ইরানের হামলার মুখে পিটারসেনদের বিমানের পথ-বদল

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতের এই ঘটনায় নিজেদের বহনকারী বিমান নির্ধারিত পথ বদলে ফেলেছিল বলে দাবি সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনের। তবে সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক কোথায় ছিলেন কিংবা কোন বিমানে ছিলেন, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

জানা গেছে, ভারতের মুম্বাই তার গন্তব্য ছিল। চলতি আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যকার ম্যাচে তার ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল।

বার্তাসংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় লেবানন, জর্ডান ও ইরাক। অন্যদিকে সামরিক উড়োজাহাজ ছাড়া সব উড়োজাহাজের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে রেখেছে ইরান ও ইসরায়েলও। খুব সম্ভবত এসব আকাশসীমা ব্যবহার করার কথা ছিল পিটারসেনদের বহনকারী বিমানের। তবে হামলার পর পথ বদলে ফেলে তাদের বিমান। পথ বদলে যাওয়ায় নতুন করে জ্বালানিও নেয় বিমানটি।

আরও পড়ুন

মুম্বাইয়ের মাঠে কেমন হবে মোস্তাফিজদের একাদশ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে পিটারসেনের ভাষ্য, ‘এই প্রথমবার (এমন অভিজ্ঞতা)। আমাদের বিমানকে গতরাতে ফিরে যেতে হয়েছে এবং আরও বেশি করে জ্বালানি নিতে হয়েছে। কারণ, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে আমাদের পথ বদলাতে হয়েছিল। ম্যাডনেস!’

ওই পোস্টের নিচে পিটারসেন আরও জানান, দিনের শেষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে থাকবেন, যেটা তার প্রিয় ক্রিকেট মাঠগুলোর একটি।

এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। তবে ইসরায়েল এই হামলায় দায় স্বীকার না করলেও এর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান। এর জবাবেই শনিবার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটিই প্রথম ইসরাইলে সরাসরি ইরানের হামলা।

এদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি, ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশাপাশি জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।