বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
আগে যা পারেনি সেটাই পারল বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই সফরে ছিল ১টি টেস্ট ও ৩টি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মুমিনুল হকের নেতৃত্বে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে জয় দিয়ে সফর শুরু করে টাইগাররা। এরপর ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামে বাংলাদেশ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও দ্বিতীয়টিতে হেরে সিরিজ সমতায় আসে ১-১ ম্যাচে। তৃতীয় ম্যাচটা দাঁড়ায় অলিখিত ফাইনালে। তবে ফাইনালটাও হয়েছে ফাইনালের মতোই।
শেষ ম্যাচটা জিতে দারুণ এক রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার মতো বিদেশের মাটিতে একসঙ্গে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়। আগে যা পারেনি সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।
হারারেতে সফরের শেষ ম্যাচ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে।
ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলাদের ওপর তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন ওপেনার ওয়েসলে মাধভেরে। আরেক ওপেনার তিদওয়ানশে মারুমানি ২৭ রান করে ফেরার পর রেগিস চাকাভা ছাড়িয়ে যান মাধভেরেকেও। ২২ বলে ৪৮ রান করে বিদায় নেয়ার আগে হাঁকান ৬টি ছয়।
মাধভেরে খেলেন ৩৬ বলে ৬টি চারে ৫৪ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ডিওন মায়ার্সের ২১ বলে ২৩ আর রায়ান বার্লের ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ৫ উইকেটে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯৩ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ১টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন, শরিফুল ও সাকিব।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাঈম শেখের (৩) বিদায়ে বিপাকে পড়ে দল। তবে সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার মিলে ধাক্কা সামাল দেন ৫০ রানের জুটি বেঁধে।
সাকিব ২৫ (১৩) রান করে ফিরলে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য মিলে বাঁধেন ৬৩ রানের জুটি। সৌম্য খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ (৪৯) রানের ইনিংস। দলকে ভালো অবস্থানে রেখে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
এরপর আফিফ হোসেনও বিদায় নেন ১৪ (৫) রান করে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ-শামীম পাটোয়ারির জুটি।
দলীয় ১৮৭ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহ ৩৪ (২৮) রানে ফিরলেও বাকি কাজটা দারুণভাবে সামাল দেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ কাঁপানো শামীম পাটোয়ারি। তার ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এমআর/এম
মন্তব্য করুন