ডু অর ডাই ম্যাচে চট্টগ্রামের বড় পুঁজি
শুরুর দিকে কিছুটা খাপছাড়া খেললেও সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন গোড়াপত্তনে নামা তানজিদ হাসান তামিম। এরপর এই ওপেনারের দারুণ সেঞ্চুরিতে প্লে-অফে উঠার কঠিন সমীকরণে বড় পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বন্দরনগরীর দলটির। এদিন মোটেই জ্বলে উঠতে পারেননি বিধ্বংসী ওপেনার খ্যাতি পাওয়া মোহাম্মদ ওয়াসিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আমিরাতের এই ওপেনার। নাসুমের টসড-আপ ডেলিভারিতে ডিপ-স্কয়ার তালুবন্দি হন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদের সঙ্গে দলের হাল ধরেন সৈকত আলী। এই জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলে চট্টগ্রাম।
এরপরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৈকত। ব্যক্তিগত ১৮ রানে জেসন হোল্ডারের বলে জয়ের মুঠোবন্দী হন তিনে নামা এই ব্যাটার।
এরপর ব্রুসকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তানজিদ। সাবধানী ব্যাটিং ৩২ বলে ফিফটি পূরণ করেন এই ওপেনার। অর্ধশতকের পর কিছুটা আগ্রাসী হয়ে উঠেন তানজিদ।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন তিনি। ৫৮ বলে দ্রুতই ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। যা চলতি আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে, তাওহীদ হৃদয় এবং উইল জ্যাকস সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন।
সেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেন তামিম। তবে ওয়েন পারলেনের গতিতে পরাস্ত হয়েছেন শেষ পর্যন্ত। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১৬ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই ওপেনার। তার মারকুটে ইনিংসের সুবাদে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে বন্দরনগরীর দলটি।
খুলনার হয়ে পারনেল, নাসুম, হোল্ডার এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন