• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাপনের কাছে যে আবদার সাকিবের!
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে শান্ত বাহিনী। রোববার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে দুই দল। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এতে বেশ খোস মেজাজে রয়েছে টাইগাররা। তবে দল ছন্দে থাকলেও লিটনের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে বেশ চিন্তিত টাইগার ম্যানেজমেন্ট।  ফলে এই সিরিজে ম্যাচ খেলিয়ে বিশ্বকাপের আগে লিটনকে ফর্মে ফেরাতে চায় কোচ হাথুরুসিংহে। কারণ, আসন্ন টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে ওপেনিং গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে এই ডান হাতি ব্যাটারকে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্ডার রাজা। এ জন্য দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ঘুরে দাঁড়ানো জন্য আহবান জানিয়েছেন তিনি।  টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচ খেলে ১৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি সাত ম্যাচে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ।   বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। জিম্বাবুয়ে দল : সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।
গুজরাটকে বিধ্বস্ত করে চতুর্থ জয় বেঙ্গালুরুর
ঘরের মাঠে গুজরাটকে অল্পতেই থামালো বেঙ্গালুরু
নতুন যাত্রায় সাকিবকে পাশে পেলেন রুবেল
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড দেখে নিন 
রান না পেলেও লিটনের পরিশ্রমে সন্তুষ্ঠ ব্যাটিং কোচ
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে যেনো কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারছেন না টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তার অফ ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নির্বাচকরা। তবে ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে লিটনের পরিশ্রমের কোনো ঘটতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। শনিবার (৪ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে কথা বলেন কোচ ডেভিড হেম্প। সেখানে শুরুতেই তাকে জবাব দিতে হয় লিটন প্রসঙ্গে।  হেম্প বলেন, সে (লিটন) হয়ত রান পাচ্ছে না, কিন্তু নিজের খেলাটা নিয়ে সে অনেক পরিশ্রম করছে। এটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে প্রতিনিয়ত আরও ভালো করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।  ‘প্লেয়াররা এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে কখনও তারা রান করবে কখনও আবার করবে না। এখন হয়ত সে অতটা ধারাবাহিক নয়। তবে সে এটি নিয়ে কাজ করছে এবং কঠোর পরিশ্রম করছে। এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিশ্রম করেও কেন ফল মিলছে না এমন প্রশ্নও করা হয় এই টাইগার কোচকে। জবাবে তিনি বলেন, আসলে কাজটি অনেক কঠিন। নতুন বল অনেক সময় এদিক-সেদিক করে গত রাতে যা করল। এখানে ব্যাট করাটা কঠিন কারণ নতুন বলের চ্যালেঞ্জ থাকে।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা বল সামলাতে না পেরে ১ রান করে বোল্ড হন বাংলাদেশের ওপেনার। বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও লিটনের রান না পাওয়া তৈরি করেছে এক ধরণের অস্বস্তি। 
তামিম-হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ ডেভিড হেম্প
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের আট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই ম্যাচে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। ৩৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। এই দুই ব্যাটারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল (রোববার) মাঠে নামবে শান্ত-লিটনরা। এর আগে শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।  এ সময় তিনি বলেন, সে (তানজিদ) উন্নতি করছে। সে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও খেলেছে। সে এইচপি প্রোগ্রামের আওতায় ছিল, ফলে আমার তাকে আগে দেখার অভিজ্ঞতা আছে। সে প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসেই এগোচ্ছে। ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে আগের চেয়ে।  ‘তবে এখনও উন্নতির অনেক জায়গা আছে তার। তরুণ ক্রিকেটারদের নিজের শক্তির জায়গা প্রয়োগ করে ভালো করতে দেখার বিষয়টি দারুণ। বর্তমানে সে সঠিক পথেই এগোচ্ছে।’ টাইগারদের ব্যাটিং প্রসঙ্গে হেম্প বলেন, আমরা শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি আমাদের শক্তির জায়গা অনুযায়ী যেনো আমরা খেলতে পারি। এভাবেই আমরা ক্রিকেটারদের খেলতে দেখতে চাই। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে।  ‘কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, যে কাজটা আপনি ভালো করেন তা থেকে যেন দূরে সরে না যান। আমরা যদি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি ,তাহলে প্লেয়াররা ভালো করবে এবং আমরা ম্যাচ জিততে পারব। এটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’ হৃদয় পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ম্যাচকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আয়ত্ত করছে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যাটিং কোচ। তিনি বলেন, আসলে পুরো গ্রুপের ক্রিকেটাররাই দারুণ প্রতিভাবান। হৃদয় এমন একজন যে সবসময় নিজের খেলাটাকে উন্নত করতে চায়। কোচিংয়ের দিক থেকে দেখলে বিষয়টি দারুণ।  ‘আপনি এমন ক্রিকেটারই চাইবেন যে খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সে এমনই একজন। সে অনেক পরিশ্রম করে। সবসময় উন্নতির চেষ্টা করে যায়। এটাই আমরা চাই প্লেয়ারদের কাছে।’ হৃদয়ের ভয়হীন ক্রিকেট খেলা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ফেয়ারলেস বলতে কী বুঝিয়েছেন সেটা তার ওপর নির্ভর করছে। শট খেলার ক্ষেত্রে আসলে আমরা সবাইকেই এভাবে কোচিং করাই। ইতিবাচক থাকতে বলি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে বলি।
‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়ে যা বললেন স্টার্ক
আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম (২৪.৭৫ কোটি রুপি) দিয়ে মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সবার নজরে ছিল এই অজি পেসার। কিন্তু চড়া দাম পেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি তিনি।  প্রথম ৮ ম্যাচে ওভার প্রতি প্রায় ১২ রান খরচ করে ৭ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। তবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট।  এদিন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মিচেল স্টার্ক। এ সময় কথা বলেছেন আলোচিত-সমালোচিত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে।   এক প্রশ্নের জবাবে স্টার্ক বলেন, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের কারণে খেলায় কিছুটা বদল এসেছে। সকলেই ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানোর ও বোলিং একাদশ সাজানোর সুযোগ পায়। কোনো দল যখন ৮ বা ৯ নম্বর পজিশন পর্যন্ত ব্যাটার ও ব্যাটিং অলরাউন্ডার খেলানোর সুযোগ পায়, তখন সেটা বেশ লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ। আইপিএলে ৯ ম্যাচের ভেতর ৩ ম্যাচে ৫০ এর বেশি করে রান দিয়েছেন স্টার্ক। এর পেছনে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মেরও প্রভাব আছে বলে মনে করেন এই অজি পেসার।  তিনি বলেন, আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলছে ব্যাটাররা। অবশ্যই এখানে ভালো ব্যাটিং হচ্ছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না, শুধু ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের প্রভাব ছাড়াও কিছু দুর্দান্ত স্কোরিং, পার্টনারশিপ এবং ব্যাট হাতে কিছু ব্যক্তিগত প্রতিভা দেখে গিয়েছে। ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবসময় নিজের মন মতো কিছু করা যায় না। অবশ্যই আমি শুরুটা আরও ভালো করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমিই একমাত্র বোলার নই যে রান খরচ করেছে। যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আমরা এখন টেবিলের দুইয়ে আছি এবং সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ভালো ক্রিকেট খেলছি আমরা, আশা করি আমিও এর অংশ হতে পারব।’  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম না থাকার প্রভাব নিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নেই, তাই সেটা রান তোলার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে কি না তা দেখার বাকি আছে এখনো। আমি মনে করি, সম্ভবত প্রভাব ফেলবে।  ‘সবাই দলের ভারসাম্য নিয়ে কথা বলবে, যেখানে আপনি চাইলেই দলে কাউকে ঢোকাতে পারবেন না। অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। অধিনায়কদের কৌশলগতভাবে আরও বেশি ভাবতে হবে। কারণ, তখন একাদশে কেবল ১১ জনকে নিয়েই খেলতে হবে।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে তাহলে তো কোনো কথা নেই। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক গ্রুপে লড়াই করবে এশিয়ার দুই পরাশক্তি। দর্শকদের হুড়োহুড়িতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের মূল্য বেড়েও দ্বিগুন হয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এবারের আসরে গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে জমজমাট এই ম্যাচ। এরই  মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। বরাবরের মতো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দিকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন ক্রিকেটভক্তরা। দর্শকদের হুড়োহুড়িতে এই ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়েই যাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাহিদা বেশি থাকায় এরই মধ্যে টিকিটের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। যেখানে বিক্রির শুরুর দিকে টিকিকের দাম ছিল ১ হাজার ৩০০ ডলার, সেই টিকিটের দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ ডলারে। অর্থাৎ দামের হিসেবে যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গত বিশ্বকাপে ভারতের ভিসা পাওয়ায় বাবর-রিজওয়ানদের সমর্থন দিতে মাঠে যেতে পারেনি পাকিস্তানি দর্শকরা। ফলে আহমেদাবাদে পুরো গ্যালারিতে ছিল ভারতীয়দের অধিপত্য। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো দুই দলের দর্শকদের মাঠে দেখা যাবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট-কানাডায় প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় ও পাকিস্তান অভিবাসী বসবাস করেন। নিজ দেশের ক্রিকেটারদের খেলা সহজে গ্যালারিতে বসে দেখতে পারেন না তারা। যে কারণেই এবারের সুযোগ হাতছাড়া করছে না দুই দেশের ক্রিকেটঅনুরাগীরা।  
জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর পর যা বললেন টাইগার অধিনায়ক
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অন্যান্যদের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছে টাইগাররা। আর শুক্রবার প্রথম ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শুরুটাও ভালোই হয়েছে হাথুরুসিংহের শিষ্যদের।  চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টিম বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। পরে ব্যাটিংয়ে নেমেও তেমন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি টাইগারদের। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাসের উইকেট খরচায় ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। বড় এই জয়েও অবশ্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওপেনার লিটন দাসের অফ-ফর্ম। ইনিংসের শুরুতে ৩ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরা কেবল দীর্ঘ করেছে তারা ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা। ওদিকে আবার সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ বলে ২১ করেই বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটসম্যানের বর্ণহীন পারফরম্যান্সের সুযোগটা দারুণভাবে লুফে নিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ তামিম। বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ওপেনার; অভিষেকটাকে রাঙিয়েছেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক দিয়ে। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসে ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো একটা ইনিংস খেলে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন এই মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটের আরেক সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৪ ওভার ৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।  এমন জয়ের পর অফিসিয়াল ব্রডকাস্টকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসাতে ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘সবাই আজ ভালো খেলেছে, বোলাররা সবাই দুর্দান্ত ছিল। যদি আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারি, তাহলে পরের ম্যাচে সেটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারব।’ তানজিদের ফর্ম ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি হৃদয়ের ইনিংস নিয়েও দারুণ খুশি শান্ত। বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন আমরা খুব কঠোর অনুশীলন করেছি এবং আমি আশা করি তানজিদ তার ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। আমরা কেবল আমাদের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারি। তাওহিদ তার শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তানজিদ যেভাবে ইনিংস শেষ করেছে তাতে আমি খুশি।’ এর আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে গতদিন শান্ত বলেছিলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রাখতে পারে। আগের শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও এই  জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপে বেশিরভাগ খেলোয়াড় যাবে, যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।’ ১ মে পর্যন্ত আইসিসির কাছে দেওয়া স্কোয়াডে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দলগুলো পরিবর্তন আনতে পারবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টিতে এখনো কয়েকটি পজিশন নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ; বিশেষ করে চিন্তায় ফেলছে ওপেনিং জুটি। কন্ডিশন বিবেচনায় অতিরিক্ত স্পিনার বা বাড়তি পেসার নেওয়ার বিষয়ও রয়েছে। এসব জায়গায় প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চান শান্ত। তার ভাষ্য, ‘আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে; প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।’ প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে সাজানো জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে নেই বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। বিশ্রাম ও ছুটির কারণে এ দুজনকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের স্কোয়াড সাজিয়েছে বিসিবি। অবশ্য আসন্ন জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে নিশ্চিতভাবেই থাকছেন তারা।   
মুম্বাইকে হারিয়ে প্লে-অফের পথে আরেক ধাপ এগোলো কলকাতা
চলতি আইপিএলের রানবন্যার হিসেবে মুম্বাইয়ের জন্য লক্ষ্যটা মোটেই কঠিন ছিল না। তবে কলকাতার ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি তাড়া করতে নেমে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তারকাখচিত মুম্বাই। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ঘরের মাঠে ২৪ রানের পরাজয় দেখেছে তারা। এতে প্লে-অফের দৌড় থেকে কাগজে-কলমে ছিটকেই গেছে তারা। শুক্রবার (৩ মে) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় কলকাতা। দলের হয়ে ৫২ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৫ ওভারে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে যায় মুম্বাই। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্বাগতিকেরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার ঈশান কিষাণ। ফেরার আগে ১ ছক্কা ও ১ চারে তার ব্যাট থেকে ১৩ রান আসে। এরপর আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা এবং তিনে নামা নমন ধীর-ও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দুই অঙ্কের কোটা পেরিয়েই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত (১১) ও নমন (১১)। টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দ্যুতি ছড়ানো হয়নি লোয়ার মিডল-অর্ডারেরও। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনো আগেই একে একে ফেরেন তিলক ভার্মা (৪), হার্দিক পান্ডিয়া (১), নেহাল ওয়াধেরা (৬)। সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি ৩৬০ ডিগ্রিখ্যাত এই ব্যাটার। রাসেলের বলে ফাইন লেগে সল্টের হাতে ধরা পরার আগে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৩৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। এরপর হারের প্রহর গোনা মুম্বাইয়ের হয়ে লড়াইটা জিইয়ে রেখেছিলেন টিম ডেভিড। তবে দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় মিচেল স্টার্কের বলে শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডেভিড (২৪) ফিরলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মুম্বাইয়ের। শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। এতে ২৪ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বর স্থান পাকাপোক্ত করলো কেকেআর। অন্যদিকে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেকেটাই ছিটকে গেল রোহিত শর্মারা। এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতার। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফিল সল্ট (৫), সুনীল নারিন (৮), আংক্রিশ রঘুবংশি (১৩), শ্রেয়াস আইয়ার (৬) এবং রিংকু সিং (৯)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং অভিজ্ঞ মনিশ পান্ডে। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে উইকেট থিতু হন তারা। তবে ক্রমেই চিরচেনা রূপে ফেরেন কেকেআরের এই দুই ব্যাটার। সমান দুটি করে ছক্কা-চারে হার্দিকের বলে বিভেসের তালুবন্দি হয়ে ৩১ বলে ৪২ মনিশ ফিরলে কিছুটা কমে কলকাতার রান তোলার গতি।  এরপর ভেঙ্কটেশ ছাড়া কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রাসেল (৭), রমনদীপ সিং (২) এবং মিচেল স্টার্ক (০)। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই রাজত্ব করেন অভিজ্ঞ ভেঙ্কটেশ। শেষ পর্যন্ত ভেঙ্কটেশের ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৫২ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৬৯ রানের পুঁজি পায় কেকেআর। মুম্বাইয়ের হয়ে জাসপ্রিত বুমরাহ ও নুয়ান থুশারা তিনটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া পীযূষ চাওলা দুটি এবং হার্দিক একটি উইকেট শিকার করেন।
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের
ভাগ্যকে রীতিমত সহায় করেই মাঠে নেমেছিলেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। অভিষেক ম্যাচে গুনে গুনে তিনবার ‘জীবন’ পেয়েছেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তানজিদের ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করলো বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাসাকাদজা ও মাদান্দের ৭৫ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের পুঁজি গড়ে সিকান্দার রাজার দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান অভিজ্ঞ লিটন। রিচার্ড এনগারাভারের গুড লেংথের ডেলিভারি প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে লিটনের স্ট্যাম্পে। এরপর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং ওপেনার তানজিদ। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ভালো খেললেও ৫৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন শান্ত। লুক জংওয়ের করা ইনিংসের দশম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতি। কিন্তু ঠিকঠাক ব্যাটে না লাগায় শন উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন। এতে ১ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ২১ রানে ফেরেন শান্ত। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকান ফিফটি। চারে নেমে তাওহিদ হৃদয়ও দারুণ কিছু শট খেলেছেন। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের তুলে নেয় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ। অন্যপ্রান্তে ১৮ বলে ৩৩ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন হৃদয়। এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নেমে টাইগারদের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন শরিফুল। তার ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক রাঙান জিম্বাবুয়ের ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। একই ওভারে আরও একটি চার হাঁকান এই ওপেনার। শরিফুলের হাফ ভলিতে মাপা শটে তুলে নেন ৮ রান। তবে উদ্বোধনী জুটি থিতু হতে দেননি মেহেদী। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরভিনকে পরাস্থ করেন। মেহেদীর দ্বিতীয় বলেই উড়ে যায় ওপেনার ক্রেগ আরভিনের অফ স্ট্যাম্পের বেলস। মাপা লেংথের বলে সামনে পায়ে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। তবে ব্যাটে না পাওয়ায় রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর আক্রমণে এসেই ভেলকি দেখান ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ফুল লেংথের সুইংয়ে রীতিমত খাবি খান অভিষিক্ত গাম্বি। শর্ট ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে জোড়া উইকেট হারায় সফরকারীরা। রান আউটের ফাঁদে পরে কাটা পড়েন ব্রায়ান বেনেট। ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন বেনেট। এরপর ক্রিজে নেমেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজাও। রোডেশিয়ানদের অধিনায়ককে টিকতে দেননি শেখ মেহেদি। তাকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর প্রথম স্লিপে কোনো ভুল করেননি লিটন। চোখের পলকে ১ উইকেটে ৩৬ থেকে ৪ উইকেটে ৩৬ রানে পৌঁছায় সফরকারীরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। প্রথম বলে উইলিয়ামস এবং পরের বলেই বার্লকে ফেরান তাসকিন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তারা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও দেখেশুনে সেই বলটি ছেড়ে দেন লুক জঙ্গি। ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। এরপর জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মাসাকাদজা এবং মাদান্দে। টাইগার বোলারদের সামলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট খুইয়ে ১২৪ রানে থামে রোডেশিয়ানরা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া মেহেদীর শিকার দুই উইকেট।