• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৯
বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিলেন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে সফি আলম (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তৈয়বের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ৮১নং ক্লাস্টারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সফি আলম (২৪)। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারে এনজিও থেকে এলপিজি গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল। এজন্য ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার সফি আলম তার পরিবারে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে কিছু গ্যাস অবশিষ্ট থেকে যাওয়ায়, নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার আশায় রুমের বাহিরে বারান্দায় তাদের ব্যবহৃত সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেয়। একই সময়ে ক্লাস্টার নং-৮১, পাশের রুম নং-ই/৭-এর আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন এবং অপর পাশে রুম নং-ই/০৫-এর আব্দুল হাকিমের মেয়ে শমসিদা গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সফি আলম ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে ক্লাস্টারের বিভিন্ন রুমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রান্নার আগুনের সঙ্গে মিশে রুম নং-৩,৫,৬,৭,৮ সহ বারান্দায় ও রুমে আগুন লেগে যায়। ফলে রোহিঙ্গা শিশু রবি আলম (৫), সোহেল (৫), রাসলে (৪), মুবাসিরা (৩) রশমিদা (৩) ও আমনো আক্তার (২৬) জুবায়দা (২৩) বশির উল্লাহ (১৭) সফি আলম (২৪) সহ আরো কয়কেজন অগ্নিদগ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সফি আলম সাবধান না থেকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করার কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আমাকে মেরে ফেলেন ভাই’
যে কারণে পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
রাজধানীতে পুলিশ ক্যাম্পে আগুন
যেকোনো দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
X
Fresh