ধর্মে মানা তাই নারী রেফারির সঙ্গে হাত মেলালেন না রাজ পরিবারের সদস্য
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন হবার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডে। করোনা মহামারিতে শেষ পর্যন্ত তা আয়োজন করে কাতার। গেল বৃহস্পতিবার বসেছিল ফাইনাল। যেখানে ইউরোপ সেরা দল বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিপক্ষ ছিল মধ্য আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ট্রাইগ্রেস ইউএএনএল।
মেক্সিকান দল ট্রাইগ্রেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন। সব কিছু ছাপিয়ে ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ ঘটনা শিরোনাম হলেন কাতার অলিম্পিক কমিটির সভাপতি ও রাজ পরিবারের সদস্য শেখ জোয়ান বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানি।
আরও পড়ুন : বাবাকে নিয়ে গর্ববোধ করি: মোনেম মুন্নার ছেলে
ম্যাচ শেষে মঞ্চের সামনে দলের খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সবার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ছোট ভাই শেখ জোয়ান। তবে এড়িয়ে যান ফিফার দুই নারী রেফারি ইদিনা আলভেস বাতিস্তা ও নিউজা ব্যাককে।
বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ছাড়া বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে স্পর্শ করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইসলাম ধর্মে।
আরও পড়ুন : ২২তম হাফসেঞ্চুরি তুলে মুশফিকের বিদায়
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। অনেকে নারী রেফারিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো ফিফার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পুরুষদের টুর্নামেন্টে নারী রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেন। পঞ্চম স্থান নির্ধারণী উলসান হুনদাই ও আল দুহাইলের ম্যাচে প্রধান রেফারি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিলের ইদিনা আলভেস বাতিস্তা। লাইন্সম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দুই নারী। ইদিনার স্বদেশী নিউজা ব্যাক ও আর্জেন্টিনার মারিয়ানা ডি আলমেইডা ছিলেন পতাকা হাতে।
আরও পড়ুন : বিশ্বসেরা অধিনায়ক ইমরান খান
ওয়াই
মন্তব্য করুন