• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেলায় জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, আটক ৫  
সিরাজগঞ্জের তাড়া‌শ উপজেলার বারুহাস বৈশাখী মেলায় জাদু খেলার নাম ক‌রে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনকালে ৫ জন‌কে আটক করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে তাড়াশ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার গভীর রা‌তে মেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মো. সালামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৩), তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (১৯), বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে মো. মিনারুল (২৪), শেরপুর উপজেলার হাটগাড়ী গ্রামের করিম হাসানের স্ত্রী মোছা. লাবলী আক্তার (২৩) ও শিবগঞ্জ উপজেলার জামুরহাট দক্ষিণবেলাই গ্রামের মো. সোলেমানের মেয়ে মোছা. শিমু আকতার (১৯)।  স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে বৃহস্প‌তিবার পর্যন্ত প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বাংলা নববর্ষ উপল‌ক্ষে বাৎস‌রিক গ্রামীণ বৈশাখী মেলাটি শুরু হয়। আর মেলার শুরু থেকে সেখানে জাদু খেলার না‌মে অশ্লীল নৃত্যর আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা শুরু থেকে বারবার প্রতিবাদ করলেও অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হয়নি। এতে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করেন। প‌রে তাড়াশ থানা পু‌লিশ গি‌য়ে ওই পাঁচজন‌কে আটক ক‌রে নিয়ে আসেন।  তাড়াশ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম গণমাধ্যমকে ব‌লেন, আটককৃত ওই পাঁচ‌জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরে আদালতের মাধ্য‌মে জেলহাজতে প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। পাশাপা‌শি এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩

সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই
নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শহরের কুড়ির ডোব মাঠে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।  বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী এ ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৬টি ষাঁড় অংশ নেয়। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল সুঠাম দেহের ও বাহারি রঙের। লড়াই দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা বয়সী মানুষ। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাঠটি।  যশোরের অভয়নগর থেকে আসা সূর্য কুমার বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিবছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসি। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এসেছি। সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আগে অনেক জায়গায় হতো, এখন হয় না। এই সুলতান মেলায় প্রতিবছর হয়। তাই অনেক মানুষ এসেছে। ষাঁড়ের লড়াই দেখছি, খুব ভালো লাগছে।  এ দিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া উৎসবের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে সুলতান মেলায় এসব খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।  সুলতান মেলার ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মন্নু বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া যে ক্রীড়া উৎসব রয়েছে সেগুলোর নবজাগরণ সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারা মাদক থেকে সরে এসে খেলাধুলা, লেখাপড়ার ভেতরে আসুক এবং নিজেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি হোক সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল নড়াইলের সুলতান মঞ্চে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কুড়ির ডোব মাঠে ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব শিরোনামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল এ মেলা শেষ হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৭

মেলায় জুয়ার আসর বসানোকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্র খুন, গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীর সেনবাগে কলেজছাত্র মাজহারুল ইসলাম শাওন (২০) হত্যার ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকার মনোয়ার মেডিকেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তারকৃত শামিম (২০) উপজেলার মোহাম্মপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের মোস্তফা হক সাহেবের ছেলে এবং সে স্থানীয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিল।    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।  র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ সূত্রে জানা যায়, সেনবাগে বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর বসানোকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্র মাজহারুল ইসলাম শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গত বুধবার ১৮ এপ্রিল রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। সে দাগনভূঁইয়া সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।   