• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুলতানকে কাঁদিয়ে ইসলামাবাদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়
লঙ্কানদের ‘টাইমড আউট’ উদযাপনের দাঁতভাঙা জবাব মুশফিকের
শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সবশেষ বিশ্বকাপে ম্যাথিউসের টাইমড আউট ঘটনার পর যার উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর টাইগার উদ্দেশ্য করে টাইমড আউট উদযাপন করেছিলেন মেন্ডিস-আসালাঙ্কারা। এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে সেই উদযাপনের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের পর ট্রফি তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। এরপর তিনি উইনার্স বোর্ডের কাছে থাকা বাকি সতীর্থদের দিকে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই দৃশ্যপটে হাজির মুশফিক। এরপর হেলমেট হাতে নিয়ে দেখালেন লঙ্কানদের সঙ্গে দ্বৈরথের আগুনে ঘি ঢালা সেই উদযাপন।  মুশফিকের হাতে থাকা হেলমেটের স্ট্র্যাপটা খোলা ছিল। তিনি ইঙ্গিত করলেন সেটাতে সমস্যা আছে। পাশ থেকে একটু অবাক হওয়ার ভঙ্গি করলেন অধিনায়ক শান্ত। ঠিক যেন ম্যাথিউস আম্পায়ারের উদ্দেশে হেলমেটের স্ট্র্যাপে সমস্যা দেখাচ্ছিলেন। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে টাইমড আউট উদযাপন করেছিল লঙ্কানরা। এবার চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টাইমড আউটের মতো হেলমেট নিয়ে উদযাপন করেছেন টাইগার ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।  হেলমেট বদল করতে গিয়ে বিশ্বকাপে সময়ক্ষেপণ করে টাইমড আউট হয়েছিলেন লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ঠিক সেটাই যেন মুশফিক আবারও মনে করিয়ে দিলেন।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কিট স্পনসর ‘কোকা কোলা’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ফখরুলের অভিনন্দন
হাসপাতালে ভর্তি জাকের, সবশেষ অবস্থা জানালো চিকিৎসকরা
চমক রেখে সিলেট টেস্টের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
সিরিজ জয়ের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন 
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শান্ত-মিরাজরা। এই জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শান্ত-মিরাজরা। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। টাইগারদের হারিয়ে ১-১ সিরিজে সমতা আনে লঙ্কানরা। তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে যায় অঘোষিত ফাইনাল। অন্যদিকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো শান্ত বাহিনী।
রিশাদ ঝড়ে সিরিজ বাংলাদেশের
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলেছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগাররা। সোমবার (১৮ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শান্ত-মিরাজরা। জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করেন এনামুল হক বিজয় এবং সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নামা তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তবে ২২ বলে ১২ রান করে এনামুল আউট হলে, ৫ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন নাজমুল হাসান শান্ত। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তানজিদ তামিম। ৩৬ বলে ২২ রান করে হৃদয় আউট হলেও ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। হৃদয়ের আউটের পর ৫ বলে ১ রান করে নসাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। ৮১ বলে ৮৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিরাজ। মিরাজের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রিশাদ হোসেন। হারসাঙ্গার দুই ওভারে ৩৮ রান তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৩৬ বলে ৩৭ রান এবং রিশাদের ১৮ বলে ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন লাহিরু কুমারা। এ ছাড়াও দুই উইকেট শিকার করেন ওয়েনিন্দু হারসারাঙ্গা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও অভিষ্কা ফার্নান্দো। ৮ বলে ১ রান করে নিশাঙ্কা আউট হলে, ৬ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ফার্নান্দো। তৃতীয় উইকেটে সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস।
লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি
পেসারদের কল্যাণে শুরুতেই শক্ত ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর স্পিনারদের ভেলকিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। টপ-অর্ডারের পর মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সেখানে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন লিয়ানাগে। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে লঙ্কানরা। সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিয়ানাগের অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের জন্য ২৩৬ রানের লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা। ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ংকর পাথুম নিসাঙ্কাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ। টাইগার স্পিডস্টারের ফুললেংথের ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন নিশাঙ্কা। এতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ ওভারে অভিষাকা ফার্নান্দোকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। শুরুর দিকে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাউইকরামা। তবে কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ১৪ রানে সাদিরা ও ২৯ রানে কুশল ফিরলে ৭৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন চারিথ আসালঙ্কা ও জানিত লিয়ানাগে। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে থাকা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ফিজ। এতেই ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন-আপ। তবে সাতে ব্যাট হাতে নেমে টেস্টের নাইটওয়াচম্যানদের কথা আরও একবার স্মরণ করান দুনিথ ওয়েল্লালাগে। মেহেদীর টস-আপ ডেলিভারিতে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে স্লগ-সুইপ করতে চেয়েছিলেন ভাল্লালাগে। তবে তা ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। মিড-উইকেটের সহজ ক্যাচ নেন সৌম্য। এতে ১৮ বলে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে স্পিন ঘূর্ণিতে ফেরান মিরাজই। তবে লিয়ানাগের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে পুঁজি দুইশ ছাড়ায় ১৫৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার। অষ্টম উইকেটে তিকশানার সঙ্গে লিয়ানাগের ৫০ রানের জুটিতে ৪৬তম ওভারে এসে ২০০ ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। ১৫ রানে থিকশানা বিদায় নিলেও ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন লিয়ানাগে। তার অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান জড়ো করে সফরকারীরা।
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে রহস্যময় তথ্য দিলেন হাথুরু
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটির ঘোষিত স্কোয়াডে ছিলেন লিটন দাস। তবে নির্ধারণী ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ক্ল্যাসিক এই ওপেনারের। তার বদলে জাকের আলী অনিককে স্কোয়াডে ভেড়ানো হয়। এবার লিটনের বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার (১৮ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগে হাথুরুসিংহে জানান, সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও বর্তমানে ফর্মে না থাকায় বাদ পড়েছেন লিটন।  লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টারের ভাষ্যমতে, লিটনের অভিজ্ঞতা সবসময়ই মূল্যবান। সে এমন একজন খেলোয়াড় যেকোনো সময় নেমে ম্যাচ জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে পারে। তবে সেটা বললেও, কিছু সময় সে ফর্মে নেই। