• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও পেলেন একমাত্র ছেলের লাশ

আরটিভি নিউজ

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫১
নিহত তাওহীদ হোসেন (সংগৃহীত ছবি)

তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও অপহৃত একমাত্র ছেলে তাওহীদ হোসেনকে (১০) ফিরে পেলেন না মা তাসলিমা আক্তার। অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পরে পেলেন তার লাশ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।

জানা গেছে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া থেকে তাওহীদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাওহীদদের বাসার পাশে একটি মোবাইল ফেলে রেখে যায়। সেই মোবাইলে কল করে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ছেলেকে ফিরে পেতে তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন তাওহীদের মা। তবে তারা ১০ লাখের কমে তাকে ফিরিয়ে দেবে না বলে জানায়। পরে অপহরণকারীরা তাসলিমা আক্তারকে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া সড়কের রাজেন্দ্রপুর ওভার ব্রিজের ওপরে একটি পিলারের নিচে রেখে যেতে বলে।

আরও জানা গেছে, এই ঘটনা র‍্যাবকে জানানো হয়। এরপর ওভার ব্রিজের নিচ থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে মকবুল র‍্যাবকে জানান, তাওহীদের লাশ আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রাখা আছে। সোমবার ভোরে রানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার মকবুল হোসেনের বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়নের লাকিরচর এলাকায়। তিনি কয়েকমাস ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন।

তাওহীদ হোসেনের মামা মো. মহসিন হোসেন বলেন, আমার বোনের স্বামী উজ্জ্বল হোসেন সৌদি প্রবাসী হওয়ায় আমার ভাগনেকে টার্গেট করে অপহরণকারীরা।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাবুব রহমান বলেন, তাওহীদের লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব সদস্যরা। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আমাকে মেরে ফেলেন ভাই’
যে কারণে পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পুলিশ ক্যাম্পে আগুন
X
Fresh