• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাশিয়া বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম পরিচিতি (৩)

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১৫ মে ২০১৮, ১৩:৪৮

আর মাত্র ৩০ দিন। এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের। একবিংশতম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের গুরুদায়িত্ব পেয়েছে ভৌগলিকভাবে বিশ্ব মানচিত্রের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া। বিংশ শতাব্দীর সেরা গোলরক্ষক ‘স্পাইডার’ লেভ ইয়াসিনের বদৌলতে ফুটবলে রাশানদের আছে আলাদা নামডাক। এবার সেটা ছাপিয়ে যাবার চ্যালেঞ্জ পুতিনের দেশের। ইতিহাস সমৃদ্ধ ও প্রকৃতিদেবীর অপার সৌন্দর্য্যে ঘেরা এই স্বর্গ রাজ্যে বিশ্বকাপকে ঘিরে সবকিছুই করা হচ্ছে বেশ ঢালাওভাবে। বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে রাশিয়ার ১১টি শহরে প্রস্তুত করা হয়েছে ১২টি স্টেডিয়াম, যার ছয়টিই তৈরি হয়েছে বিশ্ব আসর উপলক্ষ্যে! বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পুনঃসংস্কারে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নিয়ে ছয় পর্বের ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্বে আজ থাকছে আরো দুটি স্টেডিয়ামের টুকিটাকি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ক্রিকেটে ফিরছেন সেই ব্যানক্রফট
--------------------------------------------------------

কাজান অ্যারেনা, কাজান
রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর কাজান। এরইমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করায় সুখ্যাতি আছে দক্ষিণ পূর্বের এই শহরটির। বিশ্বকাপের ১২টি ভেন্যুর মধ্যে অন্যতম ভেন্যু শহরের কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়াম। দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪৫ হাজার। কাজানে প্রথম ম্যাচ হবে ১৬ জুন। মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে কাজান অ্যারেনার খবরাখবর।

কাজানকে বলা হয় রাশিয়ার ক্রীড়া ক্ষেত্রের রাজধানী। খেলাধুলার জন্য খ্যাতি আছে রাশিয়ার এই নগরের। বিশ্বকাপের আয়োজক হবার পর থেকেই, বিভিন্ন খেলা আয়োজনের জন্য প্রায় ৩০টির মত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে কাজানে।

স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু কাজান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করায় সুখ্যাতি আছে রাশিয়ার দক্ষিণ পূর্বের এই শহরটির।

খেলাধুলার জন্য কাজানের সবচেয়ে বিখ্যাত ভেন্যু কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়াম। একাধিক আন্তর্জাতিক ইভেন্টে সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে ৪৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে।

সংস্কারের পর ২০১৩ সালে আবার উন্মুক্ত করা হয় কাজান অ্যারেনা। সে বছরই বিশ্বের ১৬২ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাথলেটদের নিয়ে আয়োজন হয় ২৭তম গ্রীষ্মকালীন ইউনিভার্সিটি গেমস। এই মেগা ইভেন্টের জমকালো উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয় কাজান অ্যারেনায়।

অনেকেই হয়তো অবাক হবেন, ফুটবলের বাইরে কাজান অ্যারেনায় ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন ইভেন্ট। যার জন্য সাময়িকভাবে বসানো হয় দুটি সুইমিং পুলও।

২০১৮ বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত কাজান অ্যারেনা। গেলো বছর ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের ৪টি ম্যাচও আয়োজন হয়েছিল বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামে।

এবারের বিশ্বকাপে কাজান অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন। ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচের ৩ দিন পর, ২০ জুন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে ইরান। ২৪ জুন পোল্যান্ড-কলম্বিয়া আর ২৭ জুন লড়বে দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। কাজান অ্যারেনায় রাউন্ড অব সিক্সটিনের এবং কোয়ার্টার ফাইনালেরও একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপের আয়োজক অন্য শহরগুলোর মত, কাজানেও আছে প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক কিছু নিদর্শন যা বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের জন্য।

নিঝনি নভোগোরাদ স্টেডিয়াম, নিঝনি নভোগোরাদ
রাশিয়ার বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিয়াম। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ বিশ্বকাপের মোট ৬ ম্যাচ। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপকে বরণ করে নিতে নতুন বিমানবন্দরসহ তৈরি করা হয়েছে ৬০টির মতো নতুন স্থাপনা।

রাশিয়ার ‘ভোলগা’ আর ‘ওকা’ দুই নদীর মাঝখানেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে নভগোরোদ স্টেডিয়াম। ৪৫ হাজার ৩৩৫ জন ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার স্ট্রেলকাতে। ২০১৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় নান্দনিক এই স্টেডিয়ামের।

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। যেখানে রয়েছে ৪টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ, ১টি রাউন্ড অফ সিক্সটিন আর একটি শেষ আটের লড়াই। এখানেই ২১ জুন ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনা। এর আগে ১৮ জুন সুইডেন আর দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচ দিয়েই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এই স্টেডিয়ামের।

রাশিয়ার নভগোরোদ রাজ্যের গভর্নর গ্লেব নিকিটিন বলেন, স্টেডিয়ামটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে ২০১৯ সালে আমাদের ৩২৫ মিলিয়ন রুবল প্রয়োজন হবে। বিশ্বকাপের পরও আমরা এখানে কিছু সংস্কার কাজ করবো। আর বিশ্বকাপের জন্য তো পুরো শহরই সাজছে নতুন করে।

বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলকে আতিথ্য দিতে ইতিমধ্যে নভগোরোদ রাজ্যে করা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। নতুন করে ৬০ টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে নতুন বিমানবন্দর, ১২ কিলোমিটার দৈঘ্যের নতুন রাস্তা।

ইতিমধ্যে স্থানীয় দুই দলের ম্যাচ দিয়ে পরখ করে দেখা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। রাশিয়া বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী ১৪ জুন থেকে। ১১টি শহরের মোট ১২ স্টেডিয়ামে হবে খেলা।

আরও পড়ুন :

এএ/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh