• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নুরদের গ্রেপ্তার চাওয়া সেই ছাত্রী হাসপাতাল ছেড়ে ফের অনশনে

আরটিভি নিউজ

  ১১ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৩৭
নুরদের গ্রেপ্তার চাওয়া সেই ছাত্রী হাসপাতাল ছেড়ে ফের অনশনে
নুরদের গ্রেপ্তার চাওয়া সেই ছাত্রী হাসপাতালে

ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার বাদী ঢাবির সেই ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে ফের অনশন শুরু করেছেন। গতকাল শনিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপর থেকে আজ রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি ঢাবি’র রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তৈরি করা মঞ্চে অবস্থান করছেন।

গেল ২০ অক্টোবর রাজধানীর লালবাগ থানায় ও পরের দিন ২১ অক্টোবর রাজধানীর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা দুই ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, হাসান আল মামুনসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের সেই ছাত্রী।

অনশনরত ছাত্রী নিজেই আরটিভি নিউজকে জানান, গতকাল শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টার দিকে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার কারণে তার সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। টানা ২৭ ঘণ্টা অনশন চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এরপরেই রাতেই অনশন চালিয়ে যেতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চলে আসেন তিনি।

তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘এখন এখানেই অবস্থান করছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমার অনশন চলবে’।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা (নং-২৮) দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী। মামলাটিতে ৬ জন এজহারনামীয় অভিযুক্তের মধ্যে নুরের নাম ৩ নম্বরে রয়েছে। মামলায় নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
এজহার অনুযায়ী মামলার আসামিরা হলেন- হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান সোহাগ, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি।

এরপরের দিন, ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ লালবাগ থানায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেন (নং ৩৪)। লালবাগ থানায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি কোতয়ালী থানাতেও তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেন। দুই মামলাতেই ভিপি নুর ৩ নম্বর আসামি এবং তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা হাসান আল মামুন (২৮)। অপরদিকে কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮)।

আরও পড়ুনঃ

হাওয়াই যাচ্ছেন জয়া

ফেসবুকে প্রেম, অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে টানা ৭ দিন ধর্ষণ!

মামলা দু’টির এজহার থেকে জানা যায়, একই বিভাগে পড়া এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কাজে থাকার কারণে হাসান আল মামুনের সঙ্গে সেই ছাত্রীর ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। এর সুযোগ নিয়ে মামুন চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি তার লালবাগের বাসায় নিয়ে সেই ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে সোহাগও গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেই ছাত্রীকেই লঞ্চে করে চাঁদপুর নিয়ে যায় এবং ফেরার পথে লঞ্চের কেবিনে ‘ধর্ষণ করেন’।

মামলা দু’টির এজহারে আরও অভিযোগ করা হয়, এই দুই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সেই ছাত্রী ভিপি নুরের সঙ্গে দেখা করেন। নুর তাকে প্রথমে ‘মীমাংসা’ করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও পরে ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানি করার’ হুমকি দেন।

কেএফ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পরীক্ষার আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নের সমাধান হতো ঢাবির হলে
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবির সুইমিং পুলে ছাত্রের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
X
Fresh