• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিকার ১৯ দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা
নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পরে প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সিফাত শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগে এক দীর্ঘ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সিফাত লেখেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেলো আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক। আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কি হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই। তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো এক সঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো এক সাথে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করলো। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্য দিকে আমার তানহা ও শেষ আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবার ও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সাথে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম বাস্তবে তা হলো না তাই আমার মৃত্যুর পরে তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙুর রে মারছি শুধু একটা কারণে হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিলো ভালো থাকুক আঙুর আর আঙুরের পরিবার। নিহতের পিতা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাত বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কু-প্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কু-প্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এইসব বিষয়ে  গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা  
রাজধানীর কোতোয়ালিতে বাবার ওপর অভিমান করে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে অর্পণ কর্মকার (১৬) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শাঁখারি বাজার কৈলাস ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অর্পণ কর্মকার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দোয়াজানি গ্রামের দীপঙ্কর কর্মকারের একমাত্র ছেলে। নিহতের বাবা দীপঙ্কর কর্মকার বলেন, আজ দুপুরের দিকে সামান্য বিষয় নিয়ে ছেলেকে বকাঝকা দিয়েছিলাম। তাই আমার ওপর অভিমান করে বাসার সপ্তম তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সে। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যায় অর্পণ। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা হলো বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। আমি আগে যদি জানতাম, তাহলে অর্পণকে কিছুতেই বকাঝকা দিতাম না। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শাঁখারি বাজারের কৈলাস ঘোষ লেন থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৮

রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে। মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

প্রেম করে বিয়ের ২ মাসের মাথায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফাঁস দিয়ে মুন্নী আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত মুন্নী ওই গ্রামের জাপান প্রবাসী তানভীরের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের কেনা গ্রামের অলি আহমেদের মেয়ে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরে স্বামী জাপান চলে যায়। শাশুড়ি ছাড়া ঘরে তেমন কেউ থাকে না। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগরের ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ জানান, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

রাজধানীতে চীনের মেডিকেল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মালিবাগের একটি বাসা থেকে এক বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম এইচ এম রায়হান আহাদ (২৩)। তিনি চীনের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রুমমেট ডা. রেজা বলেন, মালিবাগের একটি ফ্ল্যাটে আমরা পাশাপাশি কক্ষে থাকতাম। রায়হান চীনের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করত। করোনার সময়ে সে দেশে চলে আসে। পরবর্তীতে অনলাইনে সে ক্লাস করত। ডা. রেজা আরও জানান, কয়েকদিন আগে ওই মেডিকেলের কর্তৃপক্ষ তাকে চীনে যেতে বলে। তারপর থেকেই সে মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ে। পারিবারিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে তার পক্ষে চীনে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বেশ কয়েক মাস ধরে রায়হান রাজধানীর বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল। কিন্তু এতেও অনেক টাকা লাগবে বলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তিনি জানান, আজ সন্ধ্যার দিকে সে শুয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আমরা সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে গলায় পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।    
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন স্ত্রী। পরে স্ত্রী নিজেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মানস কুমার জানান, ঝর্না খাতুনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ভর্তি করানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। আর আহত আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কলারোয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কলারোয়া উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। ছোট স্ত্রী ঝর্না খাতুন স্বামী আজহারুল ইসলামকে রাতে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে হাত ও পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। একই সঙ্গে ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খান। আজ ভোরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের দুই জনকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  তাদের অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

প্রেমিকার উপহারের পোশাক পরে তরুণের আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমিকার ওপর অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমার (২৫) নামের এক যুবক।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। তার বাড়ি সুন্দরবন-সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার জেলেখারী গ্রামে।  প্রদীপ কুমার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিওকলের কিছু মুহূর্ত ও ছবিও পোস্ট করেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রদীপ পোস্ট করেন, ‘পাখি দুবছর আগে তোমাকে বলেছিলাম, আমাকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক করলে আমি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব’। আজ তোমাকে অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখে সহ্য করতে না পেরে তোমার দেওয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চির বিদায় নিলাম’। পাখি তুমি একটা বেঈমান, পুনরায় কারও সঙ্গে এমন বেঈমানি যাতে না করো তাই আমি চলে গেলাম।’  মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী বলেন, প্রদীপের বংশীপুরের একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ওপরে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক তরুণের আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৩

পল্টনে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে মঞ্জুরী আফরোজ (৫৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পুরানা পল্টনের ৫৯/৩ নম্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেলিম উল্লাহের মেয়ে। ডিএমপির পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুফিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঞ্জুরী আফরোজের মানসিক সমস্যা ছিল। সকালে সবার অগোচরে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন তিনি। এতে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসআই মো. সুফিয়ান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৫

স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া, গৃহবধূর আত্মহত্যা
রংপুরে স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী সাগরকে আটক করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুরের চামড়াপট্টি হাজীপাড়া শাপলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন সাগর। কিন্তু উভয় পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত তাদের। এরই জের ধরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বাসায় মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বৃষ্টি ও স্বামী সাগরের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রাতেই ঘরের ছাদের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্বামী ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বামী সাগরকে আটক করে। এ বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। বৃষ্টির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮

মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বন্ধন পাল (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহত বন্ধন পাল রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার শ্রী শুনীল চন্দ্রের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত বন্ধন পালের পরিবারের লোকজন স্নান করার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যায়। বন্ধন পাল বেশ কিছুদিন ধরে বাবার কাছে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে। বাবা মোটরসাইকেল কিনে দিতে দেরি হওয়ায় সেই অভিমানে ও বাড়ি ফাঁকা পেয়ে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করে বন্ধন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা শুনীল চন্দ্র বলেন, আমার চার ছেলে। তার মধ্যে বন্ধ পাল সবার ছোট। সে কয়েকদিন আগ থেকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য বায়না ধরে। আমি বলছি বাবা হাতে টাকা নাই, টাকা হলে কিনে দিবো। গাড়ি কিনে দিতে দেরি হওয়ায় সে আজ গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেকে শেষ করলো। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাই এভাবে যেন আর কোনো বাবা তার সন্তান না হারায়। রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়