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সামনে তাকাতে হচ্ছে। এর আগে, জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, নতুন বলে খুবই অধারাবাহিক হওয়ার কারণে লিটনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।  লিপুর ভাষ্যমতে, সিরিজ চলমান থাকায় পরিবর্তনের খুব বেশি সুযোগ ছিল না। নতুন বলে খুবই অধারাবাহিক হওয়ার কারণে আমরা লিটন দাসকে এই স্কোয়াডের সঙ্গে আর রাখছি না। দলে আগে থেকে এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম রয়েছে, যারা ওপেন করতে পারে। আরেকজন ওপেনার আছে সৌম্য সরকার। লিটনকে যখন স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করলাম না, তাই এই জায়গায় আবারও কোনো ওপেনারের প্রয়োজন দেখিনি। তিনি যোগ করেন, এই সিলেকশন প্রক্রিয়ায় আমরা কোচ-অধিনায়কের মতামত নিয়েছি। আমরা দেখেছি লিটনের পরিবর্তে দলে যদি মিডল-অর্ডারে কাউকে সংযোজন করা যায়। সেখানে অনিককে মনে করেছি যথার্থ হবে। সাদা বলে সে টি-২০ খেলেছে, রান করেছে, ডিপিএলেও রান পেয়েছে সে। মিডল-অর্ডারে ওপরের দিকে খেলতে পারে আবার ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করতে পারে।
রশিদের ভেলকিতে সমতা ফেরাল আফগানিস্তান
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে স্বরূপে ফিরতে খুব একটা সময় নিলেন না রশিদ খান। আফগান এই অলরাউন্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে আফগানিস্তান।  রোববার (১৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আইরিশদের বোলিং তোপে ৯ উইকেটে ১৫২ রান জড়ো করে রশিদ খানের দল। জবাবে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪২ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে আফগানরা। অ্যাডায়ার ও লিটলের দারুণ বোলিংয়ে ১৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রশিদ খানের দল। তবে দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন নবি। ওপেনার সেদিকউল্লাহ আটালকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৬ বলে ৭৮ রান তুলেন এই অলরাউন্ডার। তবে রান আউটে ৩২ বলে ৩৫ রানে সেদিকউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। দলীয় ১০০ রানের পর থামেন নবিও। ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ চার ও ১ ছক্কার ক্যামিওতে ১৫২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান। আইরিশদের হয়ে অ্যাডায়ার তিনটি, লিটল ও ব্যারি ম্যাককার্থি দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আইরিশদের। ৪ ওভারেই ৪৩ রান জড়ো করে ফেলেন দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিং। তবে এর পরই পথ হারায় দলটি। ১৫ বলে ২৪ রানে থাকা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন খারোটে।  এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আইরিশরা। টানা দুই বলে লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টরকে ফেরান রশিদ। বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নবি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করছিলেন বালবার্নি। তবে শেষ পর্যন্ত হাফ-সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে তিনিও ফিরেছেন। খারোটের বাঁহাতি স্পিনের ফাঁদে পড়ার আগে খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল আইরিশরা। তবে হাল ছাড়েননি গ্যারেথ ডেল্যানি। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৫১ রান প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডের। ফজলহক ফারুকির এক ওভারে ৩ ছক্কা ও এক চারে ২২ রান তুলেন ডেল্যানি।  চেষ্টা চালান পরের দুই ওভারেও। তবে একার লড়াইয়ে পেরে উঠেননি তিনি। শেষ ওভারে ১৮ বলে ৩৯ রানে থামে তার ইনিংস। ফলে ১০ রানে পরাজয় দেখে আইরিশরা।
