• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রীপুরে পৃথক স্থান থেকে গৃহবধূ ও হিজড়ার মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে পৃথক স্থান থেকে গৃহবধূ ও হিজড়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এবং বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানার সংশ্লিষ্ট উপপরিদর্শক (এসআই) সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গৃহবধূ সুবর্ণা আক্তার (২২) ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রুদ্রগাঁও গ্রামের সোহাগ মিয়ার মেয়ে এবং আসিফ মিয়ার স্ত্রী। হিজড়া আব্দুল মান্নান অনন্যা (২৫) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বারতোপা গ্রামের নূরুল আমিনের সন্তান। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফুরকান খান জানান, বিয়ের পর থেকে সুবর্ণা আক্তারের সঙ্গে স্বামী আসিফ মিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। বুধবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সুবর্ণা দরজা ভেতর থেকে লাগিয়ে দেয়। আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে দরজা খোলার জন্য বললেও সে খোলেনি। পরে দরজা ভেঙে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে হিজড়া আব্দুল মান্নান অনন্যার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সে ওই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আব্দুল মান্নান অনন্যা প্রায় সময় টেনশনে থাকতো। তার সহপাঠীরাও এ বিষয়ে বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানিয়েছে। টেনশন থেকে সে ফাঁস নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘গিনেস বুকে’ স্থান পাবে : প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বিবেচনায় ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামন্ট’ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফুটবল টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। দেশের এ অনন্য কৃতিত্ব ও গৌরবকে ‘গিনেস বুকে’ স্থান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের  সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।   বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের হল রুমে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এবং ২০১১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাধাত্রী সহধর্মিণীর নামে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ চালু করেছে। ২০২৩ সালে ৬৫ হাজার ৩৫৪টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্র ও ৬৫ হাজার ৩৫৪টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্রী এ ফুটবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছে। রুমানা আলী জানান, আগামী ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দুটির ২০২৩-এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত উপস্থিত ছিলেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেলো বুয়েট-ঢাবি
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের  দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বুধবার (১০ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে এ র‌্যাঙ্কিং  প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়-এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাঙ্কিং  প্রকাশ করা হয়েছে।  প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিং  অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর‌্যাংদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাঙ্কিং য়ে স্থান দেওয়া হয়েছে। এবারের র‌্যাঙ্কিং য়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে। সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে। অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো-লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিং য়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫

‘কারেন্ট জালের উৎপাদন স্থান নির্মূল করতে হবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, জেলেদের কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার একটি বিষয় রয়েছে। এই বিষয়ে নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবেও খুবই ব্যথিত। পাগলেও নিজের বুঝ বুঝে। এই কারেন্ট জাল দিয়ে সবেমাত্র ভূমিষ্ঠ হওয়া মাছের সন্তান যদি ধরেন, তাহলে এই মাছ বড় হতে পারবে না। বড় মাছ আমরা আর কোনদিন চোখে দেখব না। তাই এই কারন্টে জাল সমূলে উৎপাটিত হওয়া দরকার। কারেন্ট জালের যে উৎস, যেখান থেকে এই জাল তৈরি হয়, ওই জায়গাটাকে চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। ওই কারেন্টের জাল যেখান থেকে তৈরি হয়, ওই খোয়াড়কে ভেঙে চুরে চুরমার করে দিতে হবে। আর এটি প্রশাসনকেই করতে হবে। এটি বন্ধ করতে পারলে কোন জেলে এই জাল দিয়ে নদীতে নামার সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এই বিষয়টি আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকষর্ণ করছি। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মূলহেডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ১১ থেকে ১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুর রহমান বলেন, আজকে আমরা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম, ইলিশকে নিরাপদ রাখবার জন্য, বিশেষ করে মা ইলিশকে বাঁচাবার জন্য এবং জাটকা নিধন বন্ধের জন্যই চাঁদপুরে আসা। অভিযানকালীন আমরা যদি মা ইলিশ রক্ষা না করি, তাহলে আমরাই (জেলেরা) বিপদে পড়ব। মা ইলিশ রক্ষার জন্য বড় ভূমিকা জেলেদের। দেশের সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে ৫ লাখ ৭১ হাজার মৎস্যজীবীদের তালিকা আছে। আমি এই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলব আপনারা এই তালিকাটি সঠিকভাবে প্রণয়ন করেন এবং এই মৎস্য জীবীকার সাথে যারা জড়িত তাদের একটি নামও যেন এই তালিকা থেকে বাদ না যায়, সেই ব্যবস্থা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ভরসাস্থল হচ্ছে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের মমতাময়ী মা। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে বড় একটি চ্যালেঞ্জ এবং বড় একটি হুমকির মোকাবিলা করে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে তিনি এ দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার স্থিতিশীল পর্যায় নিয়ে এসেছেন। আপনারা সবাই জানেন ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনের আগে অনেক নিন্দুকেরা এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা বলেছিল এ দেশে শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরক্ষে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের মুখে ছাই দিয়ে শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার অধীনে এবং কেবল মাত্র তার অধীনেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হয়। গত ৭ জানুয়ারির দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচনই তা প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এই দেশ বাঁচাতে হলে, শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে। আর শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হলে এই দলকে বাঁচতে হবে এবং সু-সংগঠিতভাবে বাঁচতে হবে। শেখ হাসিনার দূরদির্শতার কারণে আমরা সব ধরণের সংকট ও দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা যে জাটকা রক্ষা সপ্তাহ পালন করছি। আমাদের ইলিশের উৎপাদন ক্ষমতা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, এর থেকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তুলনা করি, তাহলে আজকে নিঃসন্দেহে বলতে পারি প্রায় ৬ লাখ মেট্টিক টন ইলিশের উৎপাদন বাংলাদেশের অর্জিত হয়েছে, তা কেবল মাত্রই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার মাটি আমার মানুষ, আমার পাট আছে, আমার সম্পদ আছে এবং আমার ইলিশ আছে। আর এই ইলিশেই হতে পারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় উপাদান। যথার্থভাবে আজ থেকে বহুদিন আগে ১৯৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে এ কথা বলেছিলেন। যার বাস্তব ও প্রয়োগিক ফলাফল ধীরে ধীরে এই জাতি আজকে উপভোগ করছে। মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদেরকে বলতে চাই- বঙ্গবন্ধু এই দেশের মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাবার জন্য নিরন্তন কাজ করেছেন। ১৯৮১ সালে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাবা-মা হারানোর ব্যথা ও অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এই বাংলার মাটিতে এসেছেন। সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্দেশে বলেছেন আমার পিতা ঘাতকের বুলেটে জীবন দিয়ে গেছেন। তার বুকের তাজা খুন এই পদ্মা-মেঘনা ও যমুনার কালো পানি লালে লাল হয়েছে। আজ আমি এসেছি একটি মাত্র স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। যে স্বপ্ন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। দেশের মানুষের মুখে তিনি হাসি দেখবেন। আর এই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার জন্যই আমার বাবার সেই অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করবার জন্যই আজকে এই দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনাদর মাঝে ফিরে এসেছি। সেই থেকে তার নিরন্তন যাত্রা। আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে তলাবিহীন ঝুড়ি সরকার, সেই বাংলাদেশ কেন আজ মেট্টোরেলের মালিক হবে। সেই বাংলাদেশ কেন আজকে আমাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করে নিজের অর্থে পদ্মা-সেতু নির্মাণ করবে। এই বাংলাদেশ কেন আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে, কেন আজ বঙ্গবন্ধু ট্যানেল দিয়ে গাড়ি চলবে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কেবল মাত্র হিংসা থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু এই বাংলার লক্ষ কোটি মানুষের সমর্থন আজ শেখ হাসিনাকে সাহস যুগিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আজকের এই মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় নাই। আজকে বাঙালি দুই বেলা মাছে ভাতে থাকে না। এই বাংলাদেশের মানুষ আজ তারা একটি গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবার জন্য নতুন প্রস্তুতি নিচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ইলিশ এমন সম্পদ, যে সম্পদ দিয়ে আমি বিদেশি মুদ্রা অর্জন করব এবং তৃতীয় রপ্তানিমূখী পণ্য হিসেবে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে দিব। তিনি বলেন, আমরা বছরে দুই থেকে তিনবার টিআর কাবিখা দিয়ে থাকি। সেখানে একটিবার যদি জেলেদের জন্য কিছু অংশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি অর্থাৎ জেলেদের উপকরণ দিতে পারি, সেটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আমরা আনব। আর যেসব জেলেদের বাড়ি নেই, ভূমি নেই তাদের তালিকা তৈরি করেন। সেই ব্যবস্থা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই কার্যক্রম চালু রেখেছেন। মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নৌপুলিশ, ডিসি এবং এসপিকে দিয়ে জাটকা রক্ষা হবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এই জাটকা রক্ষা সপ্তাহ গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। আমাদের এই জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ভরা যৌবনের চাঁদপুর আবার ইলিশের যৌবনে ভরে যাবে এই কথা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানে এই ইলিশের উৎপাদন সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি আমি আশা এবং বিশ্বাস করি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন- মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। অনুষ্ঠান শেষে শহরের মোলহেড থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ সংশ্লিষ্টদের অশংগ্রহণে মেঘনা নদীতে নৌর‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ শত শত মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৭

চট্টগ্রামকে হটিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল বরিশাল
চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে হ্যাট্রট্রিক হারের পর কিছুটা ছন্দ হারিয়েছিল তামিম-মিরাজরা। কিন্তু আসরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বরিশাল। নয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামকে হটিয়ে  টেবিলের তৃতীয় স্থান দখল করেছে তামিম ইকবালের দল। নবম ম্যাচে ঢাকাকে ২৭ রানে হারিয়েছে বরিশাল। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৮৭ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৫৯ রান তুলতে পারে। এতে ২৭ রানের জয় পায় বরিশাল। ফলে দশম ম্যাচ খেলে নয়টিতেই হারল ঢাকা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। ৪ বলে ১০ রান করে আউট হন নাঈম শেখ। ২ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যাডাম রোসিংটন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাইফ হাসানও। ৪ বলে ২ রান করে আউট হন ডান হাতি ব্যাটার। সেন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অ্যালেক্স রোস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি উইলিয়ামস। ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। ৯ বলে ৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন এসএম মেহরোব। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন করেন ১০ বলে ৮ রান। ৩ বলে ৬ রান করে আশা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন আলাউদ্দিন বাবুও। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন রোস। তাকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১০ রান করে আউট হন তাসকিন। শেষ ওভারে দুর্দান্ত ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫১ রান। তাই আগেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল রাজধানীর দল। তবে শেষ ছয় বলে ২৩ রান তোলেন রোস। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলতে পারে ঢাকা। এতে ২৭ রানের জয় পায় বরিশাল। ৪৯ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অ্যালেক্স রোস। ফরচুন বরিশালের হয়ে সাইফউদ্দিন ও খালেদ আহমেদ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন । এ ছাড়াও কেশব মহারাজ ও ওবেদ ম্যাকয় একটি উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ বলে ২৪ রান বরিশালের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ আউট হলে, ব্যাট চালাতে থাকেন লোকালবয় তামিম ইকবাল। ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২৩ বলে ২৮ রান করেন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত শোয়েব মালিকের ৯ বলে ১০ রান এবং সাইফউদ্দিনের ৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১৮৬ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

খুলনাকে হটিয়ে চতুর্থ স্থান দখল করল বরিশাল
চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রংপুরকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল ফরচুন বরিশাল। এরপরই হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পায় তামিম-মিরাজরা। তবে পরের চার ম্যাচে তিনটিতে জিতে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বরিশাল। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪০ রানে হারিয়েছে বরিশাল। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় তাসকিন-শরিফুলরা। এতে ৪০ রানের জয় পায় বরিশাল। এতে খুলনাকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠেছে বরিশাল। সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে বরিশাল। বরিশালের রান রেট শূন্য দশমিক ৩৬৫ এবং খুলনা শূন্য দশমিক ৩৬০। তাই প্লে-অফে উঠতে খুলনার সঙ্গে লড়াই করছে তামিম-মিরাজরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই হোঁচট খায় ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন নাঈম শেখও। পিচে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসানও। ১২ বলে ১৩ রান করে এই টাইগার ব্যাটার আউট হলে, দলীয় ৪১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে রাজধানীর দলটি। এরপর ঢাকা শিবিরে হাল ধরেন অ্যালেক্স রোস ও এসএম মেহেরব। ২৯ বলে ২৮ রান করে মেহেরব আউট হলে, ৪ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লঙ্কান ব্যাটার ডি সিলভা। এক প্রান্ত আগলে রেখে অ্যালেক্স রোস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও উইকেট হারাতে থাকে বাকিরা। তাহজিবুল ইসলাম (৭) ও লাহিরু সামারাকোন শূন্য রানে আউট হলে রোসকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে ১২ রান তাসকিন আউট হলেও ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অ্যালেক্স রোস। শেষ ১২ বলে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৪ রান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফউদ্দিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন রোস। ৩০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই অজি ব্যাটার। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুল ৭ রানে বোল্ড আউট হলে ১৪৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা। এতে ৪০ রানের জয় পায় বরিশাল।  বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। ওবেদ ম্যাককয় ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও আকিভ জাভেদ নেন এক উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদ। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন তামিম এবং ৮ বলে ১০ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। ৩ বলে ১ রান করে মুশফিক আউট হলে দলীয় ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। তবে পঞ্চম উইকেটে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শিবিরে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পিচে সেট হতেই ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। সেই সঙ্গে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহও। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। ৪৭ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত মালিকের ৯ বলে ১৯ রান এবং সৌম্য সরকারের ৪৯ বলের হার না মানা ৭৫ রানে ভর করে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২১

