• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিলেটে কালবৈশাখীর তাণ্ডব
বাড়ছে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি, আতঙ্কে ২৫ লাখ মানুষ
সুনামগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সকল নদ-নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সকল নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে সুনামগঞ্জে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন জেলার ২৫ লাখ মানুষ। সোমবার (৬ মে) সকালে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফলে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে এ জেলার সুরমা, রক্তি, যাদুকাটাসহ সকল নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিনি আরও জানান, আশার কথা হলো সুনামগঞ্জে যেসব হাওর রয়েছে সেখানে পানি প্রবেশ করেনি। এই মুহূর্তে সুনামগঞ্জে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত গতিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আতঙ্কে আছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এই ভাটির জেলায় যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেটার ক্ষত এখনও ভোলেননি এই অঞ্চলের মানুষ।
সৌদিফেরত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির স্বামী
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
মৌলভীবাজারে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি
পানি বাড়ছে কুশিয়ারায়, বিপৎসীমার ওপরে সুরমা
সিলেটে ছুরিকাঘাতে সবজি বিক্রেতাকে খুন
সিলেটে ছুরিকাঘাতে এক ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম মো. আলী (১৭)। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সিলেটের ছড়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মো. আলী (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নুর আলীর ছেলে। তিনি নগরীর ছড়ারপাড় এলাকার রাহাত মিয়ার কলোনিতে বসবাস করতেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন। তবে তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি। ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, আলী একজন ভাসমান সবজি বিক্রেতা। শুক্রবার বিকেলে চালিবন্দর ভৈরব মন্দির-সংলগ্ন এলাকায় কিছু দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি মঈন উদ্দিন আরও বলেন, ছুরিকাঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।  এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন। সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা : নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রাইভেটকার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার একই পরিবারের নিহত চার সদস্য মো. রেজাউল করিম জামাল মৃধা (৪০), তার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৫), ছেলে কাওসার আহমেদ অনন্ত (১৩) ও জামালের ছোট ভাই মো. এনামুল হক মৃধার (৩৫) দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টায় বোয়ালিয়ার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাদের। জানাজায় শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ভোর ৫টার দিকে হবিগঞ্জ থেকে ফ্রিজিং লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার মৃধা বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকা। মরদেহ পৌঁছানোর খবর পেয়ে মানুষ ছুটে আসে মৃধাবাড়িতে।  গত বুধবার (১ মে) প্রাইভেটকার ভাড়া করে জামাল মৃধা তার স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে যান। মাজার জিয়ারত শেষ করে পুনরায় সাভার ফেরার পথে রাত ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিতলা নামক স্থানে প্রাইভেটকার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ৫ জন মারা যান।  এদিকে একসঙ্গে দুই ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে হারিয়ে জামাল মৃধার বৃদ্ধা মা মোসা. হালিমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এখন পাগলপ্রায়। বারবার তারা মূর্ছা যাচ্ছেন আর বিলাপ করছেন। 
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে ও পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী রহমত আলী (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকায় সুরমা নদীরপাড়ে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত গৃহবধূর নাম সুমা আক্তার (১৯), তিনি সুরমা ইউনিয়নের বেরিগাওঁ গ্রামের রহমত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিশ্বম্ভপুর উপজেলার মতুরকান্দি গ্রামের কিশোরগঞ্জ মহল্লার মৃত গোলাপ মিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রহমত আলী ও সুমা আক্তার এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। গত ৪ মাস যাবত সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন। স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহের ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।  বুধবার রাত সাড়ে ১১ সুরমা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে রড দিয়ে মাথায় আঘাত ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী সুমাকে হত্যা করে স্বামী রহমত আলী। এরপর মরদেহ বনের মধ্যে রেখে আসেন৷ নিহতের মায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রহমত আলীকে বুধবার রাতেই আটক করে। মরদেহ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড ও ছুরি উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, পরকীয়া সন্দেহের ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী সুমাকে বুধবার রাতে সুরমা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে রড ও ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে স্বামী রহমত আলী। তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের কথা সে স্বীকার করেছে।     
চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে সিলেটের শাহপরাণ এলাকার লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলওয়ার হোসাইন দিলাল (১৯) আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফজরের নামাজের সময় মসজিদের মুয়াজ্জিনের কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মো. দেলওয়ার হোসাইন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. মুসলিম আলীর ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের সময় মসজিদে আজান না হওয়ায় মুসল্লিরা গিয়ে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দরজা ভেঙে মুয়াজ্জিন দিলালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, চিরকুট লিখে মসজিদের মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ককি কারণে মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  
হবিগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ২
হবিগঞ্জের বাহুবলে মাছবোঝাই পিকআপ ও সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন পিকআপচালক হৃদয় মিয়া (২৬) ও হেলপার রিপন মিয়া (২৪)। জানা যায়, হৃদয় মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (পূর্ব নোয়াগাও) গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে রিপন মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজরের নামাজের পর সুতাং বাজার থেকে মাছবোঝাই একটি পিকআপ বাহুবল বাজারে কিছু মাছ পৌঁছে দেয়। পরে বাকি মাছ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল হয়ে জুড়ী যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় পৌঁছালে সিলেটগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যান। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল করীম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।