তিন পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিল লাল-সবুজেরা। তবে দ্বিতীয়টিতে ৩ উইকেটে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা। তাই বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে শেষ ম্যাচটি। সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি। চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। সেরা একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ‘ডাক’ মেরে আউট হওয়ায় তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন লিটন কুমার দাস। এই ওপেনারের পরিবর্তে দলে ডাক পড়ে জাকের আলীর। তবে তিনি সুযোগ পাননি। লিটনের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া দুই ম্যাচে টানা ব্যর্থতার কারণে বাদ পড়েছেন তাইজুলও। এতে ঢুকেছেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। অন্যদিকে এই ম্যাচে একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। দিলশান মাদুশঙ্কার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মহীশ তিকশানা। বাংলাদেশের একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন। শ্রীলঙ্কার একাদশ : আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিত ভেল্লালাগে, মহীশ তিকশানা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।
রিশাদ ঝড়ে সিরিজ বাংলাদেশের
  রিশাদ ঝড়ে সিরিজ বাংলাদেশের ১৭:৪৭, মার্চ ১৮ মিরাজের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রিশাদ হোসেন। হাসানাঙ্গার দুই ওভারে ৩৮ রান তোলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৩৬ বলে ৩৭ রান এবং রিশাদের ১৮ বলে ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে চার উইকেট হাতে থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ ৪০.২ ওভার ২৩৭/৬   মিরাজের বিদায় ১৭:১৩, মার্চ ১৮ মুশফিকের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত ব্যাট করে দলকে এগিয়ে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি। ৩৬.২ ওভার ১৮৪/৬   মুশফিক-মিরাজ জুটি ১৭:০০, মার্চ ১৮ তামিমের আউটের পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।   সেঞ্চুরির আক্ষেপ তামিমের ১৬:৩৫, মার্চ ১৮ রিয়াদের বিদায়ের পর সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম। ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।   কুমারার চতুর্থ শিকার মাহমুদউল্লাহ ১৬:২০, মার্চ ১৮ হৃদয়ের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৪তম ওভারে লাহিরুর চতুর্থ শিকার হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৫ বলে ১ রান করে রিয়াদ। এতে আট রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ     কুমারার তৃতীয় শিকার হৃদয় ১৬:১০, মার্চ ১৮ ২২তম ওভারে আবারও লাহিরু কুমারাকে বোলিংয়ে আনেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ওভারের তৃতীয় বলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ৩৬ বলে ২২ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার।   তামিম ও হৃদয়ের জুটি  ১৬:০৫, মার্চ ১৮ শান্তর বিদায়ের পর তামিমকে সঙ্গ দেন আগের ম্যাচে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে ২১তম ওভারেই দলের ১০০ রানের কোটা পার হয়।    তানজিদ তামিমের ফিফটি ১৫:৩৩, মার্চ ১৮ সৌম্য সরকারের বদলি হিসেবে খেলতে নেমে চমক দেখিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫১ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।   ফিরলেন শান্তও ১৫: ১৩, মার্চ ১৮ শান্তর ব্যাট থেকে আরও একটি বাজে শট! শরীর থেকে বেশ দূরে ছিল বল। সেটায় ব্যাট ছুঁয়ে যায় টাইগার দলপতির। দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরল লঙ্কানরা।   ১০ ওভারে ৫৬/১ ১৫: ০৯ ১০ ওভার শেষে লঙ্কানদের স্কোর ছিল ৩৯/২। তাই এই ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশই। এনামুল ফেরার পর তানজিদের সঙ্গে ক্রিজে আছেন নাজমুল।    এনামুলের বিদায়ে ভাঙল জুটি ১৫: ০৩, মার্চ ১৮ কুমারার ফুললেংথে ড্রাইভ করেছিলেন এনামুল। তবে যেভাবে ব্যাটে হয়নি। ফসকে গিয়ে ধরা পড়েছেন কাভারে। খোলসবন্দী দশা থেকে বেরিয়ে আগ্রাসী আভাস দেওয়া বিজয় বেশিক্ষণ স্থায়ী হলেন না ক্রিজে। এতে ৫০ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।   