টাইমস স্কয়ার বিলবোর্ডে বাংলাদেশের ৮ শিল্পী
পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে একসঙ্গে দেখা মিলল ৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীর মুখ। এর মধ্যে রয়েছেন ইমরান মাহমুদুল, ঐশী, কণা, মাশা ইসলাম, জাহিদ নিরব, মুজিব পরদেশি, ইনিমা রশ্নি ও কাজল দেওয়ান। এছাড়া সবার ওপরে বড় করে যার ছবিটি স্থান পেয়েছে, তিনি পাভেল আরিন, সংগীত পরিচালক। জানা গেলো, পাভেলের হাত ধরেই এই টাইমস স্কয়ার যাত্রা। মূলত তিনি একটি নতুন সংগীত সেশন চালু করেছেন। যেটার নাম দিয়েছেন ‘লিভিং রুম সেশন’। এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার জন্যই টাইমস স্কয়ারের একটি বিলবোর্ডে প্রদর্শন হয় প্রজেক্টটির নামসহ শিল্পীদের ছবি। ‘লিভিং রুম সেশন’ নিয়ে পাভেল আরিন বলেছেন, ‘ইতোপূর্বে সিনেমা ও টেলিভিশনে অনেক কাজ করেছি। এবার ভাবলাম নতুন কিছু করি। তাই এই প্রজেক্ট। এটা কিছুটা জ্যামিংয়ের মতো হবে, তবে গানগুলো মিউজিক্যালি যাতে মানসম্পন্ন হয়, সেদিকটা নজরে রাখছি।’ এই প্রজেক্টের পরিবেশনায় থাকছে মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট। অডিও প্রডাকশনে বাটার কমিউনিকেশন আর ভিডিওর দিকটি সামলাচ্ছেন মারুফ রায়হান। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে সেশনের প্রথম পরিবেশনাটি উন্মুক্ত করা হবে। এর আগে গেলো বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ের উদ্যোগে টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে দেখা যায় বাংলাদেশি-মার্কিন সংগীতশিল্পী মুজার ছবি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১২

বিশ্ব ইজতেমা / বিভাগ অনুযায়ী পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করল ডিএমপি
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হবেন ইজতেমা প্রান্তরে। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনাসহ বিভাগ অনুযায়ী যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।  ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের যানবাহনগুলো ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠে পার্কিং করতে হবে। সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা যানবাহনগুলো পার্কিং করতে হবে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠে। এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারিত হয়েছে ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পাশে, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে ও বউবাজার মাঠ। বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়িগুলো রাখতে হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং-সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। এবং ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করা হবে ঢাকা মহানগরীর গাড়িগুলো।  ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে পার্কিং করতে বলেছে ডিএমপি। এ ছাড়া খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে পার্কিং করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ নির্দেশনা আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। একইভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলো কামারপাড়া ও আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ কেচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং চালক ও যাত্রীরা একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে। ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে— উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪০ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪১ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পূর্ব জোন) : ০১৩২০-০৪৩৯৫২ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এয়ারপোর্ট জোন) : ০১৩২০-০৪৩৯৫৮ ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন): ০১৩২০-০৪৩৯৭৩ টিআই (আব্দুল্লাহপুর): ০১৩২০-০৪৩৯৬৮ টিআই (কামার পাড়া): ০১৩২০-০৪৩৯৭১ টিআই (ধউর ব্রিজ): ০১৩২০-০৪৩৯৭০ টিআই (বিমানবন্দর): ০১৩২০-০৪৩৯৬২ ও ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০ এছাড়া, পুলিশি সহায়তার জন্য কল করা যাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি
হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর হেঁটে হেঁটে শহরের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে রাষ্ট্রপতি তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে প্রবেশ করেন। সেখানে কয়েক মিনিট অতিবাহিত করার পর হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারে। সেখান থেকে প্যারাডাইস সুইটস ঘুরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রবেশ করেন স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় সংগঠন পাবনা প্রেসক্লাবে। বেশ কয়েক মিনিট সময় অতিবাহিত করে রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত গাড়িতে করে ফেরেন সার্কিট হাউসে। এ সময় স্থানীয় বন্ধুবান্ধব ও নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে চার দিনের সফরে পাবনায় এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। চার দিনের সফরে সোমবার আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সফর বাতিল করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফরের দ্বিতীয় দিন‌ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর‌ ২টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পাবনার ঈশ্বরদীর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার দাস। এরপর তাকে‌ বহনকারী গাড়িবহর সড়ক পথে পাবনা সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। গাড়ি বহরটি বিকেলে ৩টায় সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম নেন তিনি। এরপর সন্ধ্যার দিকে প্রিয় স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে ঘুরতে বের হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়