• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই

আরটিভি নিউজ

  ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৯
ফাইল ছবি

দেশের সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি জানায়, প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও ৩ ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকরা দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

এতে বলা হয়েছে, ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ সিটি সার্ভিস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস সার্ভিস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক বলছে, তাদের কোম্পানি ভাড়ার বিপরীতে কোনো টিকেট দেয় না। ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস কোম্পানিতে টিকিট বাতিল ও মূল্য ফেরতের কোনো নীতিমালা নেই।

এতে আরও বলা হয়, সিটি সার্ভিসের ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকদের মতে তাদের কোম্পানির বাস নিয়ম অনুযায়ী, বাসের টায়ার, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি পরিবর্তন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ সিটি বাস সার্ভিসের কর্মীদের মতে তাদের বাদ নকশা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী বাস যাত্রী যাত্রাপথে কোনো না কোনো সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বা হতে দেখেছেন। ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী সহযাত্রী দ্বারা, ৬৪ দশমিক ৩ হেলপার দ্বারা, ৪০ দশমিক ৬ কন্ডাকটর দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

এতে বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মনে করেন।

টিআইবি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে বিআরটিএর প্রকাশিত তথ্যের গরমিলের দাবি করেছে। বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২ জন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পরিবহন শ্রমিকদের খারাপ আচরণ বা যৌন হয়রানির শিকার হলে ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী কোনো অভিযোগ করেননি। ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী বলছেন, অভিযোগ জানানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীর বাড্ডায় দীর্ঘ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
বিয়ের দাবিতে বাপ্পীর বাসার নিচে ভক্ত, অতঃপর...
কক্সবাজারে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন সম্পর্কে প্রবাসীদের জানানোর আহবান 
X
Fresh