বাংলাদেশের ৫০ ১৪: ৫৪, মার্চ ১৮ ১২.৩ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ৭.৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝারি রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। তাই কিছুটা চাপেই আছে লঙ্কানরা।   চারের পর ছক্কা তানজিদের ১৪: ৫৪, মার্চ ১৮ শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করে মেরেছিলেন তানজিম। এরপর এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেই তা গেছে লেগে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে। লাহিরু কুমারার ওভারের শেষ দিকেই এভাবেই আগ্রাসী আভাস দিয়েছেন এই ওপেনার। এতে ২৩ বলে ৩২ রান করে ফেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।   সৌম্যর কনকাশন তানজিদ, হাসপাতালে জাকের ১৪: ৩৯, মার্চ ১৮ বোলিং ইনিংসের শেষদিকে এসে ভিন্ন রকমের তিক্ত এক অভিজ্ঞতায় পড়েছে বাংলাদেশ। ক্যাম্পের কারণে মাঠ ছাড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে ক্যাচ নিতে গিয়ে জাকেরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান এনামুল হক বিজয়। স্ট্রেচারে করে দুজনই মাঠে ছেড়েছিলেন। শেষ খবর অনুযায়ী, জাকেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সৌম্যের ইনজুরিতেই বড় বিপদে পড়েছে লাল-সবুজেরা। ব্যাট হাতে মাঠে নামার মতো পরিস্থিতিতে নেই এই ওপেনার। ফলে সৌম্যর কনকাশন সাব হিসেবে ওপেনিংয়ে নেমেছেন তানজিদ তামিম।     লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি শ্রীলঙ্কার ১৩: ৫৭, মার্চ ১৮ পেসারদের কল্যাণে শুরুতেই শক্ত ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর স্পিনারদের ভেলকিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। টপ-অর্ডারের পর মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সেখানে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন লিয়ানাগে। লিয়ানাগের অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের জন্য ২৩৬ রান দরকার টাইগারদের। বিস্তারিত পড়ুন : লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি     লিয়ানাগের সেঞ্চুরি ১৩: ৪৯, মার্চ ১৮ সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বেশ ভালোভাবেই ক্রিজে থিতু হয়েছিলেন লিয়ানাগে। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিও পেয়েছেন এই ব্যাটার। এক্সটা কাভার দিয়ে কাভার ড্রাইভে এই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন লিয়ানাগে।     ব্রেক-থ্রু দিলেন সৌম্য ১৩: ৪০, মার্চ ১৮ মোস্তাফিজ উঠে যাওয়ার পর আক্রমণে এসেছিলেন সৌম্য। এসেই সাফল্য এনে দিয়ে ফিরিয়েছেন উইকেটে থিতু হওয়া ব্যাটারকে। পার্টটাইম এই পেসারের প্রথম বলে কবজির জোরে খেলতে চেয়েছিলেন তিকশানা। তবে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েছেন ডিপ মিডউইকেটে। ৪০ বলে ১৫ রানে ফেরার আগে গড়েছেন লিয়ানাগের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রানের জুটি। ৪৭.১ ওভারে ২১৪/৮   উঠে গেলেন মোস্তাফিজ ১৩: ৩৯, মার্চ ১৮ ব্যক্তিগত নবম ওভারেই একবার মাঠ ছেড়েছিলেন মোস্তাফিজ। তবে নিজের কোটা পূরণ করতে ফের মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে এবার রান-আপ নিয়ে গিয়েই আটকে গেলেন এই পেসার। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন বাঁহাতি এই পেসার। ৯ ওভারে ৩৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন ফিজ।   শ্রীলঙ্কার ২০০ ১৩: ৩২, মার্চ ১৮ ১৫৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে তিকশানাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছেন লিয়ানাগে। এই জুটিতে ইনিংসের ৪৬তম ওভারে এসে ২০০ ছুঁয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। আর অষ্টম উইকেটে ৫০ রানও হয়ে গেছে। ৪৬ ওভারে ২০৫/৭   মিরাজের স্পেলের ইতি...  ১৩: ১৭, মার্চ ১৮ নিজের কোটার ১০ ওভার শেষ করলেন মিরাজ। ৩৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়েছেন এই অফ-স্পিনার।  ৪৩ ওভারে ১৮৫/৭   লিয়ানাগের ৫০ ১২: ৫৭, মার্চ ১৮ সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জানিত লিয়ানাগে। মিরাজের ডেলিভারিতে লং-অনে ঢেলে দিয়ে ৫০ পূর্ণ করেছেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার চতুর্থ ফিফটি। ৩৯ ওভারে ১৬৬/৭।   ফের মিরাজের ভেলকি ১২: ৪৫, মার্চ ১৮ মিনিট ১০ আগেই ভাল্লালাগেকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিরাজ। এবার মিরাজের ভেলকিতে ক্লিন বোল্ড হাসারাঙ্গা। খানিকটা এগিয়ে রোম তৈরি করতে চেয়েছিলেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার। কিন্তু বাউন্সের কাছে পরাস্থ হয়েছেন তিনি। ৩৪.১ ওভারে ১৫৪/৭।   শ্রীলঙ্কার ১৫০ ১২: ৪২, মার্চ ১৮ ৩৩তম ওভারে ১৫০ পূর্ণ করল লঙ্কানরা। প্রথম ৫০ এসেছিল ৭৫ বলে। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ৫০-ও একই ৬১ বলে এসেছে। ৩৪ ওভারে ১৫৪/৬।   ষষ্ঠ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা ১২: ৩৫, মার্চ ১৮ মেহেদীর টস-আপ ডেলিভারিতে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে স্লগ-সুইপ করতে চেয়েছিলেন ভাল্লালাগে। তবে তা ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। মিড-উইকেটের সহজ ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। এতে ১৮ বলে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। ৩১ ওভারে ১৩৬/৬   ফিজের দ্বিতীয়, শ্রীলঙ্কার পঞ্চম ১২: ০৯, মার্চ ১৮ আগের ডেলিভারিটি শর্ট লেংথে করেছিলেন ফিজ। সেটি টেনে চার মেরেছিলেন আসালাঙ্কা। এবার ফিজের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে কাট করতে গিয়ে এজড হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো সফল মোস্তাফিজ। ২৫ ওভারে ১১৭/৫   প্রথম ছক্কা...  ১২: ০৫, মার্চ ১৮ রিশাদের বলে সামনে এগিয়ে ফুলটস পেয়ে লং অফের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মেরেছেন লিয়ানাগে। মেন্ডিস ফেরার পর আরেকটি জুটির চেষ্টা চালাচ্ছে লঙ্কানরা। ২৪ ওভারে ১১৩/৪   এবার ভিন্ন তাসকিন ১১: ৪৫, মার্চ ১৮ দ্বিতীয় স্পেলে ২ ওভার করেছেন তাসকিন। তবে এবার সফল হননি তিনি। ৭ ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার ৭-১-১৯-২।  ২২ ওভারে ৯৬/৪   ফের রিভিউ হারাল বাংলাদেশ ১১: ৪৫, মার্চ ১৮ নিজের প্রথম স্পেলে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন তাসকিন। এরপর সাফল্য পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ এবং রিশাদও। এবার লঙ্কানদের আরও চাপে ফেলার সিদ্ধান্তে লিয়ানাগের বিপক্ষে রিভিউও নেয় বাংলাদেশ। তবে তাতে উল্টো ক্ষতিই হয়েছে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের।  টেলিভিশন আম্পায়ার জানিয়েছেন, পরিষ্কার ইনসাইড-এজ ছিল। ফলে ইনিংসের ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় রিভিউটিও হারাল বাংলাদেশ।    ওয়ানডেতে রিশাদের প্রথম...  ১১: ৩৪, মার্চ ১৮ ইনিংসের ১৮তম ওভারে রিশাদকে প্রথমবার আক্রমণে এনেছেন দলপতি শান্ত। এসেই আস্থার প্রতিদান দিলেন এই স্পিনার। প্রথম বলেই তুলে নিয়েছেন উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম উইকেট।  রিশাদের টার্ন করা বলে খোঁচা দিয়েছিলেন মেন্ডিস। যা গেছে উইকেটের পেছনে। সেখানে লুফে নিয়েছেন মুশি। ফলে ৫১ বলে ২৯ রান করে থেমেছেন মেন্ডিস। ১৭.১ ওভারে ৭৪/৪   এবার ফিজের আঘাত ১০: ৫৯, মার্চ ১৮ অনুমিতভাবেই শরীফুলের জায়গায় মোস্তাফিজ। আর প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দিলেন দ্য ফিজ। তার ভেতরের দিকে ঢোকা বল ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন সামারাবিক্রমা। তাতে লাভ হয়নি। বল ব্যাট ছুঁয়ে সোজা এসেছে উইকেটের পেছনে। আর সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। ১০.