• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চরম ভোগান্তির সঙ্গে রয়েছে বাড়তি খরচ

আরটিভি নিউজ

  ১২ মে ২০২১, ১২:১৫
চরম ভোগান্তির সঙ্গে রয়েছে বাড়তি খরচ
ফাইল ছবি

ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে ফেরী ঘাট ও সড়ক, মহাসড়কে। দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ভিড় করছে মানুষ। ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক এবং পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।

ছুটির ঘোষণা হতেই বাড়ি যেতে সবাই বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছুটছেন। তবে দূরপাল্লার বাস না পাওয়ায় ঘরমুখী মানুষেরা ট্রাক, পিকআপসহ ছোট ছোট যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে যেমন ভোগান্তি হচ্ছে তেমন হচ্ছে বাড়তি খরচ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ১৮ জেলার মানুষ যাত্রীবাহী বাসের পরিবর্তে বিকল্প যানবাহনে করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাচ্ছে। তবে এসব যানবাহনে তিনগুণ থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।

খবর নিয়ে জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, মৌচাক ও শিমরাইল মোড় থেকে ৩ গুণ থেকে পাঁচগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের। ভোর থেকেই এ দুটি মহাসড়কে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় কেবল বেড়েছেই। মানুষজন করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করেই তারা বাড়ি ফিরছেন। যাত্রীরা গাদাগাদি করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাচ্ছেন।

গাবতলীর গিয়ে দেখা যায়, আমিন বাজার ব্রিজের গোড়ায়
ট্রাকের ভিড়। সেতুর উপর দেখা গেল টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া বলে ডেকে চলেছেন কয়েকজন। তারা ভাড়া চাইছিলেন টাঙ্গাইল ৫০০, সিরাজগঞ্জ ৬০০, কুষ্টিয়া ১ হাজার টাকা।

আমিনবাজার সেতু পার হতেই বাসকর্মীদের হাঁকডাক। ‘ঘাট ৩০০ টাকা’ বলে ডাকছেন কেউ কেউ। কয়েকজন আবার 'নবীনগর-চন্দ্রা বাইপাইল' বলে চিৎকার করে চলেছেন।

আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার জন্য গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করা বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, বাবা-মা, ভাইবোন ও আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে ঈদ পালন করতে কুষ্টিয়া যাচ্ছি। কিন্তু দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দাঁড়িয়ে আছি। বাসে অনেক টাকা ভাড়া চাচ্ছে।

অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরও বাড়ছে।

বুধবার সরেজমিন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জনস্রোত সামলাতে শিমুলিয়া ঘাটে বসানো হয়ছে চেকপোস্ট। দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবি সদস্যরা। তারপরও মানুষের ঢল থেমে নেই। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণ হিসেবে নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন ঘরমুখী যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। তবে ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী ৪ শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইন্টারনেটে ধীরগতি, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
সেতু ভেঙে ভোগান্তি, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল  
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নেই ভোগান্তি
দৌলতদিয়ায় কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ, নেই ভোগান্তি
X
Fresh