১৩ বছর আগের স্মৃতি মনে পড়েছে মাশরাফির
দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ওভারে বিরেন্দ্র শেবাগকে বোল্ড করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে রবিন উথাপ্পাকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। তিন নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান পয়েন্টে থাকা আফতাব আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শেবাগের ব্যাট থেকে আসে ২ আর উথাপ্পা বিদায় নেন ৯ রান করে। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে চাপে পড়তে হয় ভারতকে।
সৌরভ গাঙ্গুলির ৬৬ ও যুবরাজ সিংয়ের ৪৭ রান ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ করতে সংক্ষম হয়নি। শচিন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানরা সেদিন ফিরে যান যথাক্রমে ৭ ও ১৪ রান করে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি, হরভজন সিং ও অজিত আগারকাররা রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন। এদের মধ্যে আগারকারের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মাশরাফি। শেষ দিকে ১৫ রান করা মুনাফ প্যাটেলকে আউট করে নিজের চতুর্থ উইকেটটি আদায় করে নেন ডান-হাতি এই পেসার। জহির খান অপরাজিত ছিলেন ১৫ রান করে।
৯ ওভার ৩ বলে মাত্র ৩৮ রান খরচ করেন মাশরাফি। টাইগারদের হয়ে এদিন তিনটি করে উইকেট লাভ করেন আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক।
৪৮.৩ ওভারে সব উইকেট হারানো আগে রাহুল দ্রাবিড় নেতৃত্বাধীন দলটির মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১।
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে দেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ফিরে যান ২ রান করে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ওপেনার।
৮ রান করে আফতাব আহমেদ বিদায় নিলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
৮৬ বলে ৫৩ রান করে সাকিব ফিরে যান। তার আগে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সাকিব। অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
আশরাফুলকে সঙ্গে নিয়ে ১৭ রানের ছোট্ট জুটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে হারিয়ে দেন মুশফিক। ৪৮.৩ ওভারে ১৯৫ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আশরাফুল। ১০৭ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলতে মুশফিকের ব্যাট থেকে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা আসে।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭ মার্চের অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে ত্রিনিদাদেরে পোর্ট অব স্পেনে মাশরাফি হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
দীর্ঘ ১৩ বছর আগের এই দিনটি স্মরণ করলেন ম্যাশ। নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ১৩ বছর আগে এইদিনে আমরা আইসিসি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়েছিলাম।
কয়েকটি ছবি সম্বলিত এই পোস্টে একটি প্রশ্নও করেছেন মাশরাফি।
‘যখন ম্যাচ জয়ী রানটি করা হচ্ছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
ওয়াই
মন্তব্য করুন