আনিসুলের দেখানো পথেই পরিবর্তন সম্ভব: রুবানা হক
ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী রুবানা হক বলেছেন, আমাদের চ্যালেঞ্জটা হবে, কী করে শ্রমিক-মালিক একসঙ্গে কাজ করবে। আমার প্রয়াত স্বামী আনিসুল হক দুই বছরে সেটা দেখিয়ে গেছেন; কিভাবে পরিবর্তন আনতে হয়। তার দেখানো পথেই পরিবর্তন সম্ভব।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে তিনি একথা বলেন।
রুবানা হক বলেন, দেশের পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যে ইমেজ সংকট রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। অনেকে মনে করেন, আমরা সবচেয়ে সস্তা। এই সস্তা কোনোভাবেই ভালো না বলে আমি ও আমার পরিষদ মনে করি। আমরা বলতে চাই, প্রতিযোগিতা হলো সবচেয়ে ভালো। কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে দরকষাকষির জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। সবাই এ বিষয়ে একমত হতে পারিনি। এখন সময় এসেছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেয়ার।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন শেয়ার বিল্ডিং মোটেও অ্যালাউড নয়। অথচ বহু চার লাইন, ছয় লাইন ফ্যাক্টরির শেয়ার বিল্ডিং রয়েছে। এখন আমাদের উচিত হবে অন্ততপক্ষে এসব কারখানায় যেন ফায়ার ও ইলেক্ট্রিক সেফটিটা নিশ্চিত করা যায়। গার্মেন্ট সেক্টরে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে ও গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গে কাজ করলে এ খাতের হারানো ইমেজ অবশ্যই ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের বেশ ভালো মানের ফ্যাক্টরি রয়েছে। আমরা মনে করি সেলফ মনিটরিংয়ের এখনই সময়। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত পোশাক। দেশেও সবচেয়ে বেশি মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত। আমরাই মূলত দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছি। আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়বদ্ধতার কোনও ত্রুটি দেখবেন না। তারপরও কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা ধরিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনে বিজিএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৪৯২ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯৯ ভোট। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। দুই বছর মেয়াদী (২০১৯-২১) এই নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৫৩ প্রার্থী অংশ নেন। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৪ প্রার্থী।
পি
মন্তব্য করুন