সানির ‘স্ত্রী’র আত্মহত্যার চেষ্টা, আইসিইউতে

এবার আরাফাত সানিকে দায়ী করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তার স্ত্রী দাবি করা নাসরিন সুলতানা।

আত্মহত্যার নোটে তিনি লিখেছেন `আমার মৃত্যুর জন্য সানি দায়ী’। অচেতন অবস্থায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসকরা ধারণা করছেন ট্রিপটিন জাতীয় কিছু খেয়ে থাকতে পারেন। তবে পাকস্থলি ওয়াশ করার পর খুব বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। এখন কোনো সমস্যা নাই, তার অক্সিজেন লাগছে না বা অন্য কোনো সাপোর্ট লাগছে না। আইসিইউতে রাখা হয়েছে অবজারভেশনের জন্য। কারণ, এ ধরনের ওষুধের প্রতিক্রিয়া অনেক পড়ে শুরু হয়। আমরা ২৪ ঘণ্টা দেখার পর রোগীকে ছেড়ে দিব।

শুক্রবার(২৫ আগস্ট) রাতে নাসরিনের ছোট বোন শারমিন সুলতানা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সানির সঙ্গে ঝগড়া হয় নাসরিনের। পরে রাত সাড়ে ৩টায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে নাসরিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাতেই তাঁকে দ্রুত রেনেসাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আত্মহত্যার নোটে নাসরিন লিখেছেন, ‘আব্বা-মা, আল্লাহর রহমতে দুই হাত জোর করে তোমাদের অনুরোধ করতেছি, দয়া করে আমাকে হসপিটালে নিও না। আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে আমার মতো মরতে দাও। আমার জন্য অনেক জ্বালা নিছো, আর নিও না।

মরার পর মাটি দিও, কিন্তু হসপিটালে নিও না প্লিজ। এতো অপমান সহ্য না করে মরে যাওয়া অনেক ভালো। প্লিজ আমাকে মরতে দাও।

বিথী, কফিনের লকের পাসওয়ার্ড... কফিনে ও ড্রয়ারের পার্সে (পাশে) সব ফাইল ও কাগজপত্র আছে। মেইক শিওর দ্যাট সানির (নিশ্চিত করো যেন সানির) উচিৎ শাস্তি ও বিচার হয়।’

চিঠির পরের পৃষ্ঠায় তিনি লেখেন- ‘This is not suicide. It’s a murder. আমার আজকে এ অবস্থার জন্য শুধু সানি দায়ী। আল্লাহ যাতে ওর বিচার করে।’

নাসরিনের আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়ে আরাফাত সানির মা নারগিস আক্তার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টা আমরা শুনেছি।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশের দায়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা এবং যৌতুক আইনের ৪ ধারায় মামলা করেন নাসরিন।

সে সময় এজাহারে তিনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এসব মামলায় অর্ধশত দিন কারাগারে কাটানোর পর ওই নাসরিনের অনাপত্তিতে ১৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন আরাফাত সানি।

/সি