স্থানীয়দের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারের শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক। এজন্য কয়েকদিন ধরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বুধবার রাতে মেলায় জুয়ার আসর বসানো হবে কিনা তা নিয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে শাওনের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শাওনের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। একই সময়ে পিয়াস নামের আরেক তরুণকে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা আঞ্জুমান আরা রুনা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।    
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯

বৈশাখের ‘মেলায় যাইরে’ গান তৈরির পেছনের গল্প
পহেলা বৈশাখ এলেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডায় বাজতে শোনা যায়  ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি। গানটি ১৯৯০ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। গান তৈরির হিসেবে এবার ৩৪ বছর হতে চলছে। গানের বয়স বাড়লেও এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।  বৈশাখের এই গানের সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক। ১৯৯০ সালে গানটি যখন প্রকাশ পায় তখন তিনি যুক্ত ছিলো জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছেড়ে ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন মাকসুদুল হক। কীভাবে গানটি তৈরি হয়েছিল, সেই গল্প শুনিয়েছিলেন গানটির স্রষ্টা মাকসুদ।  মাকসুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গানটি লিখি ১৯৮৮ সালে । প্রথমত গানটি আমি একবারে লিখতে পারিনি। আমার সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর  সাত-আটবার সংশোধন করেছি। এরপর  সুর করেছি।  স্টেজে আমরা গানটা পারফর্ম করাও শুরু করি। গানটি রেকর্ডিং একদিনে হয়নি। অনেক সময় লেগেছে। আমরা  সেই সময়  ডিজিটালে রেকর্ডিং করেছি। সেজন্যই সময় বেশি লেগেছিল।  ঢাক, ঢোল, মন্দিরার শব্দ লাইভে বাজানো সম্ভব নয়। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়েও বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পুরো গান তৈরি হতে  প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছিল।  গানের জন্মকথা প্রসঙ্গে মাকসুদ দেশের এক পত্রিকায় তার লেখায়  উল্লেখ করেছিলেন, কত সময় ব্যয় করে এর কথা লিখেছি, তার সঠিক হিসাব-নিকাশ হয়তো এখন দেওয়া সম্ভব নয়। এটুকু মনে আছে, গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। লেখা শেষে নিজেই তাতে সুর বসিয়েছি। এরপর ফিডব্যাকে সদস্যদের সঙ্গে বসেছি কম্পোজিশন নিয়ে। বাদ্য বাদনেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর কণ্ঠে তুলি নিয়েছি গান। গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে, লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা, লেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয়ে মাতন দোলা; বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতে, ফিরে এলো সুরেরই মঞ্জরি; পলাশ শিমুলগাছে লেগেছে আগুন, এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে...। স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করা পর্যন্ত একটি গানের পেছনে কত সময় ব্যয় করতে হয়, তার লেখাজোখা থাকে না। কারণ, সংগীত কোনো কাজ নয়, একধরনের সাধনা। যারা গান করেন, তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে কতটা শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়। যা হোক, “মেলা” গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা—প্রত্যেকেই অন্য রকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে  চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডক্যাকের প্রথম কনসার্টে ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি প্রথম গাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাকসুদ বলেন,   সেই কনসার্টে আমরা প্রথম এই গান গাই। একেবারে নতুন গান। কিন্তু এটা শোনার পর  ডাক্তার ও ছাত্র সবাই একসঙ্গে নেচেছে।  সবার অনুরোধে সেদিন এই গান আমাদের দুবার গাইতে হয়েছিল।   নব্বই দশকে যখন গানটি তুমুল জনপ্রিয় তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বলেন, ১৯৯২ সালে  তো ল্যান্ডফোন ছিল । এক ভদ্রমহিলা বাসার ল্যান্ডফোনের নাম্বারে বারবার ফোন করেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। যখন ফোন করতেন আমাকে তিনি বাসায় পেতেন না। আমার স্ত্রী এটা বলার পর একদিন আমি সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম।  তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার  কাছে এই গান  কি  আমি জানি না।  তবে  আমার কাছে  এই গান  অনেক কিছু। আমার কোলে তিন মাস বয়সী শিশু এখন।  তাকে কিছুতেই দুধ খাওয়ানো যেত না। অনেক কষ্ট হতো।  একদিন আপনার গানটা ঘরে বাজছিল তখন আমার বাচ্চা হঠাৎ করেই দুধ  খাওয়া  শুরু করল। এখন এই গান না শুনলে আমার বাচ্চা দুধ খায় না। এই কথা শোনার পর  আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি চলে এসেছিল। এখন মনে হয়, এটুকু ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আমাকে দিয়ে গানটা করিয়েছিলেন। সবার এসব ভালোবাসার  আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ, ওটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে ‘মেলায় যাইরে’  কত হাজার লোক তালি দিল, নাচল।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

