• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরাইলে দুই পোলিং এজেন্টসহ তিনজনকে সাজা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই পোলিং এজেন্টসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বুধবার (৮ মে) উপজেলার কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদেরকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ।  তিনি জানান, অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় কাপ-পিরিচ প্রতীকের এজেন্ট শাকির মিয়া (৩৯) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাকে দণ্ডবিধির ১৭১-চ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই কেন্দ্রে তালা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মো. হৃদয় মিয়াকে (২৮) ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করার সময় আটক করা হয়। তাকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া করা হয়।  এছাড়া ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় মো. রাকিব হোসেন (২৪) নামের একজনকে দণ্ডবিধির ১৭১-চ ধারায় ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
০৮ মে ২০২৪, ১৫:৫৩

ইমরান ও বুশরার ১৪ বছরের সাজা স্থগিত
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির সাজা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।  সোমবার (১ এপ্রিল) ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছর করে যে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা স্থগিত করার নির্দেশ দেন আদালত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের আপিলের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে রায় স্থগিতের আদেশ দেন ইসলামবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব। আদালতে ইমরানের আপিলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আলী জাফর। বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে কৌঁসুলি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ পারভেজ। তবে শুনানির সময় ইমরান খান বা তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুজনকে আলাদাভাবে ৭৯ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা ও ১০ বছরের জন্য যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর একদিন পর তাদের বিয়ে ‌‌‘অবৈধ’ ঘোষণা করে দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৭

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না। এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।  ৭৮ বছর বয়সী বিএনপির এই নেত্রী হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

গ্রাহকের অর্থ লোপাটে ব্যাংক কর্মকর্তার ৩৫ বছরের সাজা
ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার ফিল্ড সুপারভাইজার নূর মোহাম্মদকে গ্রাহকের সই জাল করে ভুয়া ঋণের নামে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৩৫ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালত এ রায় দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নুর মোহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখায় থাকাকালে গ্রাহকের সই জাল করে ১৮৬ জনের নামে ভুয়া বিনিয়োগ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে কৌশলে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে বিনিয়োগ ঋণ মঞ্জুর করে নেন নুর মোহাম্মদ। এরপর বিভিন্ন কৌশলে চেক সংগ্রহ করে ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ৭ কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তিনি। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২০:২৮

বাড়ছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ, বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ছে। তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা ১ এ যে আবেদন ছিল সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেই আবেদনের পরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নেই শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সেই কারণেই মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি। মানবিক কারণে তাকে বিদেশে পাঠানো যাবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন বলেন, না, যাই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। ‌যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, সে আইনে এ (বিদেশে পাঠানো) সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে মুক্তির মেয়াদ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে আবেদন দুদকের
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। পিকে হালদারের ১৩ সহযোগী হলেন-লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এছাড়া এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ অক্টোবর একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার। একই মামলা আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পি কে হালদার গ্রেফতার হন। সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন। সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আদালত এ মামলায় অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

ইউনূসের সাজা চলবে, বিদেশ যেতে নিতে হবে অনুমতি
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের সাজা চলবে। একই সঙ্গে তারা বিদেশ যেতে চাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। খুরশীদ আলম খান জানান, এ চারজন বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে। এ ছাড়া রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।  শুনানি চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।  এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কূটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কি না। জবাবে কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন। তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন। এ ছাড়া ৩ মার্চ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি দেওয়া দণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত নিয়ে হাইকোর্টের রায় ১৮ মার্চ
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাজার রায় ও আদেশ স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেবেন আগামী ১৮ মার্চ। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত এ চারজনকে সাজা দেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পৃথক দুটি মামলায় জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ৩ সহকর্মীকে। শ্রম আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূস। আপিল করায় দেওয়া হয় এক মাসের জামিন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরা। তাদের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান আইনজীবী। তবে আপত্তি তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। পরে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক আমলে নিয়ে আদালত দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জামিন মঞ্জুর করে। এদিন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায়ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও জামিন পান তিনি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

সাজা কমছে সড়ক পরিবহন আইনে, বাড়ছে জামিনের সুযোগও
সড়ক পরিবহন আইনে বিভিন্ন ধারায় সাজা কমিয়ে অন্তত ১২টি ধারায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। পাশাপাশি দুটি ধারা অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।    প্রস্তাবিত আইনে বর্তমান ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ অজামিনযোগ্য ধারার ৮৪ ও ৯৮-কে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮ ধারায় ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ডের কথা আছে। এই ধারায় মোটরযানের মালিককে বীমা করতে বলা হয়েছে। আর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কোনো মোটরযানের কারিগরি নির্দেশ অমান্যের দণ্ডের কথা আছে ৮৪ ধারায়। তবে ১০৫ ধারা এখনকার মতো অজামিনযোগ্যই থাকছে। ১০৫ ধারায় বলা আছে, এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে, সে সংক্রান্ত অপরাধগুলো দণ্ডবিধিতে থাকা বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে। তবে শর্ত হিসেবে বলা আছে, দণ্ডবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কেউ গুরুতরভাবে আহত হলে বা প্রাণহানি ঘটলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৬৯ ধারায়ও সাজা কমানো হয়েছে। এ ধারার সাজার মেয়াদ দুই বছর রাখা হলেও অর্থদণ্ড কমিয়ে তিন লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষ ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত, প্রদান বা নবায়নে বিধিনিষেধ রয়েছে। বর্তমানে এই ধারা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর, তবে কমপক্ষে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ও কমপক্ষে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।  বর্তমানে মিটারে জালিয়াতির জন্য অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কাটা হবে। প্রস্তাবিত আইনে সেটি কমিয়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। অতিরিক্ত ওজন বহন করে মোটরযান চালানোর সাজাও কমানো হয়েছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৪

ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ শুনানি করা হয়। আদালত অবশ্য আজকের শুনানি মুলতবি করে ১০ মার্চ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদতের বেঞ্চে এ শুনানি করা হয়। শুনানিতে বিবাদী করা হয় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে। পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা জামিন রয়েছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় তাদেরকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। হাইকোর্টের শুনানিতে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল আদালত সাজা স্থগিত করতে পারে না। শুধু জরিমানার আদেশ স্থগিত করতে পারে। শুনানির সময় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর ৩ জনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামী ১০ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ৩ সহকর্মীকে। শ্রম আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূস। আপিল করায় দেওয়া হয় এক মাসের জামিন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরা। তাদের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান আইনজীবী। তবে আপত্তি তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। পরে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক আমলে নিয়ে আদালত দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জামিন মঞ্জুর করে। এদিন ড. ইউনূস বলেন, আপনারা আজকের এই ছবিটা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বটতলায় আমরা সবাই। এটা ঐতিহাসিক একটা ছবি। এটা আজকে-কালকে পত্রপত্রিকায় বের হবে। কিন্তু এটা যুগ যুগ ধরে নানা বইতে প্রকাশিত হবে। আপনারা সেই ইতিহাসের সাক্ষী। তিনি বলেন, এটা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের মধ্যেও সীমাবদ্ধ নয়, সারা দুনিয়ার মানুষ লক্ষ্য করছে এই বিচারে কি হলো। আমরা যা যা করছি তা সবই তারা দেখছে। তিনি আরও বলেন, এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে তার পক্ষে লিখুন, বিপক্ষে লিখুন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এটা রেকর্ডেড। জাতির ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে যাবে। এটার জন্য কি আমরা গর্ববোধ করব, নাকি অপরাধবোধ করব? এ রকম একটা সন্তানকে এমন অপরাধে অপরাধী কেন করলাম? এগুলোর জবাব থেকে মুক্তি নেই।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়