ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতারণা করে পুলিশের হাতে ধরা
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে দোহার থানার মৈনট ঘাটে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয় জয়, সেলিম ও মামুন নামে তিন বন্ধু। ছিনতাইকারীরা চাকু দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ও টাকা। বিষয়টি নিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দোহার থানায় মামলা করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুজনকে আটক করলেও ছিনতাইয়ের রহস্য এবং অপর সহযোগীদের বিষয়টা অধরাই থেকে যায়।
অবশেষে দীর্ঘ দুই মাস পর বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মামলা হওয়ায় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি স্বউদ্যোগে গ্রহণ করে তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই সালেহ ইমরানকে।
মামলার তদন্তভার পেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে পিবিআই ঢাকা জেলার মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সালেহ ইমরান কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিয়ানগর ও কালিন্দী এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন জয়, আলিফ ও দেলোয়ার নামের তিন জনকে। উদ্ধার করেন ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন। গতকাল ৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
পিবিআই ঢাকা জেলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, দোহার থানার মৈনট ঘাটে ঘুরতে যাবার নাম করে বন্ধু সেলিম ও মামুনের সাথে থাকা টাকা এবং মোবাইল ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে জয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জয়ের বন্ধু আলিফকে দায়িত্ব দেয় জয়। আলিফ তার অপর দুই বন্ধু রনি এবং সাগরকে সাথে নিয়ে অটোরিকশা নিয়ে মৈনট ঘাটে অপেক্ষা করতে থাকে।
এসআই সালেহ ইমরান আরও জানান, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সেলিম, মামুন ও জয় মৈনট ঘাটে প্রবেশ করলে জয়ের ইশারায় আলিফের নেতৃত্বে ধারালো চাকু দেখিয়ে প্রথমে জয়ের নিকট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় আলিফ। পরে মামুনের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় রনি ও সাগর। জয়ের নিখুঁত অভিনয় এবং পরিকল্পনাতেই এই ছিনতাই হয়েছে, বিষয়টা জানার পর বিস্ময় প্রকাশ করে তার অপর বন্ধুরা। এ ব্যাপারে দোহার থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১২ (২৯/০৯/২০২০, ধারা- ৩৯৪)।
পি
মন্তব্য করুন