পরিবারে জন্ম নেওয়া সুজিত নিয়মিত নদীতে মাছ ধরতেন। সেই মাছ বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। এক সময় হঠাৎ সুজিত নিখোঁজ হয়ে যায়। এলাকায় দীর্ঘদিন সুজিতের দেখা মেলে না। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। অনেকে ধারণা করেন, সুজিত হয়তো বেঁচে নেই। আবার কেউ কেউ বলতে থাকেন হয়তোবা কোনো কারণে সুজিত ভারতে চলে গেছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলের দিকে নাসিরনগর থানায় খবর আসে, থানা থেকে মাত্র ২ শত গজ দূরে সুজিতদের বাড়ির একটি নোংরা অন্ধকার টয়লেটের ভেতরে গত দুই বছর ধরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে সুজিতকে। টয়লেটের নিচের অংশে ছোট একটি ফাঁকা দিয়ে সুজিতকে মাঝে মধ্যে কিছু খাবার দেওয়া হয়। সুজিতও দিন-রাতে টয়লেটের ফ্লোরে থেকে ওই ফাঁকা দিয়ে বাহিরের দিকে চেয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। আর এভাবেই ওই টয়লেটের ভেতরে কেটে গেছে সুজিতের দু’বছর।  পুলিশ ওই টয়লেটের তালা ভেঙে ভেতর করে সুজিতকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছেন।  এ দিকে স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গত পাঁচ বছর আগে সুজিত একটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তখন থেকেই পাগলের প্রলাপ বকা, ভাঙচুর ও সামনে যে মানুষকে পেতেন তাকেই মারধর করতেন।  আবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সম্পত্তির জন্যই সুজিতকে এভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে।  যদিও সুজিতের মা আরতি রাণী বলেন, সুজিতের মাথায় সমস্যা থাকায় যাকে দেখে তাকেই মারধর করতো সে। মানসিক ভারসাম্যহীন আমার ছেলে। একটি হত্যা মামলার আসামিও সে। নিজেদের ও অন্য লোকজনের নিরাপত্তার জন্য টয়লেটে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছি।  এ বিষয়ে সুজিতের ভাই অনিল দাস প্রশ্ন রেখে বলেন, সুজিত যদি কাউকে হত্যা করে এর দায়িত্ব কে নেবে।  নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, টয়লেট থেকে একটি মানুষের শব্দ কানে ভেসে আসছে—এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। জানতে পারি, টয়লেটে সুজিত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে বন্দি আছে। যুবককে উদ্ধার করে আপাতত চিকিৎসা করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে পরিবার ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাল-মোবাইল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কমিটি, ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ!
আখাউড়ায় অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার
ব্যালটে ভুল প্রতীক, কুটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ব্যবহারে সুফল পাওয়ায় বাজারজাত করে বিক্রিও করা হচ্ছে এ সার। এর ফলে কমছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। রিজার্ভের এ সংকটে মুহূর্তে সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তৈরি হচ্ছে জলকমল নামে পরিচিত এ সার। এটি  সবুজ শাকসবজি চাষে ব্যবহারে হচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় বেকার যুবকদের। মূলত অতিরিক্ত কচুরিপানার ফলে জেলার নৌপথ সংকুচিত হয়ে আসছিলো। পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।   এই সার কীভাবে উৎপাদন হয়? প্রথমে নদী থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়। এরপর শেকড়ের অংশ কেটে দেড় টন পরিমাণ স্তূপ সাজনো হয়। ওই স্তুপে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২শ’ গ্রাম করে ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক ও চুন ছিটানো হয়। এভাবে ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে কচুরিপানার জৈবসার জলকমল। নবীনগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান বলেন, এই সার তৈরিতে সময় লাগে মাত্র দুই মাস। প্রাথমিকভাবে ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি প্ল্যান্ট থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদন করা যায়। নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, উপজেলায় এ জৈবসার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে ২৫ ভাগ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হচ্ছে। এ দিকে এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ১০টি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে প্রতিমাসে ৫০টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। 
কসবায় ছুরিকাঘাতে কৃষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় রাতের আধারে ছুরিকাঘাত করে হারুনুর রশিদ (৫০) নামের এক কৃষককে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তর্কের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মীমাংসা সভায় যাওয়ার পথে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় তার পরিবার।  নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।  পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।   শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।  এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত হারুন এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার খুনের ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।   নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদের বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছেন। চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছেন। মহল্লার রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি বার বার তিলের জমিতে পড়লে ফসলের ক্ষতির হওয়ায় হারুনুর রশিদ তাদেরকে বকা দিলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। আবদুল মান্নান আরও জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেন। আনু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। হারুনুর রশিদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুনুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট ভাই মো. জিলানী মিয়া বলেন, আমার ভাই একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন কাতারে ছিলেন। দুই বছর আগে কাতার থেকে একেবারে চলে এসে নিজের জমিতে কৃষিকাজ করতেন। পরিবারের কথা চিন্তা করে আবারও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। আগামী ৫ মে তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। কথা কাটাকাটির জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে মীমাংসার জন্য যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগরসহ কয়েকজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। খুনিরা এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে একটি সুস্থ মানুষকে খুন করবে এটা ভাবাও যায়না। মানুষ এমন নৃশংস কেমন করে হয়, এটা আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় কথা কাটাকাটি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলার জয় উদযাপন করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ইয়াকুব (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ইয়াকুব ওই এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।  এরমধ্যে গুরুতর আহত একজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন। তিনি বলেন, বিকেলে নরসিংসার গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া ও উত্তরপাড়ার মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া জয়লাভ করে। জয়লাভের পর তারা মাঠে আতশবাজি ফুটিয়ে জয় উদযাপন করছিল। এতে উত্তরপাড়ার কয়েকজন ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়ার খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হলে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইয়াকুব নামে এক যুবক নিহত হন এবং একজনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। 
ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপের নির্দেশ
ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন আমি ইতোমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার জন্য তিনি পৌর মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান।  মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের এক থেকে তিন নম্বরে থাকে। এ অবস্থায় আমরা কেউই শান্তিতে থাকতে পারবো না। ঢাকাসহ সারাদেশকে বাসযোগ্য রাখতে হলে দূষণ রোধ করতে হবে, শহরকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে হবে। জলাশয়গুলোর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।  মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আবাসন মানুষের খুবই কাঙ্ক্ষিত বিষয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আছেন তাদেরকেও নিজস্ব আবাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে  তিনি আশ্রায়ণ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন। তাদেরকে বিনামূল্য ঘরবাড়ি করে দিচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসিং হাউজিং প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নে সার্বক্ষণিক পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন ভুমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সরকারের এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর দূষণের শহর হয়ে গিয়েছে। এটি সুস্থভাবে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে।  আমি নির্বাচনের সময় শহরটিকে তিতাসের পূর্ব পাড়ে সম্প্রসারিত করার যে অঙ্গিকার করেছিলাম, সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। কুরুলিয়া খালের দক্ষিণ তীরে এপার্টমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।  মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমার বহুদিনের শ্রমের বিনিময়ে এলজিআরডি-এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে মেড্ডা থেকে শিমরাইল কান্দির কুরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে, আপনাদের দোয়া থাকলে শিগগিরই এটি পাশ হবে। চলতি বছরের মধ্যে শহরে শিশু পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আমরা করবো তবে এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা জনগণের সহযোগিতা ব্যতীত কোনো ধরনের উন্নয়ন সম্ভব নয়।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যবৃন্দ এবং ডিসি হাউসিং এর প্লট গ্রহীতাগণ উপস্থিত ছিলেন।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি হাউজিং সোসাইটির প্লট গ্রহীতাগণের মাঝে মন্ত্রী প্লটের দলিল হস্তান্তর করেন।  
‘এসটিপি প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না’
সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া নতুন কোন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।  অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 
গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, ওষুধের তীব্র সংকট
প্রচণ্ড গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাপদাহের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুদের গরমজনিত ডায়েরিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে শিশুদের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, বয়স্ক রোগীদের ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও শিশুদের ওষুধের সরবরাহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় অপরিহার্য স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন সিরাপ যেমন প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন সিরাপের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ওষুধ সংকটের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের সুচিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় গরমে অসুস্থতা প্রতিরোধে শিশুদেরকে খোলামেলা পরিবেশে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।