১১ মাস পর নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, আটক ৪
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় নিখোঁজের ১১ মাস পর জমিতে পুঁতে রাখা রফিকুল ইসলাম (৪৭) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মৃত রফিকুলের স্ত্রী রেহানা, পরকীয়া প্রেমিক মুহিদুল, ছেলে জসিম এবং রেহানার বোনের ছেলে শাকিলকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রানীরপাড়া এলাকায় ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমের পথের বাধা সরাতেই রফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার স্ত্রী রেহানা এবং পরকীয়া প্রেমিক মুহিদুল। ছেলেকে বাবার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিক ব্ল্যাকমেইল করে পক্ষে নিয়ে এসে বাবাকে হত্যার মতো ঘৃণ্য কাজে জড়িত করেন মা রেহানা।
ঘটনাচক্রে শাকিল জড়িয়ে যান। ঘটনার দিন মুহিদুল এবং জসিম ঘুমের ওষুধ এনে রাতের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রফিকুলকে খাইয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করার পর গলাটিপে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে চারজনই সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এরপর শাকিল, মুহিদুল এবং জসিম মরদেহটি ঘাড়ে করে রেললাইনের পাশে নিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ২০১৯ সালের জুন মাসে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগম সোনাতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে জানান তার স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। থানা পুলিশ প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত করেও রফিকুলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলো না।
সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যায় স্ত্রী রেহানা তার পরকীয়া প্রেমিক ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রফিকুলকে হত্যার পর তার মরদেহ বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি ওই ডায়েরির সূত্রে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রফিকুলের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আটক করা হয় রেহেনা, মহিদুল, রেহেনার ভাগ্নে শাকিল ও ছেলে জসিমকে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এজে
মন্তব্য করুন