• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পরাজয়ের বৃত্তে আবদ্ধ টাইগাররা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ মার্চ ২০১৮, ২৩:১৪

দেশের মাটি থেকে পরাজয়ের শুরু লঙ্কাতেও তা অব্যাহত রাখলো টাইগাররা। পরাজয়ে বৃত্ত থেকে তারা বেরোতে পারলো না। শুরু থেকেই বাংলাদেশের মামুলি টার্গেটকে আরো মামুলি বানিয়ে ইনিংস শুরু করে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। উইকেটের উভয় পাশ থেকে প্রতিটি বলকে বাউন্ডারী ছাড়া করছিলেন রোহিত ও ধাওয়ান। অবশেষে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য ধরা দেয় মুস্তাফিজের হাতে। দলীয় ২৮ রানে রোহিত শর্মাকে সরাসরি বোল্ড করে ভারত শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন।

এরপর দলীয় ৪০ রানে ভারত শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান রিশভ পান্ত (৭)। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ঠিকই ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে বোলারদের ওপর রীতিমত ঝড় তুলছিলেন শেখর ধাওয়ান। সুরেশ রায়নাকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৮ রানে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। দলীয় ১০৮ রানে রুবেল রায়নাকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর আগে ২৭ বলে ২৮ রানের ছোট্ট একটি ইনিংস খেলেন। ম্যাচে এটি ছিল রুবেলের দ্বিতীয় শিকার।

এরপর দলীয় ১২৩ রানে অর্ধশত রান করা শিখর ধাওয়ানকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান অনেকদিন পর দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। যদিও তার আগে ৪৩ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর আর বেশি বেগ পেতে হয়নি ভারতকে।

শেষ দিকে মনিশ পান্ডে ১৯ বলে ৩ চারের সাহায্যে ২৭ রান করলে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ভারত। দিনেশ কার্তিক ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল ২টি, মুস্তাফিজ ও তাসকিন একটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম ওভারের শেষ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ সৌম্য সরকার। বল যায় থার্ড ম্যান অঞ্চলে। দৌড়েও বল তালুবন্দি করতে পারেননি ওয়াশিংটন সুন্দর। পয়েন্ট থেকে মনিশ পান্ডেও দৌড় দিয়েছিলেন। কিন্তু বল তারও নাগালের বাইরে ছিলো। এরপর উনাদকাতের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বল স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান সৌম্য সরকার। দুই বল পরই প্রতিশোধ নেন ভারতীয় পেসার। এবার একটু স্লো বলে সৌম্য আউট। একই শট খেলতে গিয়ে দলীয় ২০ রানে শর্ট ফাইন লেগে চাহালের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার (১৪)।

এর দুই ওভার পর শার্দুল ঠাকুরের স্ট্যাম্পের ওপরের বল সরে এসে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। বল আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার রানমোরে মার্টিনেজ বোলারের আবেদনে আঙুল তুলে তামিমকে এলবি দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান দেশসেরা ওপেনার। বল উইকেটে আঘাত করলেও, বল আউট সাইড অফ দ্য স্ট্যাম্প পিচ করেছিল। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তামিমের ইনিংস। শার্দুল ঠাকুরকে পরপর দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মারলেও তৃতীয় বলে আউট তামিম। পঞ্চম ওভারের শেষ বল পুল করতে গিয়ে সৌম্যর মতই দলীয় ৩৫ রানে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তামিম ইকবার (১৫)।

এরপর পেসার বিজয় শংকর নিজের প্রথম ওভারেই দুটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, দুটিই হাতছাড়া হয়েছে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়। ৭ রানে থাকা লিটনের ক্যাচ মিড অফে ছাড়েন সুরেশ রায়না। ৮ রানে ফাইন লেগে আবারো লিটনের ক্যাচ মিস করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনে ব্যাটিং করলেও শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন লিটন।

তামিম ফিরে যাওয়ার পর বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটের চারপাশে শট খেলে রান পাচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। বিজয় শংকরের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার আঙুল না তুললে রোহিত শর্মা রিভিউয়ের আবেদন করেন। তাতেই সাফল্য পায় ভারত। এটি ছিল বিজয় শংকরের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট। তখন দলীয় রান ৬৬।

মুশফিকের আউটের পর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিংয়ে নামলেও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ। ৮ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিজয় শংকরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে। অফস্টাম্পের বাইরের বল তুলে মারতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন অধিনায়ক।

২২ গজের চাপ নিতে ব্যর্থ সাব্বির বিজয় শংকরের বলে এলোমেলো শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। বোলার নিজেই দৌড়ে গেলেন বল ধরতে। ড্রাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেছিলেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারিনি। বল বেরিয়ে যায় দুই হাত থেকে। ৯ রানে সাব্বির জীবন পান।

বড় মঞ্চে বড় রান করার সুযোগ পেয়েছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু এখানেও লিটন ব্যর্থ। ব্যর্থ হলেও দলের জন্য প্রয়োজনীয় রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস আসে তার উইলো থেকে। চাহালের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে দলীয় ১০৭ রানে লং অফে ক্যাচ দেন লিটন। এরপর ক্রিজে এসে উনাদকাতের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে নিজস্ব ৩ রান ও দলীয় ১১৮ তে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ক্যাচ সহজেই তালুবন্দি করেন মনিশ পান্ডে।

লিটন কুমার দলের প্রয়োজনে রান করেছিলেন। ৯ রানে জীবন পাওয়া সাব্বির শেষ দিকে রাখলেন অবদান। উনাদকাতের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩০ রান করেন সাব্বির রহমান। তার ব্যাটে দেড়শর স্বপ্নও দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৩৪। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে আউট হন সাব্বির।

এরপর তাসকিনের ডাকে সাড়া দিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন রুবেল হোসেনের। কিন্তু লং অন থেকে সুরেশ রায়নার থ্রো থেকে বাঁচতে পারেননি রুবেল। রান আউটে সাজঘরে ফিরেন শূন্য রানে।

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক
০ রানে ৭ উইকেট, অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড রোহমালিয়ার
মেসিদের সিনেমা এখন বাংলাদেশে!
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
X
Fresh