• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
নিজেদের ট্যাংকের গোলায় প্রাণ হারালেন ৫ ইসরায়েলি সেনা, আহত ৭
দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির গোপন সম্পদের মূল্য ২ হাজার ৬৩৬ কোটি
দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি। তাদের ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে সেই দেশে।  সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক। একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানি সাংবাদিকতা প্রকল্প মঙ্গলবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে।  তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম রয়েছে। তাদের নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।  ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। যুক্তরাজ্য, মিসর, সাইপ্রাসের নাগরিকদেরও সম্পদ রয়েছে দুবাইয়ে। দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের এ তালিকায় রয়েছে দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও। তাদের মধ্যে ছয়জন রাজনৈতিক ও একজন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি।  পাকিস্তানের দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন। আরও রয়েছেন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। ছয় মাসে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ১ হাজার ৪৪টি কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে। তাতে দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭৫টি। দুবাইয়ে বহু বাংলাদেশির অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়।   
হজ ফ্লাইটে আগুন, জরুরি অবতরণ
গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী শঙ্কামুক্ত
গতিপথ পাল্টাচ্ছে তিস্তা, নতুন নতুন জায়গায় বন্যার শঙ্কায় ভারত
দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি
ভূমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ইমরান 
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের এক ভূমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি এ রায় দেন। খবর দ্য ডনের। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একজন আবাসন ব্যবসায়ীকে অবৈধ উপায়ে সহায়তা করায় তার কাছ থেকে উপহার স্বরূপ জমিটি পান ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। যদিও বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন ইমরান। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে জামিনের আবেদন করেন তিনি।  ইমরানের দল পিটিআইয়ের একজন আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জামিন মঞ্জুরের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আরও দুটি মামলার শাস্তি ভোগের কারণে ভূমি দূর্নীতিতে জামিন পেলেও দ্রুতই কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না ইমরান। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের বেশ কয়েকটি অভিযোগের মুখোমুখি হন তিনি। তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান এবং পরবর্তীতে সাইফার ও অবৈধ বিয়ের মামলাসহ অন্যান্য মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে।
রাফায় ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার, বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
সাত মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার বেশির ভাগ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। এমন অবস্থায় শহরটি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬ লাখ মানুষ। গত ৬ মে থেকে শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন তারা। অন্যদিকে রাফা শহরের পাশাপাশি উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বিবিসি। আল জাজিরা বলেছে, গত ৬ মে থেকে রাফার প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি অভিযানে গত ৬ মে থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষ বা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপরন্তু জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়েও সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে। গত ১৪ এবং ১৫ মে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার ১৯টি এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত বা আংশিক স্থানান্তরে দুটি নতুন আদেশ জারি করেছে। এতে করে রাফা এবং উত্তর গাজায় গত ৬ মে থেকে জারি করা আদেশের সংখ্যা পাঁচে পৌঁছাল।’ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ মে থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ গত ৪৮ ঘণ্টায় রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাতে স্থল সৈন্য পাঠানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। গাজায় সাত মাস যুদ্ধের পর ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, রাফা দখল এবং হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করা ছাড়া ‘বিজয় অর্জন’ অসম্ভব। কিন্তু জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, রাফাতে সর্বাত্মক হামলা হলে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং মানবিক বিপর্যয় প্রকট আকার নিতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে হুমকি ইইউ’র
গাজার রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে হুমকি দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)। ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, রাফায় হামলা বন্ধ না করলে ইইউর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। খবর এএফপি। বুধবার (১১ মে) ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল রাফায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখলে অনিবার্যভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউর সম্পর্কের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিবৃতিতে ইইউ আরও বলেছে, রাফায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছে ইইউ। এই অভিযান বন্ধ না হলে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম আরও বেশি ব্যাহত হবে। এতে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হবে, দেখা দেবে দুর্ভিক্ষ। মানুষের দুর্দশা আরও বাড়বে। বিবৃতিতে ইইউ বলেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার থাকলেও তাদের সেটা (সামরিক অভিযান) করতে হবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় অর্ধেক গাজার দক্ষিণের রাফায় ঠাঁই নিয়েছেন। এসব ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি রাফায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে এভাবে হুমকি দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে, সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে বুধবার (১৫ মে) মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার পর সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে বন্দুকধারী ফিকোকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়েন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর। ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।  
ইটালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য গ্রেপ্তার
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অপরাধী সংগঠন হিসেবে পরিচিত কালাব্রিয়ান নদ্রানগেতার আধিপত্য কমিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইটালির কর্তৃপক্ষ৷ মঙ্গলবার (১৪ মে) কালাব্রিয়ান শহর কোসেনজায় অভিযান চালিয়ে ইটালির পুলিশ নদ্রানগেতা মাফিয়া চক্রের ১০৯ সন্দেহভাজন সদস্যকে আটক করেছে৷ ইটালির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট, লানজিনো-পাতিতুচ্চি ও জিঙ্গারি নামের দুটি চক্রের স্থানীয় সদস্যদের পাশাপাশি একজন শুল্ক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করে৷ নদ্রানগেতার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান মাফিয়াবিরোধী প্রসিকিউটর, কারাবিনিয়েরির বিশেষ পুলিশের পাশাপাশি ইটালির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়৷ গ্রেপ্তারকৃতরা কোসেনজা এলাকায় মাদক পাচার, মাফিয়া চক্র পরিচালনা ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এর আগেও নদ্রানগেতার সদস্যদের বিরুদ্ধে চালানো বিশেষ অভিযানে অপরাধ চক্রটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ গ্রেপ্তারকৃত প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়৷ মাদক পাচার থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, চুরির অভিযোগও ছিল তাদের বিরুদ্ধে৷ ইউরোপের মাদক ব্যবসা ও নদ্রানগেতা ইউরোপের কোকেইন বাজারের প্রায় ৮০% নিয়ন্ত্রণ নদ্রানগেতার হাতে বলে মনে করে ইটালির পুলিশ৷ মাদকগুলো সাধারণত লাতিন অ্যামেরিকা থেকে খাদ্য ও কাঠ পরিবহণকারী কনটেইনারের মাধ্যমে পাচার করা হয়৷ মাফিয়ার চক্রের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো সে চালান সরবরাহ করে থাকে৷ তবে নদ্রানগেতার অর্থ পাচারের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে জার্মানি৷ ২০২৩ সালের এক অভিযানে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩০ জনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
মুম্বাইয়ে ঝড়ে ভেঙে পড়ল বিলবোর্ড, নিহত বেড়ে ১৬
ভারতের মুম্বাইয়ে ভেঙে পড়া বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়া আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।  বুধবার নতুন করে আরও দুটি মরদেহের খোঁজ মেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬।  জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার কাজ চলার সময় ওই দুটি মরদেহ নজরে আসে। কিন্তু তখন সেগুলো উদ্ধার করা যায়নি। বিলবোর্ডের নিচে আর কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা দেখতে এখনও অভিযান চালাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ হঠাৎ আকাশ কালো করে ঝড় ওঠে মুম্বাইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ৬০ ঘণ্টা প্রতি কিমি বেগে ধুলোঝড়। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিও। ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় উপড়ে যায় বিজ্ঞাপনের বিশালাকার ধাতব বোর্ডটি। ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়েন অনেকেই। ঘটনাস্থলের যে সমস্ত ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায়, বিজ্ঞাপনী বোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রল পাম্পের ওপর। যার আঘাতে দুমড়ে গিয়ে নিচে নেমে আসে পেট্রল পাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও। বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। সেই ঘটনাতেই এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৭৫। স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন পেট্রল পাম্পে। কেউ কেউ এসেছিলেন তেল ভরাতে। আর সেই সময়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে নিহতদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মুম্বাই শহরের বিলবোর্ডগুলি নিয়ম মেনে লাগানো হচ্ছে কি না, তার তদন্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই বিলবোর্ডগুলি যে ধাতব কাঠামোর ওপরে লাগানো হয়, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দিতে হবে।  
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত  
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিরা। একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প এসব সম্পদের নথি ফাঁস করে দিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিতে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের নাম ও সম্পদের পরিমাণ।  মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ নামের ওই নথি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও রয়েছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে। ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদ  ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের প্রতিবেদনের শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী। তিনি ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত  তিনি প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের মালিক, এছাড়াও তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি। এম এ ইউসুফ আলী তিনিও ভারতীয় নাগরিক। তার পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। শামশীর ভায়ালিল আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। সুহাইল বাহওয়ান তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। আন্দ্রেই মোলচানভ রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে। বিনোদ আদানি তিনি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চ্যাংপেং ঝাও কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে। সকেট বর্মন তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মনের। ইগর মাকারভ সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। নগিব সাবিরিস তিনি মিশরের নাগরিক। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের। এছাড়াও তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও। সূত্র: ফোর্বস, ওসিসিআরপি