• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সাফল্যের রহস্য জানালেন শচীন

স্পোর্টস ডেস্ক

  ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:৩৪

১৯৯২ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ছয়টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত দল। এই সিরিজগুলোর মধ্যে একটিতেও জয় নেই তাদের। শুধু মাত্র ২০১০ সালের একটি সিরিজে ড্র করতে সক্ষম হয় তারা। নিজেদের মাটিতে প্রোটিয়াদের বোলিং তাণ্ডবে ধরাশয়ী হতে হয়েছে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। ভারতের হয়ে পাঁচটিতে অংশ নিয়েছিলেন লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ২০০৭ সালে ছাড়া ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিটিতেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরমধ্যে দেড়শো রানের বেশি দুইটি ইনিংসও রয়েছে কিংবদন্তির।

ফের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় দল। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি খেলতে শুক্রবার কেপটাউনে মাঠে নামবে বিরাট কোহলির দল। আর এই অবস্থায় স্বাগতিকদের নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন। কথা বলেছেন ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া (টিওআই)। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়াকে টিপসও দিয়েছেন সর্বকালের সেরা এ ব্যাটসম্যান।

টিওআই: দক্ষিণ আফ্রিকাকে আপনি কতটা প্রতিযোগিতামূলক দেশ মনে করেন?

শচীন: আমরা প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়েই বুঝে গেছিলাম প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা কতটা শক্তিশালী। প্রথম থেকে তারা দুরন্ত ক্রিকেট খেলতেন। নির্বাসন কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরে আসার পরই তারা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কতটা শক্তিশালী তাঁরা। প্রস্তুতি ম্যাচেই থেকেই জাত চিনিয়েছিলেন। বিশ্ব ক্রিকেটের মান অনেকটা উঠিয়ে দেয় দেশটি।

টিওআই: দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে ভাবনা?

শচীন: খুবই ভালো বোলিং আক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকার। নতুন ও পুরানো দুই বলেই ডেল স্টেইন এখনও দারুণ। কাগিসো রাবাদার বোলিংয়ে আমি খেলিনি কিন্তু যেরকম দেখেছি ওর বল একটু ওপরে পিচ করানোর অভ্যাস আছে। পাশাপাশি কি রকম বল করছে সেটা বোঝাও বেশ চাপের। পিচ যদি সিমিং হয় তাহলে ফিলান্ডারও মারাত্মক হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। সিমিং উইকেটেই ওরা জোর দেবে তাহলে তা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

টিওআই: ভারতের বড় চ্যালেঞ্জ কি?

শচীন: ভারতীয় উইকেট যদি পেস বান্ধবও হয় তাহলেও এই উইকেটের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া বেশ কঠিন। নতুন বল ১৮ থেকে ২০ ওভার অবধি মারাত্মক থাকে। আর যদি এসজি বল হয় তাহলে ৪০-৫০ ওভার পর্যন্ত বিপজ্জনক থাকতে পারে। যদি উইকেট ফ্ল্যাট হয় তাহলে এই সময় বল রিভার্স সুইং করে। এরপরেও বল সুইং করে কিন্তু সেসময় ভিন্ন গতিতে সুইং করে। উপমহাদেশের থেকে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।

টিওআই: নতুন বল খেলার জন্য টিপস?

শচীন: বাইশ গজে যখন নামবেন তখন একটাই মন্ত্র থাকবে নিয়মানুবর্তিতা। নিজের ফুটওয়ার্ক সংযত রাখতে হবে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিজের মস্তিষ্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। মাথায় অযথা জটিলতা পাকাবেন না। ক্রিকেটের সাধারণ নিয়ম ব্যবহার করতে হবে। আর মস্তিষ্ক থেকে আসা সিগন্যালের ওপর ভিত্তি করেই ব্যাটসম্যানদের বল খেলা ও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ওয়াই/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh