যার কারণে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি
পাকিস্তানের ক্রিকেটে রাজনীতি থাকবে না তা কীভাবে সম্ভব। আলোচনায় আসতে যেমন সময় লাগে না, সমালোচনাও হয় একইভাবে। এবার শহীদ আফ্রিদি আঙ্গুল তুলেছেন সতীর্থ শোয়েব মালিকের দিকে।
আফ্রিদির কথায়, দলের ভেতর রাজনীতি করতেন সাবেক এই অধিনায়ক। পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের অভিযোগ, অধিনায়ক হবার পর দলে রাজনীতি শুরু করেন। যে কারণে আফ্রিদি অবসর নিতে চেয়েছিলেন ২০০৯ সালে।
এ নিয়ে পাকিস্তানি টেলিভিশন সামা টিভিতে দেয়া সাক্ষাতকারে আফ্রিদি বলেন, “শোয়েব মালিকের যেখানে দলকে এক করার চেষ্টা করবে সেখানে উল্টো ড্রেসিংরুমে রাজনীতি করত। তার সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র কারও ভালো সম্পর্ক ছিল না। অনেককে এমনও শুনেছি বলতে, ‘ও থাকলে আমি খেলব না।’ দলের সবাই ওর উপর নারাজ ছিল। আমি নিজেও ঠিক করে ফেলেছিলেম, ও অধিনায়ক থাকলে আমি খেলব না।”
আফ্রিদি এই ব্যপারটা পাকিস্তান বোর্ডকেও (পিসিবি) জানায় বলে জানিয়েছেন ওই টিভি সাক্ষাতকারে।
“আমি ব্যাপারটা পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, অবস্থার উন্নতি না হলে আর খেলবোই না। তবে পরিবারের সিদ্ধান্তে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি।”
২০০৭ বিশ্বকাপের পর ইনজামাম উল হকের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার পর শোয়েব মালিককে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় পিসিবি। এ নিয়ে শোয়েব দাবি করেন, শোয়েবের কারণেই সেই সময়ে সাফল্য পায়নি পাকিস্তান।
এমআর/
মন্তব্য করুন