তোপখানা রোডের ফুটপাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মা। ভুলেননি সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি। তাই সন্তানের পায়ে রশি বেঁধে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন।
রাজধানীর তোপখানা রোডের ফুটপাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মা। ভুলেননি সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি। তাই সন্তানের পায়ে রশি বেঁধে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন। মা; তার চে’ আপন কেউ হতে পারেন না।
জেএইচ
মন্তব্য করুন
এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক
রমজান মাসের শুরুতেই শুরু হয় মিষ্টি ও রসালো ফল তরমুজের মৌসুম। সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারদের ইফতারে ফলটির চাহিদা থাকে। আর এই সুযোগ নিয়ে হুহু করে দাম বাড়িয়ে পিস থেকে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা। ফলে সপরিবার খাওয়ার মতো একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। চলতি রমজানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ফলে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি করলেও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা।
তরমুজ বয়কটে এর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ায় এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। কারণ, রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রথমদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও শুক্রবার (২৯ মার্চ) তা ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে জনগণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা। এছাড়া হাজার হাজার বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুকের টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করছেন। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট হবহু তুলে ধরা হলো-
তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আম জনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন,বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কতদিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।
ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট-
আমি গরুর মাংস কিনলাম। বলল যে, দেশের মানুষ ভাত পায়না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।
এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে খামারিদের দুষছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের কারসাজিতে বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না । দুর্মূল্যের এ বাজারে স্বল্পমূল্যে যারাই গরুর মাংস বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খামারিদের অসাধু চক্র। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে। খামারিদের এই সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারতো ক্রেতা সাধারণ; আবারও মাসে অন্তত একবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারতো মধ্যবিত্ত পরিবার।
এ বিষয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসবে। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে আনা হলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
ঈদে ভাড়া মওকুফ করে বাড়িওয়ালার অনন্য নজির
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আসন্ন ঈদের অতিরিক্ত খরচের চাপ কমানো এবং ঈদ আনন্দকে প্রাণবন্ত করতে ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া মওকুফ করেছেন রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি বাড়ির মালিক। আর বিষয়টি ভাড়াটিয়াদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১ এপ্রিল) ওই বাড়ির মালিকের চিঠি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
চিঠির লেখাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
নিত্যপণ্যের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আসন্ন ঈদের অতিরিক্ত খরচের চাপ কমানো এবং আপনাদের ঈদ আনন্দকে প্রাণবন্ত করার উদ্দেশ্যে এপ্রিল, ২০২৪ মাসের মূল ভাড়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইল।
জানা গেছে, সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের রুপালি হাউজিংয়ের ৬১ নম্বর বাড়ির ভাড়াটিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি জানালে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ওই বাড়ির মালিককে। এই বাড়িওয়ালার হাউজিংয়ে দুইটা বাড়ি আছে এবং সবার জন্য এবার ঈদে এই উপহার দিয়েছেন তিনি।
একজন কমেন্টে লিখেছেন, ঢাকার এক বাড়িওয়ালা তার ভাড়াটিয়ার জন্য উদারতা দেখিয়েছেন। আল্লাহ নিশ্চয় উত্তম কাজের উত্তম প্রতিদান দেবেন। তবে এমন হৃদয়বান মানুষের সংখ্যা সমাজে বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। আমরা প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে রোজা বা ঈদ উপলক্ষে এমন একটি করে ভালো কাজ করলে সমাজে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে।
আরেকজন লিখেছেন, এমন ভালো মানুষ আছে বলেই পৃথিবী টিকে আছে।
পোস্টদাতা আলিমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে আমার আবেগ প্রকাশ করেছি মাত্র। তবে বাড়ির মালিক বিষয়টি গোপন রাখতেই পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গুজব প্রতিরোধে প্রয়োজনে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার
সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গত ৩১ মার্চ। তবে এর প্রক্রিয়া কী হবে এবং আদৌ সেই পদক্ষেপে সরকার যাবে কী না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা তো বলেছি যদি আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করে দেব।
৩১ মার্চ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয় আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ, গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব বন্ধ থাকবে।
এদিকে বাংলাদেশ চাইছে মেটা বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করুক। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মেটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকার ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর একটা প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। তারা চাইছে তারা যখন চাইবে তখন যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথ্য দেয়। সরকারের আপত্তির কনটেন্ট সরিয়ে ফেলে বা ব্যক্তির ব্যাপারে তথ্য দেয়। কিন্তু বাস্তবে এটি সম্ভব নয়। কারণ ফেসবুকের নিজস্ব নীতি আছে। তারা তার ভিত্তিতে চলে। তবে তারা মনে করেন, ফেসবুকের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস তত ভালো নয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায় না।
ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি যে ওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা উচিত নয়। কিন্তু সেটার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তবে সরকারের দিক থেকে যে রিকোয়েস্টগুলো যায় সেগুলো যে সব ভ্যালিড রিকোয়েস্ট তা নয়। সরকারের অনুরোধে ফেসবুক যদি সব সরিয়ে ফেলত তাহলে আমরা হয়তো অনেক তথ্য জানতেই পারতাম না। আবার কোনো ব্যক্তির তথ্য প্রকাশ করলে তার নিরপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত। ব্যক্তির ক্ষেত্রে তারা অত নজর না দিলেও কোনো সরকারের পক্ষ থেকে যখন কোনো রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় তখন তারা সেটাকে গুরুত্ব দেয়, তারা যা করার বুঝেশুনেই করে, বলেন তিনি।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, সরকার যে বলছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কথা শুনছে না, কী শুনছে না তা আমরা জানতে চাই। সরকার কী চায়, কোন ব্যাপারে ব্যবস্থা চায় তা যদি সরকার প্রকাশ করতো তাহলে আমরাও বুঝতে পারতাম সরকারের চাওয়া কতটা যৌক্তিক। তারা (সরকার) এমন কিছু রিকোয়েস্ট পাঠান যা ব্যক্তিকে টার্গেট করে, কোনো ঘটনাকে টার্গেট করে যার মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। সেগুলো তো ফেসুক ইউটিউবের গ্রহণ করা উচিত না। তারা করেও না, বলেন তিনি।
তবে তার মতে, সরকারের অনুরোধ তারা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখলেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাদের সার্ভিস ভালো না। তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস আরো উন্নত করা উচিত।
সুমন আহমেদ সাবির বলেন, সরকার চাইলে ফেসবুক ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া সরকার নিতে পারবে কী না সেটাই প্রশ্ন। দেশের টেলিযোগাযোগও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর হয়ে পড়ছে। এর আগে সরকার নানা ঘটনায় দুই-একবার চেষ্টা করেছে সফল হয়নি।
অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, দেশের দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ এখন ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত। এরমধ্যে অর্ধেক এফ কমার্স। তাই সরকার এটা বন্ধ করতে গেলে দেশের অর্থনীতি বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে। আর ফেসবুক বন্ধ করলে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। একটির সাথে আরেকটি যুক্ত।
মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল বলেন, ফেসবুক বা মানুষের কথা বলার, মুক্ত চিন্তার কোনো প্ল্যাটফরম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার যদি মনে করে যে তারা যৌক্তিক কথাও শুনছে না তাহলে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা আরো বাড়তে পারে। এখানে আইন কানুনের সমস্যা থাকতে পারে। এই ধরনের প্ল্যাটফরম যদি কোনো অন্যায় করে তাহলে দেশীয় আইনে ধরা না গেলে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা করতে পারে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিয়ে যাওয়া যায়। আর তা করতে হলে সরকারের অবস্থান সঠিক হতে হবে, মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের কিছু আইন নিয়ে ফেসবুকের ভিন্নমত থাকার কারণেই তারা হয়তো এখানে অফিস করতে চায় না। কারণ তখন ওই আইন তাদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হতে পারে। আর তারা যদি মনে করে অফিস না নিয়েই ব্যবসা করা যায় তাহলে তারা অফিস করবে কেন? সরকারের ভাবনা কী?
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমরা জানা নাই। আমরা সরকারের দিক থেকে এধরনের কোনো নির্দেশনা পাই নাই।
তিনি বলেন, মেটা (ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ, বৈঠক এবং আলোচনা হয়। ফেসবুকের সঙ্গে দুই মাস পর পর বৈঠক হয়। আমরা আমাদের বিষয়গুলো শেয়ার করি, আলোচনা করি। ইউটিউব যে দেড় লাখ কনটেন্ট সরিয়েছে তা আমরা বলেছি বলেই সরিয়েছে।
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো পাঠাই তার সবই তারা অ্যাড্রেস করে। তবে প্রতিকার পাই শতকরা ৪০ ভাগের মতো।
আর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা তো বলিনি এখনই বন্ধ করব। যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তারা আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করব।
বন্ধ করার মত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কী না? প্রশ্নটি দুইবার করার পরও তিনি কোনো জবাব দেননি।
বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। ফেসবুকের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে অনুরোধের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মেটার কাছে তথ্য চেয়ে ৯৮৮টি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে সরকারের ৬৭ শতাংশ আবেদনে সাড়া দিয়েছে মেটা। একইসময়ে বাংলাদেশের দুই হাজার ২২৭টি কনটেন্টে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে মেটা। ওই সময়ে ৯৮৮টি অনুরোধের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ছিলো ৯৫৬টি এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেয়ার অনুরোধ ছিলো ৩২টি। আবেদনের অধীনে মোট এক হাজার ৪৫৪ টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চায় সরকার।
২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল। এদিকে ইউটিউব গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন মাসে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ছয় লাখ ৩৮ হাজার ভিডিও অপসারণ করেছে তারা।
আর টিকটক গত বছরের একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে আপ করা ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও মুছে ফেলেছে।
রান্না খারাপ হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
পাকিস্তানের লাহোরে মুরগির মাংস রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন এক স্বামী।
গত ৩০ মার্চ ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে, গত ৯ মার্চ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, গত ৯ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছে মরিয়ম নামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে, আর জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন তার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ঘটনার নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভাইরাল হওয়া সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। ওই নারী রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত।
Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1
— Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024
নতুন বার্তা দিলো কুকি-চিন
বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ কয়েক জায়গায় হামলার পর গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ। অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে নতুন বার্তা দিয়েছে সন্ত্রসী গোষ্ঠীটির ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ফেসবুকে ফ্লেমিং জানায়, অপারেশন করে কোনো লাভ হয়েছিল? ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে।
এর আগে, গত ১২ মার্চ কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ইনফরমেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ পক্ষে ক্যাপ্টেন ফ্লেমিংয়ের নামে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে কেএনএফ জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চুক্তি ভঙ্গ করে বম সম্প্রদায়ের লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বম (দুনিবার পাড়া) দুজনকে আটক করেছে। নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা না হলে এর ফিডব্যাক খুব ভালোভাবে দেওয়া হবে।
এছাড়াও গত ১১ মার্চ আরেক একটি স্ট্যাটার্সে জানানো হয়, কেএনএফ’র ডিমান্ডিং এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন (জেএসএস এবং সংস্কার) থাকবে না। জেএসএস সন্ত্রাসীরা সিভিলিয়ানদের ঘরবাড়িতে রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপ করে নিজেদের সক্ষমতা কতটুকু তা দেখিয়ে দিয়েছে। যেখানে ২ মিনিট থেকে যুদ্ধ করতে পারেনি, সেখানে আবার এমএনপি হেডকোয়ার্টার নাকি গুড়িয়ে দিবে। জেএলএ শিয়াল বাহিনীর সাহসীকতা দেখে আমি ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং সত্যিই শিহরিত।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এরপর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শবে কদরের রাতে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা
শবে কদরের রাতে নিজের ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সৌদি আরবের আতি আল-মালিকি নামের এক ব্যক্তি।
রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দুবাই ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের মক্কার বাসিন্দা আতি আল-মালিকির ছেলে আবদুল্লাহকে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন এক ব্যক্তি। চলতি মাসের ১৭ তারিখে ওই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের আগেই খুনিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন নিহতের বাবা। এর বিনিময়ে কোন ক্ষতিপূরণও নেননি তিনি।
এরই মধ্যে আল-মালিকির ক্ষমা করার ঘোষণার মুহূর্তটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্সের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রমজান মাসের পবিত্রতম রাত শবে কদরে অভিযুক্তকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন সন্তান হারানো বাবা। ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উপস্থিত অনেকে তাকে জড়িয়ে ধরে ওই বাবার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
الشيخ عاطي بن عطيه المالكي يعفو عن قاتل إبنه . شاهر ضيف الله الحارثي لوجه الله الكريم بيض الله وجهك وجزاك الله خير فمن عفى وأصلح فأجره على الله سبحانه والله يعتق رقابكم من النار pic.twitter.com/BP7Yyqy5Uz
— موسى المالكي (@moussa_saudi) April 5, 2024
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নিয়মে হত্যার বদলে হত্যা। অর্থাৎ, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবার চাইলে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
অফিসে মিথ্যা বলে আইপিএলের গ্যালারিতে নারী, অতঃপর....
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, ভাইরাল করে দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। ভারতের বেঙ্গালুরুতে তেমনই ঘটনা ঘটেছে। অফিসে মিথ্যা কথা বলে স্বামীর সঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন এক নারী। তবে তার বিপত্তি বাড়িয়েছে টেলিভিশনের ক্যামেরা। টিভির পর্দায় তাদের দেখে ফেলেছেন অফিসের বস।
সোমবার (৮ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নেহা দ্বিবেদী নামের এক নারী পারিবারিক জরুরি কাজের’ কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি মিথ্যা ছিল। মূলত তিনি আইপিএলে তার তার প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য তিনি এই ছুটি নেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু গত ২ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে খেলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। মাঠে বসে খেলা দেখার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য টিভি ক্যামেরায় দেখানো হয় নেহাকে। আর সেই দৃশ্যটাই চোখে পড়ে যায় বসের।
View this post on Instagram
A post shared by Neha Dwivedi (@mishraji_ki_bitiya)
এরপর যা হয়েছে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন নেহা। তিনি জানান, প্রিয় দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচ দেখতে ‘ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি’র কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে দর্শক সারিতে বসা আমাকে টিভির ক্যামেরায় দেখানো হয়। আর তা চোখে পড়ে যায় বসের। পরে বিষয়টি জানাতে বস নিজেই মেসেজ করেন নেহাকে।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্টে বসের সঙ্গে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেখা যায়. নেহার বস জানতে চাচ্ছেন, আপনি কি আরসিবির ভক্ত?
জবাবে নেহা বলেন, হ্যাঁ'। এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।
হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।
এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।
এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।
নেহার পোস্টে নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, বসও তাহলে অফিসে বসেই খেলা দেখছিলেন। কেউ আবার লিখেছেন, অনেকেই ক্যামেরায় ধরা পড়ার চেষ্টা করেন নানাভাবে। নেহা চাননি, কিন্তু তার ভাগ্যটাই খারাপ, তিনিই ফ্রেমবন্দি হলেন। এমন মজাদার নানা কমেন্টও দেখা যাচ্ছে নেহার পোস্ট।