বল নিয়ে সংশয় শরীফের
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মোহাম্মদ শরীফ দাপটের সঙ্গে খেলে আসছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেই ২০০০-২০০১ মৌসুম থেকে শুরু করে এখনও খেলছেন তিনি। শরীফকে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সফলতম পেসারর ধরা হয়। তিনি ১৩২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩৯৩ উইকেট। যেখানে অন্য পেসাররা তিনশ উইকেটও ছুঁতে পারেননি এখনও।
এই উনিশ বছরের ক্যারিয়ারে শরীফ জানেন কোথায় কি সমস্যার সম্মুখীন হয় পুরনো-নতুন ক্রিকেটাররা। কদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় লিগ। তার আগে মোহাম্মদ শরীফের কিছুটা আক্ষেপও আছে।
সেসবই আজ শনিবার তুলে ধরলেন গণমাধ্যমের কাছে। গত কয়েক বছর ধরেই নাকি বল সমস্যায় ভুগছেন পেসাররা।
‘একটা কথা বলা ঠিক হবে কিনা জানি না, তবু বলা জরুরি। বল যেন ভালো হয়। বলের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। বল অনেক সময়ই খুব দ্রুত সফট হয়ে যায়। এমনিতেই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকে না। তারপর বলও সফট হলে বোলারদের কিছু করার থাকে না। গত ২-৩ বছরে অনেকবার এরকম হয়েছে, ৪-৫ ওভারের মধ্যে নতুন বল বদলাতে হচ্ছে। বলের মান সেখান থেকেই বোঝা যায়। এদিকটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।’
খুব দ্রুতই বল নরম হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দেশের ক্রিকেটের মান কমে যাচ্ছে বলে মতামত দেন এই পেসার।
'বল এত দ্রুত নরম হয়ে যায় যে পেসারদের সু্ইং-বাউন্স তো থাকেই না, স্পিনারদেরও ধার থাকে না। ব্যাটসম্যানরা আরামে খেলে। বল কিছুই করে না, সোজা আসে। দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে আসলে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিই হতে হয়নি!'
বাংলাদেশে যে টেস্ট ম্যাচগুলো খেলা হয় সেখানেও এসজি বল ব্যবহার করা হয়। একই বল জাতীয় লিগের ম্যাচেও ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এত দ্রুত বল নরম হয়ে যাওয়া নিয়ে শরীফ বলেন, এসজি বলেই খেলা হয়। কিন্তু সেটি সেরা মানের কিংবা গ্রেড ওয়ান কিনা, আমরা জানি না। হতে পারে গ্রেড ওয়ান। কিন্তু অনেক সময় আমরা ভালো বলটি নাও পেতে পারি। পুরানো হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। বল ভালো থাকলে, উইকেট একটু শুষ্ক থাকলেও মানিয়ে নেওয়া যায়।
তবে সব ছাপিয়ে সামনে আসে বিপ টেস্ট নিয়ে কথা। এবারের মৌসুমে খেলতে হলে ফিটনেসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই খেলতে হবে জাতীয় লিগে। যে জন্য বিপ টেস্টে ১১ মার্কস পাওয়া লাগবে বলে নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে কিছুটা ভয় বিরাজ করছে বলেও জানান এই পেসার।
‘দেখেন, বিপ টেস্ট মার্ক ঠিকই আছে কিন্তু ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস না থাকে তাহলে ওই মার্ক দিয়ে কি হবে। এমনও দেখা যাবে কেউ হয়তো ৮ বা ৯ মার্ক নিয়েও ম্যাচে ডাবল হান্ড্রেড বা দশ উইকেট নিয়ে নিলো। এখন কি আমার মার্ক্স দেখা উচিত না পারফর্ম দেখা উচিত।'
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন