আলিয়াকে পাত্তা দেননি জামাল
কলকাতার হোটেলে জামাল ভূঁইয়াকে দেখতে এসেছিলেন আলিয়া ভাট। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক বলিউড অভিনেত্রীকে চিনতেন না। হয়নি আলাপ। সেলফিও তোলা হয়নি।
‘আমি তখন হোটেলের লবিতে। সেখানে একজন এসেছিলেন। তার সঙ্গে ছিল একজন মেয়ে। খুবই সুন্দর দেখতে। মেয়েটি বলেছিল তার নাম আলিয়া ভাট। আমি তখন জানতামই না, আলিয়া বলিউডের তারকা। পরে জানলাম, আমাকে দেখতেই নাকি লবিতে এসেছিলেন। আমার খেলা দেখে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। এখন আফসোস হয়, কেন যে তার সঙ্গে ছবি তুললাম না।’
জামাল হেসে হেসে এসব গল্প বলছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত ফেসবুক লাইভ আড্ডায়।
গেল বছর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সল্টলেক স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।
সফরকারীরা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন ওই হোটেলে ছিলেন ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও। সেখানেই দেখা হয় দুজনের।
যুবভারতী খ্যাত কলকাতার এই স্টেডিয়ামে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। গোলটি এসেছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের বাড়ানো বল থেকেই। যদিও শেষদিকে গোল পেয়ে যায় পর্যন্ত স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও সেদিন জয় হয়েছিল হাতছাড়া।
‘আমি ড্রেসিংরুমে গিয়ে অনেক চিৎকার চেচামেচি করেছিলাম। আসলে ম্যাচের সময় আমি বারবার ঘড়ি দেখছিলাম। ৮৫ মিনিটে ভাবলাম, আর তো ৮ মিনিট হবে ম্যাচ। জিতেই যাচ্ছি। কিন্তু গোল খাওয়ার পর আমার কি যে কষ্ট লাগে। সত্যি আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।’
জামাল বিশ্বাস করেন বাংলাদেশও বিশ্বকাপ খেলতে পারবে। তবে সর্বোচ্চ আসরে খেলার জন্য নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ একদিন খেলবে। কিন্তু অনেকগুলো কাজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অবশ্যই থাকতে হবে। একবার দেখুন। আইসল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলেছে। দেশটির জনসংখ্যা ৫-৬ লাখ। আইসল্যান্ড যদি বিশ্বকাপ খেলতে পারে আমরা পারবো না কেন।’
সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই মিডফিল্ডার মনে করেন দেশের ফুটবলারদের বিদেশি লিগ খেলার অভ্যাস গড়ে তুললে অভিজ্ঞতা বাড়বে। পথ খুলবে বিশ্ব ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ারও।
‘জুনিয়র-সিনিয়র ফুটবলারদের বাইরের লিগে খেলতে পারে এমন অবস্থায় নিতে হবে। দেশের ফুটবলাররা যাতে নিজেদের সঙ্গে ইউরোপের ফুটবলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এ পথে এগুলো বিশ্বকাপ খেল সম্ভব।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন