অলিম্পিকে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন প্রথম রুপান্তরকামী নারী
বেশি সময় বাকি নেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার ক্রীড়া আসর অলিম্পিকের। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু অলিম্পিকের আসর বসবে জাপানের টোকিও শহরে।
এই আসরেই বিশ্বের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার বা রুপান্তরকামী নারী হিসেবে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট সেসে টেলফার। এর আগে অলিম্পিকে এমন কাউকে দেখা যায়নি অংশ নিতে। তাই টেলফারই হতে চলছেন প্রথম রুপান্তরকামী অ্যাথলেট হিসেবে।
বলা হচ্ছে টেলফারের অলিম্পিকে অংশ নিতে সব পথ পেরিয়ে শেষ ধাপে রয়েছেন। এই ধাপে যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই টোকিওর পথ ধরতে পারবেন তিনি।
৪০০ মিটার হার্ডলসে অংশ নিয়ে সফলভাবেই উন্নিত হয়েছে শেষ ধাপের জন্য। এবার তাকে জাতীয় ট্রায়ালের কঠিন ধাপ পেরুতে হবে। এজন্য টেলফারকে দৌড় সম্পন্ন করতে হবে ৫৬.৫ সেকেন্ডের মধ্যে। এর আগে ৪০০ মিটার সম্পন্ন করেছিলেন ৫৭.৫ সেকেন্ড।
অলিম্পিকের ইতিহাসে এর আগে কোনও ক্রীড়াবিদ রূপান্তরকামী হয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি অলিম্পিকে খেলার। যদিও অলিম্পিকের টিকিট নিয়ে রুপান্তরকামী হয়েছিলেন অনেকে।
যেমনটা ১৯৭৬ সালে সেটলিন জেনার সোনা জিতেছিলেন ডেকাথলন ইভেন্টে। তিনি সোনা জয়ের পর নিজেকে রূপান্তরকামী বলে ঘোষণা করেন।
টেলফার তেমনটা করেননি, রুপান্তরকামী হয়েই লড়ছেন অলিম্পিকে জায়গা করে নেয়ার জন্য। এর আগেও তিনি আমেরিকার বিভিন্ন ইভেন্টে খেলেছেন রুপান্তরকামী নারী হিসেবে।
তবে তার এই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে তার ইভেন্টের অন্য অ্যাথলেটরা। তাদের দাবি, টেলফারকে সহজে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে যা তাদের জন্য করা হচ্ছে না।
তবে টেলফার এসব আমলে নিচ্ছেন না। বলছেন, “এই লড়াই, এই অর্জন আমার একার না। আমি অলিম্পিকে যেতে পারলে এই অর্জন হবে বিশ্বের সমস্ত মহিলা, কৃষ্ণাঙ্গ এবং রূপান্তরকামীদের। আমি তাদের হয়েই লড়ছি।”
এমআর/এম
মন্তব্য করুন