ভুল নাম বা তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, দেশে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে গেছে। তারা যখন এ দেশে প্রবেশ করে, তার কিছুদিন পরেই সব রোহিঙ্গাদের দশ আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে রাখা হয়েছে। ভুল নাম বা ভুল তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না। আর তারা যাতে ভোটার হতে না পারে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগের মতো একজন একাধিকবার ভোটার হবার সুযোগ নাই। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক জেলায় প্রত্যেকটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেশের উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে।
ওই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী, পুলিশ সুপার আসমা খাতুন মিলি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির জব্বার বক্তব্য রাখেন।
পরে একজন নতুন ভোটার করানোর মাধ্যমে সিইসি ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার সারাদেশে ৮০ লাখ ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করার টার্গেট নিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে কমিশন। ১৩ মে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৭৮০টি কেন্দ্রে ভোটারদের তথ্য নিবন্ধন করা হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারণা ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২০০৩ সালের পহেলা জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেয়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া চার বছরের অগ্রিম তথ্য সংগ্রহ করে একটি পাইলট প্রজেক্ট করা হবে। তবে ১৮ বছরের আগে তারা পরিচয়পত্র পাবেন না।
ভোটার তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করার পাশাপাশি জন্মের পর থেকেই একজন নাগরিককে একটি ইউনিক নম্বর দেয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে পুন:মুদ্রণের ভোগান্তি কমাতে ১৯ জেলায় এনআইডি প্রিন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন