অগ্নিদগ্ধ নরসিংদীর ফুলনকেও বাঁচানো গেল না
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালে মারা গেছেন নরসিংদীতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ তরুণী ফুলন রাণী বর্মণ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া আরটিভি অনলাইনকে বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুরের যোগেন্দ্রনাথ বর্মণের মেয়ে ফুলন গত বছর এইচএসসি পাস করেছেন। পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে ফুলন কোথাও ভর্তি হতে পারেনি। গত ১৩ জুন রাতে এক আত্মীয়ের সঙ্গে সেদিন রাতে দোকানে কেক কিনতে গিয়েছিলেন। কেক কিনে ওই আত্মীয় তাকে একা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে চলে যান। বাড়ির কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা মুখ চেপে ধরে ফুলনকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পায়।
এ ঘটনার পর ফুলনের বাবা যোগেন্দ্রনাথ বর্মণ নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ ফুলনের পিসতুতো ভাই ভবতোষ, তার বন্ধু সঞ্জীব ও রাজু সূত্রধর এবং আনন্দ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার রাজু গত শুক্রবার নরসিংদীর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সে তার জবানবন্দিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনার কথা জানায়। সেভাবেই সেদিন রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে ফুলনের মাথা ও শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দেওয়া হয়।
পি
মন্তব্য করুন