• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাইনবোর্ড লেখা ‘ভিক্ষুকমুক্ত যশোর পৌরসভা’, অথচ ভিক্ষুকের অভাব নেই

  ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১২:১৪
সাইনবোর্ড লেখা ‘ভিক্ষুকমুক্ত যশোর পৌরসভা’, অথচ ভিক্ষুকের অভাব নেই
ফাইল ছবি

যশোর পৌর এলাকার প্রবেশমুখেই চোখে পড়ে ‘ভিক্ষুকমুক্ত যশোর পৌরসভা’ লেখা সাইনবোর্ড। কিন্তু পৌর এলাকায় প্রবেশের পর দেখা মিলবে ভিক্ষুকের সারি। ভিক্ষাবৃত্তিতে সহজ পন্থায় বেশি আয় করা যায় বলেই ভিক্ষুকরা পেশা ছাড়ছে না এমনটি মনে করেন পৌরকর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, লাখ লাখ ভিক্ষুককে ভিন্ন পেশায় পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি আমরা। পৌরবাসীর উচিৎ ঢালাওভাবে ভিক্ষা না দেয়া।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, ২০১৭ সালের ১৩ জুন যশোর পৌরসভাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। এ ঘোষণার আগে ৫ লাখ ভিক্ষুককে ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী দেয়া হয়। সামগ্রীর মধ্যে ছিল হাঁস, মুরগি, রিকশা ভ্যান, সেলাই মেশিন, কাঁচামাল, শাড়ি লুঙ্গি ও নগদ টাকা। এসব সামগ্রী গ্রহণের সময় ভিক্ষুকরা শপথ করেছিলেন তারা আর ভিক্ষা করবেন না। কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করবেন। শপথ গ্রহণকারী ভিক্ষুকদের মধ্যে হাতে গোনা দুই-একজন পেশায় আছেন। বাকিরা টাকা পয়সা নষ্ট করে পূর্বের পেশা বহাল রেখেছেন।

পৌরকর্তৃপক্ষ জানায়, অনেকে নিজেদের পাশাপাশি অবুঝ সন্তানদেরও ভিক্ষার পেশায় নামিয়েছেন। যাদের এখন প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় শহরের দড়াটানায় এসব ছোট বাচ্চাদের ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এরা আবার এশার নামাজের সময় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মসজিদের গেটে বসে ভিক্ষা করে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন ‘আমি যশোর পৌরসভাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার জন্য টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছিলাম। যাতে তারা ভিক্ষা ছেড়ে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিছু দিন যেতে না যেতে পৌরসভার দেয়া সামগ্রী বিক্রি করে তারা আবার ভিক্ষা করা শুরু করেছে। কারণ ভিক্ষা করে টাকা আয় করা সহজ। এ কারণে তারা কাজ না করে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২২ বিয়ে করেও দুঃখ কাটেনি ভিক্ষুক নূরুল ইসলামের!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসচাপায় ভিক্ষুক নিহত
টাঙ্গাইলে ৩ ভিক্ষুককে দোকান বরাদ্দ
X
Fresh