নওগাঁয় গ্রামীণ সড়ক বেহাল, সংস্কারের অভাবে চরম দুর্ভোগে মানুষ
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার তিন নম্বর ভাবিচা ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রামের প্রায় ৩১ হাজার মানুষের বসবাস। ৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গ্রামটিতে কাঁচা-পাকা সড়কে প্রতিদিন সিএনজি রিকশা, ভ্যান, ভটভটই, নসিমন চলাচল করে। বেশ কিছু বছর ধরে সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়কটি বেহাল হওয়ায় যানবাহন নিয়ে চলাফেরা করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খানখন্দে ভরা রাস্তার সংস্কারের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ এখনও গ্রহণ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে কাদা মাটির অচল রাস্তায় ইট বিছিয়ে কোনোরকম মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় সমাজসেবী দেলোয়ার হোসেন টিটু।
আর সাধারণ মানুষের দাবি গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলো খুব দ্রুত পাকাকরণের ব্যবস্থা করবেন কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবসীর অভিযোগ কাচা রাস্তার বেহাল দশা সারা বছর থাকার কারণে একটু বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় চলাফেরা দুর্বার হয়ে দাঁড়ায়।
এই সকল এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা ধান উৎপাদন করে তা বিক্রি করে সারা বছর সংসার চালানো। ধানের মৌসুমে ধান নিয়ে হাটে বিক্রি করার জন্য নির্দিষ্ট গাড়ি তারা সংগ্রহ করতে পারেন না রাস্তায় কাদা মাটি থাকার জন্য।
বৃষ্টির মৌসুমে এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় যেতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়।
স্থানীয় দোকানদারের অভিযোগ, বাজার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদেরকে মালসামগ্রী নিয়ে আসতে হয়।
এতে করে তারা গ্রামীণ দোকান থেকে লাভের মুখ না দেখে উল্টো লোকসান গুণতে হয়। এছাড়া যারা রিকশা, ভ্যান সিএনজি ভটভটই চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা থাকায় তাদের যানবাহনগুলো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া-আসা করেন। অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে বলে তারা জানিয়েছে।
ইউনিয়নবাসীরা স্থানীয় সমাজসেবী দেলোয়ার হোসেন টিটুকে তাদের রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগের কথা জানালে তাৎক্ষণিক চলাচলের জন্য ১০০ ট্রাক ভর্তি ইট রাস্তায় বিছিয়ে দিয়ে প্রাথমিক চলাচলের ব্যবস্থা করে নেন।
স্থানীয় সমাজসেবী দেলোয়ার হোসেন টিটু জানান, বরেন্দ্র এলাকা হওয়ায় কাদা মাটির রাস্তায় বৃষ্টির সময় শ্রমিকেরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। তাদের সুবিধার্থে এবং এলাকাবাসীর সুবিধার্থে কাঁচা রাস্তায় চলাচলের জন্য তাৎক্ষণিক একশ’ ট্রাক্টর ইট তিনি রাস্তায় বিছিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া তিন নম্বর ভাবিচা ইউনিয়নের যেসকল রাস্তায় মানুষ চলাচল করতে পারছেন না সে সকল রাস্তাগুলোতে তিনি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ইউনিয়নের মূল সংযোগ সড়ক গাবতলী মোড় যেন যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কের মৃত্যু ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।যাত্রী এবং চালকের উভয়ের অধিক সংসয় এবং ভয় থাকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময়। তাছাড়া মূল সড়কের কিছুদূর পর পর খানাখন্ত সোতো আছেই ।
এদিকে নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, গাবতলী মোড় থেকে ছাতড়া বাজার পর্যন্ত মূল সড়ক পাকাকরণের কাজ অতি দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে সংস্কার করা এবং গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে পাকাকরণের পদক্ষেপ অতি দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে ।
এলাকাবাসীর দাবী ইউনিয়নের মূল সড়কের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ইউনিয়নের স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তাগুলো সংস্কার করে তাদের চলাচলের সুব্যবস্থা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অতি শিগগিরিই গ্রহণ করবে এবং তাদের এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করবে।
জেবি
মন্তব্য করুন