যে ভাবে মামুনুলের মাদরাসায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা ইলিয়াস
র্যাব বলেছে- রিসোর্টে নারীসহ আটকের ঘটনায় আলোচিত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের একটি মাদরাসা রয়েছে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচরে। কওমী মাদরাসাটির নাম ‘তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসা’। ওই মাদরাসায় গোপন বৈঠক চলছিল -এমন তথ্য পেয়েই অভিযানে নেমে পড়ে র্যাব-২ এর একটি দল। কৌশলে মাদরাসার ভিতরে ঢুকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ইলিয়াস হামিদীকে।
এ অভিযানের সময় আরও কয়েকজন পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। হেফাজতের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর মামলা দিয়ে আদালতে তোলা হলে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলাটি করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইন।
আরও পড়ুনঃ সর্বাত্মক লকডাউন শুরু, মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) র্যাব-২ অপারেশন অফিসার এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন আরটিভি নিউজকে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে গত সোমবার রাতে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এঘটনায় র্যাব-২ ওয়ারেন্ট অফিসার জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মুফতি ইলিয়াসসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বরাত দিয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হক পরিচালিত তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসায় কয়েকজন বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এমন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও মুফতি ইলিয়াস হামিদীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তার সাথে পলাতক ৮ জন ছাড়াও জামাত শিবিরসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেকে উপস্থিত ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস জানায়।
আরও পড়ুনঃ বান্ধবীর মোবাইল চুরির অপবাদে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ
এই মামলায় পলাতক আসামিরা হলেন- শরীফ হোসাইন (৩৫), জাকির হোসেন (২৯), শফিকুল ইসলাম (২৮), ইউসুফ (৫২), ফজলুর রহমান (৪০), হেলেন (৫২), মামুন (৪০) ও ইউনুস (৫৫)। ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতা করা হয়েছ তার প্রত্যেকটিতে তিনি মদদ দিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে একযোগে তাদের আরো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস র্যাবকে জানিয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ইলিয়াস হামিদীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরই মধ্যে ৭ দিনের হেফাজত পেয়েছে পুলিশ।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন