• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নতুন ঘর পেয়ে খুশি গফুর 

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৬
ছবি : আরটিভি

সন্দ্বীপের মুছাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. গফুর। জরাজীর্ণ, ভাঙাচোরা আর জোড়াতালি দেয়া ঘরে স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং দুই মেয়ে নুর নাহার পলি ও মহিমাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসে ইরামন নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইরামন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে টিনের নতুন ঘর করে দেওয়া হয়।

নতুন ঘর পেয়ে গফুরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, একটু বৃষ্টি হলে আমার ঘরে পানি পড়তো। পলিথিন টানিয়ে পানিপড়া বন্ধ করতাম। রাতে আকাশে মেঘ দেখলেই ভয়ে থাকতাম, মনে হয় আজ সারারাত জেগে থেকে পানি সরাতে হবে। দুটি মেয়ে নিয়ে অনেক দুঃখে কষ্টে রাত পার করতাম। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতাম। মুন্না স্যারেরা আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই করে দিয়েছেন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আল্লাহ তাদের সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখুক।

ইরামন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মো. রুস্তম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে অসহায় গফুরের ভাঙ্গা ঘরে তার সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এমন সংবাদ দেখতে পেয়ে ইরামন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আকবর হায়দার মুন্না সাহেব আমাদেরকে ঘরটি করে দেয়ার নির্দেশ দেন।

আমরা তাদেরকে বসবাস উপযোগী একটি নুতন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সেই লক্ষ্যে গফুরের পরিবারের নিকট গৃহ নির্মাণের টিন ও কাঠসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করেছি। আজ ঘরটি পূর্ণাঙ্গ রূপে তৈরি করে পরিবারটির কাছে হস্তান্তর করে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের সামান্য সহযোগিতায় অসহায় পরিবারটির মুখে হাসি ফুটেছে। তাতে আমরা গর্ববোধ করছি। সমাজের সকল বিত্তবানরা এই সকল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ইরামন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকবর হায়দার মুন্না বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হত-দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমরা অসহায় ও দুস্থদের শিক্ষা-চিকিৎসায় সহায়তা ও বাসস্থান নির্মাণ করে দিয়ে থাকি। এর আগে গত বছরের জুনেও সন্দ্বীপের একটি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। সম্প্রতি আমরা খুলনার মংলা থানার মাদুর-পালটা গ্রামে চার সদস্যের একটি পরিবারকে বসতের, একই উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ছয় সদস্যের একটি পরিবারকে বসতের তৈরি করে দিয়েছি। ইরামন ফাউন্ডেশন আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের পাশেও দাঁড়ায়। গত বছরের এপ্রিলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার গড়কুমারপুর গ্রামে অন্তত ৪১টি পরিবারের জন্য নলকূপ স্থাপন করেছি।

তিনি আরও বলেন, ইরামন ফাউন্ডেশন এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টি নলকূপ (চাপকল) প্রতিস্থাপন করেছে। রংপুরে একসঙ্গে ৫ পরিবারকে এবং যশোরেও ঘর নির্মাণ করেছে। গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইরামন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা আকবর হায়দার মুন্না নিজে উপস্থিত থেকে ঘর হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অ্যাডমিন ম্যানেজার আকবর হোসেন, এম কে মিশন, মো. রুস্তম, ইরামন ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য আবির, জয়, ফরহাদ, এমিলসহ টিম কম্ফিটের খেলোয়ারবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সন্দ্বীপে শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ 
সন্দ্বীপে বিদেশি মদসহ অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার 
সন্দ্বীপে রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে খাসজমির মাটি 
সন্দ্বীপে যাত্রী বোটে ডাকাতি
X
Fresh