তিন ভাগে শুরু হতে পারে টাইগারদের অনুশীলন
করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে বেশ কয়েকটি দেশে। তাই স্থবির হয়ে থাকা ক্রীড়াঙ্গনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ড অনুশীলনের অনুমতিও দিয়েছে খেলোয়াড়দের।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সূচি চূড়ান্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটও অনুশীলনে ফিরিয়েছে ক্রিকেটারদের। পাকিস্তান, ভারতও একই পরিকল্পনা করছে। অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট চালু হচ্ছে ৬ জুন থেকে।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) চাইছে ক্রিকেটারদের মাঠমুখী করতে। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যে ভালো না সেটা নিয়েও ভাবছে বিসিবি।
তবে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিসিবি দ্রুতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে পারবেন বলে মনে করছে ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ। সেক্ষেত্রে থাকবে তিনটি ভাগ। যা একক অনুশীলন, দলগত অনুশীলন ও বোলারদের নিয়ে অনুশীলন।
এনিয়ে বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, একক অনুশীলন হতে পারে। এক্ষেত্রে সবাই এক ঘণ্টা করে সময় পাবে। যার সঙ্গে একজন সুপারভাইজার থাকবে, ট্রেনার ও ফিজিও থাকবে তবে সেটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
দলগত অনুশীলন নিয়ে বলেন, দল বলতে এখানে ৩ জনের দল থাকবে। আইসিসি বলছে, ১ জন, ৩ জন, ১০ জন ও ১০ জনের বেশি। এটা আসলে গাইডলাইন। এটা তো সবাই অনুসরণ করছে না। শ্রীলঙ্কা শুরু করেছে ১৩ জন নিয়ে। একটা গাইডলাইন দিয়ে রেখেছে। এভাবে আস্তে আস্তে চালু করার জন্য। আমরা ওইভাবে তৈরি করে রেখেছি। এটা যদি দল কেন্দ্রিক হয়, তাহলে আমরা সলোটা করতে পারবো না। আমাদের রেডি করা আছে। যখন বলবে শুরু করতে, তখন এটা করবো। হয়তো আমাদের ২ দিন সময় লাগবে প্রস্তুতির জন্য।
তৃতীয় ও শেষ ধাপের অনুশীলন হলো বোলারদের নিয়ে। এই সেশনে পেস, স্পিন দুই ধরণের বোলাররাই থাকতে পারবেন। এনিয়ে ডা. দেবাশিষ বলেন, এটা হবে শুধু বোলারদেরকে নিয়ে। পেস বোলারই মূলত, স্পিনাররা হয়তো আসবে।
এখনও এই ব্যপারগুলো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য যেসব ক্ষেত্রগুলো ব্যবহার করা হয় তার সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এরপরই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে কবে নাগাদ অনুশীলনে ফিরবে ক্রিকেটাররা।
এমআর/
মন্তব্য করুন