• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাবাকে নিয়ে গর্ববোধ করি: মোনেম মুন্নার ছেলে

আরটিভি নিউজ

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৮
monem munna
স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে মোনেম মুন্না

শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবলের কিংবদন্তি মোনেম মুন্নার ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের এই দিনে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই তারকা ডিফেন্ডার।

১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে মুন্নার জন্ম। আশির দশকের শুরুর দিকে পাইওনিয়ার ফুটবল ফুটবল যাত্রা শুরু তার। শান্তি নগর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলেছেন। পেশাদার ফুটবলের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই আবাহনীর জার্সিতে মাঠ মাতান। ১৯৯১ সালে ঘরোয়া ফুটবলে ২০ লাখ টাকা রেকর্ড পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মোনেম মুন্না। একই বছর কলকাতা ইস্টবেঙ্গলেও ডাক পান। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দলটির হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

১৯৮৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মুন্নার। রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। তাই তারর নাম দেয়া হয়েছিল ‘কিং ব্যাক’। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত লাল-সবুজদের হয়ে খেলেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যা দেশের ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা।

অবসরের পর কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। দেশের বাইরেও চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২০০৫ সালে মৃত্যু হয় তার।

আবাহনীর জার্সিতে মোনেম মুন্না

মুন্নার বিদায়ের পর মেয়ে ও ছেলেকে সন্তানদের বড় করেছেন স্ত্রী সুরভী মোনেম। মেয়ে ইউসরা মোনেম দানিয়া উচ্চতর শিক্ষার জন্য বর্তমানে নরওয়ে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে মাত্র আট বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন আজমান সালিদ। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক রিলেশন বিভাগে অনার্স পড়ছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির সঙ্গে সুরভী ও আজমান

আরটিভি নিউজকে আজমান বলেন, ‘বাবা যখন দেশের হয়ে খেলেছেন তখন স্বর্ণযুগ ছিল। তার পরিচয়ে সবাই আমাদের চেনে। তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে আম্মু আমাদের বড় করেছেন। আমরা চাই দেশের জন্য ভালো কিছু করতে।’

এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে শোক র‌্যালি, কুরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জে মুন্নার বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হয়েছে।

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh