• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শুধু সতর্ক করেই শেষ হলো খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযান

আরটিভি নিউজ

  ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৯
মহাখালী কাঁচাবাজার
ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তদারকি শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাজার ঘুরে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, মূল্যতালিকা না রেখে বেশি দামে চাল বিক্রিসহ সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও সতর্কতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, মাত্র ৩০ মিনিটেই বাজার তদারকি শেষ করেন তারা।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে তদারকিতে আসে খাদ্যমন্ত্রণালয়ের উপসচিব কুল প্রদীপ চাকমার নেতৃত্বে একটি টিম। সেখানে ১১টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা।

এসময় দেখা যায়, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমেই মেসার্স জাকির ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যান। তারা প্রতিষ্ঠানটির টাঙানো তালিকার সঙ্গে চালের নমুনার মিল আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখেন। সব নমুনা চালের মধ্যে নাম ও দামসংবলিত কাগজ লাগানোর নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে মেসার্স সেলিম রাইস ভাণ্ডার, ইয়াসিন ট্রেডার্স, ফিরোজ ট্রেডার্স, মানিক স্টোরসহ বেশ কয়েকটি খুচরা চালের দোকান পরিদর্শন করেন তারা।

বেশকিছু দোকানে লাইসেন্স, মূল্যতালিকা পাওয়া যায়নি। এমনকি কিছু দোকানে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করতেও দেখা যায়। তবে ৩০ মিনিটের এই অভিযানে মৌখিক সতর্কতা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই তদারকি টিম।

বাজার তদারকি প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কুল প্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা দেখেছি কয়েকটি দোকানে নামভেদে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, আবার যারা বস্তা কিনছেন, তাদের থেকে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে চালের বাজারে আমরা একটা অসামঞ্জস্যতা পেয়েছি। আমরা তাদের নতুন করে চালের দাম লিখে দিতেও বলেছি।

শুধুমাত্র সতর্ক করে আধাঘণ্টায় তদারকি শেষ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের আজকের মনিটরিং ছিল শুধুমাত্র সচেতন করার জন্যই। এরপরও যদি তারা ঠিক না হয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো ভোক্তা অতিরিক্ত দামে চাল কিনে, সেক্ষেত্রে সে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরে মামলা করতে পারে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ টিমকে যদি কোনো ভোক্তা অভিযোগ জানায় তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে অভিযান প্রসঙ্গে মানিক স্টোরের মালিক বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী, আমাদের লাইসেন্স, বাজার দর দেখে তো কোনো লাভ নেই। বড় বড় মিল মালিক ও চালের আড়তগুলোর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে কোনোভাবেই চালের দাম কমবে না। বরং বাড়তেই থাকবে।

রফিক মিয়া নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন তো বাজারে নতুন চাল আসছে। সে প্রেক্ষিতে বাজারে চালের দাম কমার কথা। কিন্তু উল্টো ৭-৮ টাকা বেড়ে গেছে। এটা সিন্ডিকেটের কারসাজি। যখন দেখল নির্বাচন চলে গেছে, নতুন করে মন্ত্রীরা এখনো ওইভাবে কাজ শুরু করেনি, এই সুযোগে তারা দামটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ২৯
স্টিকার ব্যবহার করা গাড়ির বিরুদ্ধে ডিএমপির অভিযান
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১
মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি
X
Fresh