২ ওভারে ৪১/৩   শ্রীলঙ্কার ১০ ওভার শেষে... ১০: ৫৫, মার্চ ১৮ প্রথম ওয়ানডে : ৭১/১ দ্বিতীয় ওয়ানডে : ৬০/৩ (দ্বিতীয় ইনিংস)  তৃতীয় ওয়ানডে : ৩৯/২   ২০২৭ বিশ্বকাপে চোখ হাথুরুর ১০: ৪৪, মার্চ ১৮ আগে আমরা ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে চেয়েছি, কিন্তু এখন ভাবছি… নিকট ভবিষ্যতে তেমন কিছু নেই, ফলে আমরা ২০২৭ সাল (বিশ্বকাপের) লক্ষ্য রেখে এগোনোর উপায় ভাবছি। এমন উইকেটে খেলার চেষ্টা করছি, যেখানে ব্যাটসম্যান ও বোলার উভয়ই সমানভাবে ম্যাচে থাকে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, বাংলাদেশ কোচ ৮ ওভারে ২৫/২   রিভিউ হারাল বাংলাদেশ ১০: ৪১, মার্চ ১৮ ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন সামারাবিক্রমা। তবে কপাল ভালো ব্যাটের কানায় লাগেনি তার। শরীফুলের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে কোনো একটা শব্দ হয়েছিল। এতে রিভিউ নেন দলপতি শান্ত। যদিও তাতে লাভ হয়নি; উল্টো রিভিউ হারাল বাংলাদেশ। বল ও ব্যাটে স্পষ্ট ফাঁক ছিল, আল্ট্রা-এজেও কিছু ধরা পড়েনি।  ৭ ওভারে ২৫/২   দুই ওপেনারই তাসকিনের ১০: ২২, মার্চ ১৮ রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন নিশাঙ্কা। তবে এবার আর কাজে আসবে রিভিউ!  তাসকিনের দারুণ লাইন-লেংথের সামনে পাত্তাই পেলেন না লঙ্কান দুই ওপেনার। নিজের প্রথম ২ ওভারে লঙ্কান দুই ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন। এবার ফেরালেন আভিস্কা ফার্নান্ডোকে। ৩.৫ ওভারে ১৫/২   প্রথম ব্রেকথ্রু তাসকিনের ১০: ১২, মার্চ ১৮ একপ্রান্তে শরিফুল আর অন্যপ্রান্তে শুরুটা করেছিলেন তাসকিন। ইনিংসের প্রথম ওভারে কেবল ১ রান খরচায় লঙ্কান দুই ওপেনারকে বেশ চাপে রেখেছিলেন এই পেসার। আর নিজের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে আক্রমণে এসে সেই ফায়দাই লুফে নিয়েছেন তাসকিন। টাইগার স্পিডস্টারের ফুললেংথের ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন নিশাঙ্কা। এতেই পড়েন এলবিডব্লুর ফাঁদে। তবে আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরোর সিদ্ধান্তে রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি এই ওপেনার। তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল লেগ স্টাম্প মিস করতো। মানে রিভিউ নিলে রক্ষা পেতেন নিশাঙ্কা!  শ্রীলঙ্কা ১/১, ১.৩ ওভার   লিটন প্রসঙ্গে হাথুরু ১০: ০৬, মার্চ ১৮ বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভাষ্য, লিটনের অভিজ্ঞতা সবসময়ই মূল্যবান, এমন একজন খেলোয়াড় যেকোনো সময় নেমে ম্যাচ জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে পারে। তবে এটাও বলা দরকার, কিছু সময় সে ফর্মে নেই। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের তাকে বাদ দিয়ে ভাবতে হচ্ছে।     টস ভাগ্য ১০: ০১, মার্চ ১৮ ৩-০ ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটিতেই টস জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। অন্যদিকে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ৩ ম্যাচেই টসে জিতলেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।   শ্রীলঙ্কা একাদশ ৯: ৪২, মার্চ ১৮ এই ম্যাচে একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। দিলশান মাদুশঙ্কার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মহীশ তিকশানা। শ্রীলঙ্কা একাদশ : আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিত ভেল্লালাগে, মহীশ তিকশানা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।     একাদশে তিন পরিবর্তন ৯: ৪০, মার্চ ১৮ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। দলে ঢুকেছেন বিজয়, মোস্তাফিজ ও রিশাদ। বাদ পড়েছেন তাইজুল, সাকিব ও লিটন। বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন।   টস ০৯:৩২, মার্চ ১৮ সিরিজ নির্ধারণী এই ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিল লাল-সবুজেরা। তবে দ্বিতীয়টিতে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা।   স্বাগতম ০৯:২৭, মার্চ ১৮ সবাইকে স্বাগতম আরটিভির লাইভ স্কোর আপডেটে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে কিছুক্ষণ পর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মাঠে নামবে টাইগাররা।