বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ৫ শিক্ষার্থী গুলশানেও মদপান করেছিলো
রাজধানী ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যজটের মধ্যেই ঘটনার ৫ দিনের মাথায় বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু উত্তরার রেস্তোরাঁ নয়, ঘটনার দিন রাতে গুলশানের একটি হোটেলেও মদপান করেছিলেন পার্টিতে অংশ নেওয়া ৫ শিক্ষার্থী। গুলশানে পার্টি শেষে তাদের একটি অংশ যান মাওয়া। বিষাক্ত মদপানে ফারাহ মারা যান হাসপাতালে।
পুলিশ বলছে, তার আরেক বান্ধবী নেহার কোনো খোঁজ মেলেনি এখনো। বন্ধ রয়েছে তার মোবাইলও। এ ঘটনায় উত্তরার বিভিন্ন বার, ক্লাব, রেস্টুরেন্ট, হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিপুল অবৈধ মাদকদ্রব্য জব্দের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে ২২ জনকে। মামলা হয়েছে ৩ টি।
গত ৩০ জানুয়ারি রাতে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী রাজধানী উত্তরার ব্যাম্বু শট রেস্তোরাঁয় পার্টিতে অংশ নেয়। সেখানে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা পার করে। সবাই মিলে মদপান করে। মদপান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। ব্যাম্বু শটে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পার্টিতে অংশ নেওয়া তারই বন্ধু রায়হান ওই ছাত্রীর কথামতো মোহাম্মদপুরে বান্ধবী নুজহাত আলম তাফসীরের বাসায় নিয়ে যায়। পরে সেখানেই উভয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যায় রায়হান ও তার বান্ধবী। সেখান থেকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার মারা যায় সে।
পুলিশ বলছে, উত্তরার পার্টি শেষে ওই রাতেই গুলশানে আরেক পার্টিতে অংশ নেয় নেহা ও আরাফাত। সেখান থেকে তারা যায় মাওয়া। পরে অসুস্থ হয়ে বিষাক্ত মদপানে আরাফাতের মৃত্যু হয়। তবে ৫ বন্ধুর একজন নেহার এখনও খোঁজ মেলেনি।
ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, নেহা অসুস্থ হওয়ার পর তার অবস্থা কী? সে কী অবস্থায় রয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে সে বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এই তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আরাফাতের লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। এ জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর রাজধানীর উত্তরার ব্যাম্বু শটসহ বেশ কয়েকটি বার, ক্লাব ও হোটেলে পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে ২২ জন।
ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, অভিযানে বেশকিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ৩ টি মামলা করা হয়েছে। বেশকিছু সিসা বার ও ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিহত ছাত্রীর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই জন ৫ দিন করে রিমান্ডে রয়েছন।
কেএফ
মন্তব্য করুন