বিমানবন্দরে গ্রে'প্তার হলেন আবদুল মুহিত
প্রতারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আবদুল মুহিতকে (৬৬) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) মুহিত মামলার খবর শুনে গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করলে দুদক একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। মুহিত বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন... লকডাউন-শাটডাউন কিছুই না, আসছে কড়া বিধি-নিষেধ!
আজ মঙ্গলবার দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় মুহিত ও বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চার পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর শুনে গ্রেপ্তার এড়াতে আবদুল মুহিত গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আবদুল মুহিতের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রিটিশ নাগরিক মুহিতকে মতিঝিল থানায় দায়ের করা একটি জিডির ভিত্তিতে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মামলাটি করেন বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন... বৃহস্পতিবার থেকে সব সরকারি অফিস বন্ধ
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- বাংকো সিকিউরিটিজের পরিচালক মো. শফিউল আজম (৪৫), ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী (৪৬), নুরুল ইশাণ সাদাত (৪৫) ও এ মুনিম চৌধুরী (৭৬)। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা ঘাটতি পাওয়ায় শেয়ার লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বাংকো সিকিউরিটিজের লেনদেন গত ১৫ জুন থেকে স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (ডিএসই ট্রেক নং-৬০৩) শেয়ার লেনদেন বা ব্যবসা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিএসই।
এফএ
মন্তব্য করুন