যে মেলায় ডুব দিয়ে হয় ‘পাপমোচন’
টাঙ্গাইলের বাসাইল কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী ডুবের মেলা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। মাঘী পূর্ণিমায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যা মানুষের মুখে মুখে ডুবের মেলা নামে পরিচিত। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই মেলায় নদীতে পূণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় জেলার দূর দূরত্ব থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলা আসেন।  স্নান উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপণ করেন। গঙ্গাস্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এই স্নান অংশ নিলে পূর্ণ মিলে।দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়ে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে। এই মেলা ব্রিটিশ শাসনামলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত। ডুবের মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্নান উৎসব চলে।  নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। সুজন সরকার বলেন, আজকে আমরা মাঘী পূর্ণিমার মেলায় আসছি। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পূর্ণ্য স্থান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাস্নান হয়। ১০০ বছর ধরে এই গঙ্গাস্নান চলে আসছে। ডুবের মেলায় যারা আসে তারা মনের বাসনা নিয়ে গঙ্গাস্নান করতে আসেন। গঙ্গাস্নান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়। দেবাশীষ দাস বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে আজকে এই মাঘীপূর্ণিমার তিথিতে উত্তর বাহিত জলে স্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। অনেকের মনে আশা থাকে যে স্নান করলে তাদের মনের আশা পূরণ হয়। পুরোহিত রবিন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে এই গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। এই গঙ্গাস্নানকে বলে মাঘীপূর্ণিমার গঙ্গাস্নান। ৩০-৪০ জন পুরোহিত এই গঙ্গাস্নানে এসেছে। দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহণ করে। পূণ্যার্থীরা তাদের মনের বাসনা নিয়ে এখানে আসেন। তারা ডুব দিলে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন বলেন, পূর্বপুরুষ থেকেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঘীপূর্ণিমায় ডুবের মেলা পালন করে থাকেন। মেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫০

বাণিজ্য মেলায় বিশেষ ছাড়, নজর কেড়েছে ক্রেতাদের
হরেক রকমের পণ্য কিনতে ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ভিড় বেড়েছে দর্শনার্থীদের। তৃতীয় সপ্তাহে এসে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বাণিজ্য মেলা। বাড়ছে দর্শক সমাগম। আর দর্শকদের মেলামুখী করতে ব্যবসায়ীরাও আকর্ষণীয় অফারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কেনাবেচা তেমন নেই। তাই বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বেশ জমজমাট পরিবেশ মেলায়। বরাবরের মতোই গৃহস্থালি পণ্য, হোম টেক্স ও অন্যান্য পোশাক, কসমেটিকস, খাবারসহ বিভিন্ন স্টলে দেখা মিলছে ক্রেতা উপস্থিতি। সময় কম তাই কেনাকাটাতেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন তারা। হাতে আছে আর মাত্র কয়েক দিন। তাই লাভের অঙ্ক কমিয়ে এখন পণ্য বিক্রিতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিক্রেতারা। রয়েছে মূল্যছাড়। কারও ব্যবসা আশাবাদী হলেও এবার বিক্রি কম বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে আগামী কয়েক দিনে কেনাবেচা বেশি হওয়ার আশা জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা ছুটির দুদিন শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে নিয়েছেন বিশেষ উদ্যোগ, ক্রেতা বাড়াতে দিচ্ছেন নানান অফার সকল প্রকার পণ্যে মূল্যছাড়। ক্রেতা টানতে বিশেষ ছাড় ও অফার নিয়ে হাজির হয়েছে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নগুলো। খাদ্যপণ্যের ওপর স্পেশাল ছাড় দিচ্ছে বিস্ক ক্লাব। তাদের স্টলে ওয়েফার, কুকিজ ও কেকের স্পেশাল বক্সে ৩১০ টাকার আইটেম পাওয়া যাচ্ছে ২৪৯ টাকায়। এর সঙ্গে বক্স দেওয়া হচ্ছে ফ্রি। তাদের বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, স্টলের প্রতিটি পণ্যেই রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া বিভিন্ন কম্বো ও ফ্যামিলি কম্বো প্যাকেও রয়েছে আকর্ষণীয় ছাড়। মি. নুডলসের কম্বো প্যাকের সঙ্গে টমেটো সসের বোতল দেওয়া হচ্ছে ফ্রি। পোশাক ও ক্রোকারিজ আইটেমেও রয়েছে ছাড়। মেলায় ক্লাসিক্যাল হোমটেক্স বিশেষ ডিসকাউন্টে কম্বল, কমফি, ব্রেড কাভার, পিলো, কাশমিরি চায়না পর্দা বিক্রি করছে। হোমটেক্সও দিচ্ছে কম্বল, বিছানার চাদরসহ আরও কয়েকটি পণ্য। প্রভিডেন্স দিচ্ছে জুতা, জ্যাকেট, শার্ট, পলো শার্ট, প্যান্টসহ আরও কয়েকটি পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। বনানী ও উত্তরায় শোরুমেও চলছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ক্রোকারিজ আইটেমেও চলছে নানা অফার। এ ছাড়া ছাড় দিচ্ছে আরএফএলের প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলোও। রয়েছে উপহারও। স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু হওয়া এই মেলায় এতদিনে দর্শনার্থী থাকলেও তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। তবে ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থী অনেক বেশি দেখা গেছে। মেলার শেষ সময়ে বিক্রি আরও বাড়বেন বলে জানান বিক্রেতারা।    এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ। এবারের মেলায় ফুড বাংলো, সুলতান কাচ্চি, লাইবা রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশ কিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, ফালুদা, বিফ কাচ্চি, মাংস, সবজি, বডি কাবাব, মাটন হালিম, ফ্রাইড চিকেন, লাচ্ছি, নুডুলস, চিকেন চাপ, মাছ, কফি, মাটন কাচ্চি, জুস, ফুসকা, চিকেন গ্রিল, ডাল-পরোটা, ভাত, পানীয়, চটপটি, কাবাব ও খিচুড়ি থেকে শুরু করে থাই স্যুপের বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে লুচি আর চিকেন চাপের চাহিদা বেশি। অনেকেই মাটির পাত্রে স্পেশাল চা, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় জমান। রাজধানীর কমলাপুর থেকে সপরিবারে মেলায় ঘুরতে আসা এক গৃহবধূ বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের দাম বেশি। খাবারের মান ও পরিমাণ অনুযায়ী দাম আরেকটু কম হওয়া উচিত। রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে মেলায় আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ স্টলে মূল্যতালিকা নেই। আবার কেউ কেউ তালিকায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও খাবারের দাম বেশি রাখছেন। কেউ কেউ খাবার খেয়ে বিল দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। কেউবা খাবারের পর বিলের রসিদ দিচ্ছেন না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, খাবারের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা প্রদর্শন করা না হলে কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা কিংবা খাবারের দাম বেশি রাখা হলে আইনের আওতায় আনা হবে।   উল্লেখ্য, রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হওয়া ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মেলা চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

মেলায় মোশতাক আহমেদের ১২০ বইয়ের সমাহার
অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মোশতাক আহমেদের চারটি নতুন বই প্রকাশ হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের মেলায় তার ১২০টি বই পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখা যায়, সবগুলো প্রকাশনায়ই কমবেশি বই বিক্রি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে অনিন্দ্য প্রকাশে গিয়ে দেখা গেল সায়েন্স ফিকশন, প্যারাইসাইকোলজি, ভৌতিক, গোয়েন্দা উপন্যাসের বিশাল উচু স্তুপ।   এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনিন্দ্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী আফজাল হোসেন জানান, সব বই বহুমাত্রিক লেখক মোশতাক আহমেদের। পাঠকের কাছে তার উপন্যাসের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে সব উপন্যাস একসঙ্গে জড়ো করে রাখা হয়েছে।  অনিন্দ্য প্রকাশ হতে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় নব্বইটি এবং মেলা উপলক্ষে ত্রিশটির অধিক উপন্যাস পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এবারের মেলায় মোশতাক আহমেদের নতুন চারটি উপন্যাস এসেছে। প্যারাসাইকোলজি উপন্যাসটির নাম- হারানো জোছনার সুর। এ ছাড়া সায়েন্স ফিকশন দ্যা ওল্ড ওয়ার্ল্ড, ভৌতিক মৃত্যুবাড়ি এবং শিশিলিন গোয়েন্দা সিরিজের রূপার সিন্দুক।  অনিন্দ্য প্রকাশের প্যাভিলয়নে দেখা মেলে লেখক মোশতাক আহমেদের। তিনি বইয়ের ক্রেতাদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। লেখক জানান, এবারের বইমেলায় সবমিলিয়ে তার ১২০টি বই বিক্রি হচ্ছে। কীভাবে এত উপন্যাস লিখেন জানতে চাইলে মোশতাক আহমেদ বলেন, প্রতিদিন সকালে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত নিয়মিত লিখি। এজন্য বছরে চার থেকে পাঁচটি উপন্যাস লিখতে পারি। আমার স্বপ্ন দেশের সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়ে যাওয়া। ভালো অনুবাদকের অভাবে কাজটা করতে পারছি না। বইমেলায় পাঠক উপস্থিতি ও তাদের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সন্তুষ্ট বলে জানান। উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যে মোশতাক আহমেদ বহুমাত্রিক লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন। কারণ তার লেখালেখি শুধু কোনো একটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি যেমন সামাজিক ও ভৌতিক উপন্যাস লিখছেন, তেমনই লিখছেন গোয়েন্দা ও সায়েন্স ফিকশন। নতুন ধারার প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভ্রমণ ও মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস রচনায়ও তিনি সমাদৃত হচ্ছেন সর্বত্র। মোশতাক আহমেদ ২০১৮ সালে বাংলা একেডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

‘বাণিজ্য মেলায় প্রতারণা করলে স্টল বরাদ্দ বাতিল’
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর বসছে আগামীকাল রোববার (২১ জানুয়ারি)। এবারের মেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ একাধিক মনিটরিং জোরদার থাকবে। প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেলে বাতিল করা হবে স্টল বরাদ্দ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবেশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ (ডিআইটিএফ) উপলক্ষে সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় এ হুঁশিয়ারি দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ রাখা হবে না। ভোক্তা অধিদফতরসহ একাধিক মনিটরিং জোরদার থাকবে। প্রতারণার প্রমাণ পেলে বাতিল হবে স্টল। মেলায় আসার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে যোগাযোগের হাব হিসেবে থাকবে ফার্মগেট। সেখান থেকে মেলা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে যাতায়াত করবে বিআরটিসি পরিবহন। তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রফতানি বাড়ানোই বাণিজ্য মেলার মূল লক্ষ্য। গার্মেন্টসের মতো পাট ও চামড়াকে গুরুত্ব দিয়ে রফতানিতে জোর দিতে হবে।   সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, পূর্বাচলে মেলা প্রাঙ্গণে নতুন করে বাকি কাজ শেষের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছে। অতীতের বিভিন্ন সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।   রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, রোববার ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করা হবে। এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ টাকা।   বিভিন্ন ক্যাটগরির ৩৫১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকছে এবারের আয়োজনে। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র। বাসের সার্ভিস রুটও বাড়ানো হয়েছে এ বছর।   
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৫

ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় দেড় কোটি টাকার মাছ বিক্রি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইলে প্রতি বছর পৌষের শেষ দিন বসে মাছের মেলা, যেটি এলাকায় জামাই মেলা নামে বিখ্যাত। এদিন এ মেলা থেকে মাছ কিনে জামাইরা শ্বশুরবাড়িতে যান। মেলায় জামাই-শ্বশুরের মধ্যে চলে বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতা। এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবে মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ। দিনব্যাপী এ মেলায় অন্তত দেড় কোটি টাকার মাছ কেনা বেচা হয়। আর দেশি বিদেশি মাছ কিনতে বিভিন্ন জেলার মানুষ ভিড় করেন এখানে।  এক বছর, দুই বছর নয়, প্রায় আড়াইশ বছর ধরে উপজেলার জামালপুর, জাঙ্গালীয়া ও বক্তারপুর ইউনিয়নের বিনিরাইল এলাকায় বসে এই ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা। নামে জামাই মেলা হলেও মূলত এখানে বিক্রি হয় ছোট বড় দেশি বিদেশি নানা পদের মাছ। মেলা উপলক্ষে সকাল থেকেই সহস্রাধিক দোকানে মাছের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন মাছ বিক্রেতারা। মেলায় চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। সামুদ্রিক চিতল, বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কালিবাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রূপচাঁদা, শাপলাপাতা মাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা রকমের দেশি মাছ। বড় আকারের মাছকে ঘিরেই জটলা বেশি ক্রেতাদের। জামাই-শ্বশুরদের মধ্যেও হয় সে মাছ কেনার নীরব প্রতিযোগিতা। বিক্রেতারা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা মেলায় মাছ বিক্রি করতে এসেছেন। এখানে উৎসবের আমেজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্রেতারা মাছ কিনেন। মেলায় গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। মাছের সঙ্গে মেলায় আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি, বস্ত্র, হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যের হাট বসেছে। ৪০, ৫০ ও ১২০ কেজি ওজনের নানা পদের মাছের ঠাঁই হয়েছে মেলায়। আর এসব দেশি বিদেশি মাছ সাশ্রয়ী দামে কিনতে পেরে খুশি এখানে আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। একদিনের এই মেলায় অন্তত দেড় কোটি টাকার বিক্রি শুধু মাছ কেনা বেচা নয়, হরেক রকমের মিষ্টি, নানা ধরনের তৈজসপত্রসহ রকমারি পণ্যের হিসাবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়