ছেলেকে বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন বাবা, দুজনের লাশ উদ্ধার
নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতী নদীতে নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ানের (২৮) লাশ সকালে পাওয়া গেছে আর বিকেলে পাওয়া গেল তার ছয়মাস বয়সী ছেলের লাশ।
আজ রোববার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহিষাপাড়া এলাকায় নদীতে আবু মুসার লাশ ভেসে ওঠে। একই এলাকায় বিকেল চারটার দিকে ভেসে ওঠে ছেলে আনাসের লাশ। আবু মুসা পুলিশ সদর দপ্তর রাজারবাগ কর্মরত ছিলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নদীতে বেড়াতে গিয়ে নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া শিশু সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা ছেলে দুজনই নিখোঁজ হয়।
লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ রানা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে আবু মুসা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ট্রলারে করে কালনাঘাট এলাকায় নদীতে ঘুরতে বের হন। ট্রলারে মুসা, তার স্ত্রী সাদিয়া, ছয় মাস বয়সী ছেলে আনাসহ আটজন ছিলেন। ঘাটের দিকে ফিরে আসার সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। নদীতে তখন প্রচণ্ড স্রোত ছিল। স্রোতের ধাক্কায় কোলে থাকা শিশু নদীতে পড়ে যায়। শিশু সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা ছেলে দুজনই নিখোঁজ হয়।
মাসুদ রানা আরও জানান, রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কালনাঘাট এলাকা থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে ভেসে উঠা লাশ দেখে এলাকাবাসী ওই পরিবারকে খবর দেন। এরপর স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুরে তাকে দাফন করা হয়। বিকেল চারটার দিকে একই এলাকায় ভেসে উঠে তার ছয় মাস বয়সী ছেলের লাশ।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গতকাল শনিবার সারা দিন চেষ্টা করেও লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। সন্ধ্যায় তারা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে। পরে আজ তাদের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে উদ্ধার হলো শিশু আনসারের মরদেহ
এসএ/জিএ
মন্তব্য করুন