• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বনফুল-মধুবনসহ ৭ প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:১৩
বনফুল-মধুবন ৭ প্রতিষ্ঠান হুঁশিয়ারি

অনিরাপদ বা সি গ্রেড পাওয়া সাত প্রতিষ্ঠানকে আল্টিমেটাম (হুঁশিয়ারি) দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পরিবেশ উন্নত না হলে বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

সি গ্রেড পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠান হলো- বনফুল অ্যান্ড কোং, প্রিমিয়াম সুইটস, মধুবন, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (লেক সার্কাস), শাহী মিঠাই, রস ফুড অ্যান্ড বেকারি লিমিটেড ও বাঙ্কার্স ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

জানা গেছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজধানীর হোটেল ৭১ এ গতকাল রোববার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০টির মধ্যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে মান অনুসারে স্টিকার প্রদান করে। এ সময় ‘সি’গ্রেড পাওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে কোনো স্টিকার প্রদান করা হয়নি। তাদের ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য ব্যবস্থাপনার পরিবেশ উন্নত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হোটেল ও রেস্তোরাঁর জন্য গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ হোটেল ও রেস্তোরাঁর মান অনুসারে স্টিকারের নাম দিয়েছে। এর মধ্যে ‘এ প্লাস’(সবুজ রং) মান হলো উত্তম, ‘এ’ (নীল) মান ভালো, ‘বি’(হলুদ) মান গড়পড়তা বা মোটামুটি ও ‘সি’(কমলা) মান অনিরাপদ। ১০টি সূচক বিবেচনায় রেস্তোরাঁর এ মান নির্ধারণ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ঢাকার ৫৭টি রেস্তোরাঁকে এ ব্যবস্থায় গ্রেডিং বা মান অনুযায়ী স্তর বিন্যাস করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং করে মান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কেউ ‘এ প্লাস’পায়নি। ১৪টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ‘এ’। ৯টি পেয়েছে বি ও বাকি ৭টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ‘সি’তথা সর্বনিম্ন গ্রেড।

‘এ’ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (কাফরুল), বনলতা সুইটস অ্যান্ড বেকারি (মিরপুর), সেঞ্চুরি সুইটস (বাড্ডা), টেকআউট ফ্যাক্টরি (চন্দ্রিমা উদ্যান), টেক আউট (বনানী), খিলগাঁওয়ের ব্লু-মুন রেস্টুরেন্ট, ভূতের আড্ডা, ক্যাফে চেরি ড্রোপস, মিস্টার বার্গার, আপন কফি হাউজ, খাবেন রেস্টুরেন্ট, গোল্ডেন গেট, কফি লাইম এবং কুপারস।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল মানেই মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। তাই আপনারা একবার চিন্তা করুন, লাভ হয়তো কম হবে। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশান্তি থাকবে যে, আপনি নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করেছেন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যদি কোনো হয়রানির শিকার হন, আমরা (সরকার) আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশপ্রেম থাকলে আমরা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব।’

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জনদুর্ভোগ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আসছে ‘অ্যানিমেল টু’, আগাম যে হুঁশিয়ারি দিলেন সন্দীপ রেড্ডি
ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের
যে নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষা বোর্ডের
মাইকিং করে মাদক কারবারিকে হুঁশিয়ারি!
X
Fresh