ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২০ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ জগলুল হোসেন নতুন করে এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর। মামলাটিতে সাক্ষী হিসেবে মোট ১৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় আসামি মজনু তাকে পেছন থেকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে মাটিতে ফেলে দেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। পরে ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফুটপাথ সংলগ্ন নির্জন ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি মজনু।
ওই সময়ে ঘটনার পর মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরে তার কাছ থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করাই তার অভ্যাস ছিল। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
ধর্ষণের ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন