• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাবে সিসিমপুর
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাতে একসঙ্গে কাজ করেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর। সম্প্রতি বিটিআরসি ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করতে একসঙ্গে কাজ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। চুক্তির আওতায় বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হবে।  সিসিমপুরের বাস্তবায়নাধীন ‌‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং সিসেমি ওয়ার্কশপের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম চুক্তিতে সই করেন। ২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে 'সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।  প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবকদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

গাজার শিশুদের কাছে এবারের ঈদ এসেছে ভিন্নভাবে
রমজান মাসের শেষে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালনের জন্য যখন মুসলিমরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গাজার শিশুরা বলছে তাদের কাছ থেকে ঈদের আনন্দ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে যত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের মধ্যে এক শতাংশ শিশু অনাথ হয়েছে অথবা তাদের দেখাশোনা করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নেই। এমন কোন ক্যাম্প নেই যেখানকার শিশুরা একজন বা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। যেমন লায়ান ও তার ১৮ মাস বয়সী বোন সিয়ার। তাদের পরিবারে একমাত্র তারাই এখন বেঁচে রয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা গাজায় অক্টোবরের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে শহরের আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলো। সে সময় তারা নিহত হয়। লায়ান সেই রাতে তার পরিবারের ৩৫ সদস্যকে হারায়। তাদের মধ্যে বাবা–মা ও নিজের পাঁচ ভাই বোন ও ছিলো। লায়ান বলেন, “ আমাদের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছানোর মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে দুইটা ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের উপর আঘাত করে। আমি জেগে উঠে দেখলাম, আমার পরিবারের সব সদস্যরা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে”। গাজা শহরের জনাকীর্ণ হাসপাতালে এই হামলায় শত শত লোক নিহত হয়। এ হামলার জন্য ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এবং ইসরায়েল একে অপরকে দায়ী করেছে। লায়ান আরও বলেন, সে তার আন্টি এবং বড় কাজিন আলীর সঙ্গে স্বচ্ছন্দে আছে, যাদের সঙ্গে সে ও তার বোন দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধে সবকিছু নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আগে, লায়ান ঈদের আগে বাবা-মার সাথে নতুন জামা কিনতে যেতো। তারা ঈদে বিস্কুট বানাতো যা স্থানীয়ভাবে এটি ‘মামোল’ নামে পরিচিত। তারা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করতো। কিন্তু এই বছর আর কোন পারিবারিক জমায়েত হবে না। “এই ঈদে কেউ আমাদের দেখতে আসবে না। যুদ্ধের কারণে কয়েক হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে। অর্থ স্বল্পতায় থাকলেও ২৪ বছর বয়সী আলী এই মুহূর্তে লায়ান ও তার বোনের দেখাশোনা করছে। সে নিজের সামর্থ্যের মধ্যে তাদের ও অন্যান্য কাজিনদের পোশাক ও খেলনা কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুদ্ধের আগে গাজা শহরের নিকটবর্তী জৈতুনে লায়ানের কাজিনরা তাদের পরিবারের অন্যান্য ৪৩ সদস্যের সঙ্গে একটি ভবনে থাকতেন। এখন যারা বেঁচে আছেন তারা দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে থাকেন।  লায়ানের মতো তার আরেক কাজিন ১৪ বছর বয়সী মাহমুদও যুদ্ধে অনাথ হয়েছে। মাহমুদ তার বাবা-মা ও বেশিরভাগ ভাই-বোনকেই আল আহলি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একই ঘটনায় হারিয়েছে। যখন ওই হামলা হয় তখন সে বাইরে তার পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়েছিলো। মাহমুদ বলেন, যখন আমি ফিরে এসেছিলাম, আমি সবাইকে মৃত দেখতে পেলাম। যা দেখলাম তাতে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। যুদ্ধের আগে, মাহমুদ বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতো এবং মিশরে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এখন তার একমাত্র স্বপ্ন উত্তর গাজা ভূখণ্ডে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং বাবা-মার স্মৃতিচারণ করা। এই ঈদে কোন আনন্দ নেই। আমরা আগে ঈদের সময় রাস্তায় বাতি জ্বালাতাম কিন্তু এখন আমরা সাজসজ্জা হিসেবে শুধুমাত্র তাঁবুতে একটা দড়ি ঝুলাতে পারি। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি শিশু বাস করে যাদের একজন বা বাবা-মা উভয়ই নেই। সঠিক পরিসংখ্যান বের করা কঠিন, কিন্তু ইউনিসেফ ধারণা করেছে যে, গাজা ভূখণ্ডে অন্তত ১৭ হাজার শিশু সঙ্গীহীন অবস্থায় রয়েছে অথবা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাবা -মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে পড়েছে। সাধারণত ঈদ বলতে পরিবারের সদস্যদের জমায়েত এবং এই উৎসব পালন করতে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করাকে বুঝায়। কিন্তু এ দুইটিরই অনুপস্থিতি ও চলমান যুদ্ধের কারণে শিশুদের শুধুমাত্র তাদের আগের স্মৃতি ধারণ করেই থাকতে হবে। গাজাবাসীদের টেবিলে ঈদে যেসব খাবার থাকে তার অন্যতম হচ্ছে সুমাকিয়া (মাংসের ঝোল) এবং ফাসিখ (লবণাক্ত মাছ)। কিন্তু উৎসবের প্রধান আকর্ষণ থাকে ঈদ বিস্কুট। বাস্তুচ্যুত লোকেদের জন্য রাফাহ শহরের দক্ষিণে একটি ক্যাম্পে অন্তত ১০ জন মহিলা ঈদের বিস্কুট তৈরি করতে ফিলিস্তিনি মাজদ নাসার ও তার পরিবারের তাঁবুতে জড়ো হয়েছেন। গাজার উত্তর থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ২০ বছর বয়সী মাজদ একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যাতে “ ক্যাম্পে থাকা শিশু ও তাদের পরিবারকে ঈদের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়া যায় ”। তিনি নিকটস্থ তাঁবুর সব প্রতিবেশীদের একসঙ্গে বিস্কুট বানাতে আমন্ত্রণ জানান। “ মামোল তৈরির উপকরণগুলোর দাম আগের বছরের চাইতে তিন থেকে চার গুণ বেশি হয়ে গেছে” বলেন মাজদ। এই যুবক ক্যাম্পে থাকা ৬০টি পরিবারের মধ্যে গোল কেক বিতরণ করেছে, যেগুলোর কেন্দ্র ফাঁপা বা গর্ত করা। পুরো গাজা ভূখণ্ড জুড়ে সতের লাখ বাস্তুচ্যুত লোক কঠোর পরিস্থিতিতে বাস করছে এবং খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে তারা ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভর করে। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, আহমেদ মুসতাহা এবং তার দল ঈদের সময় উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকেদের একটি ক্যাম্পে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন। এর কারণ সার্কাসের মাধ্যমে যত বেশি সংখ্যক অনাথ শিশুদের আনন্দ দেওয়া যায়। আনুমানিক তিন লাখ লোক এই এলাকায় দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। আমরা শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই যাতে তারা ঈদের উৎসব পালন করতে পারে ” সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা মুসতাহা এসব কথা বলেন। এই সার্কাসটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধে বোমা হামলার আগে যে ভবন থেকে এটি পরিচালিত হতো সেখানে শিশুদের সার্কাস আর্ট শেখানো হতো। যুদ্ধের আগে, মুসতাহা এবং তার দলের দশজন সদস্য পার্কে শিশু ও অনাথদের অভিনয় করে দেখাতেন। এখানে ক্যাম্প ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া এলাকা তাদের অভিনয়ের পটভূমি তৈরি করে। যেখান থেকে একজন সার্কাসের ভাঁড় অ্যাক্রোবেটিক ও ভেলকি দেখানো থেকে শুরু করে মজার স্কেচও করে। এটা বাচ্চাদের হাসতে বাধ্য করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩১

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে অপু-গৌতম
ঢালিউড কুইনখ্যাত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। চলচ্চিত্রের পর্দায় তার সহানুভূতি, উদারতা, মহত্ব দেখেছেন অপুভক্তরা। বাস্তবেও সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছেন এ অভিনেত্রী। এদিকে ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহাকেও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়। এবার তারা দুজনেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজধানীর শ্যামলীতে ‘ছায়াতল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সুবিধাবঞ্চিতদের নতুন পোশাক দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার ( ১ এপ্রিল) এই প্রতিষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন অপু বিশ্বাস ও গৌতম সাহা। এ সময় প্রায় ১০০ শিশুর সঙ্গে কিছু সময় কাটান তারা। এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস, ‘ছায়াতল’ নামের প্রতিষ্ঠানটি সুবিধাবঞ্চিতদের নতুন পোশাক দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাকে যখন ‘ছায়াতল’ থেকে বলা হয়, আমি তখনই রাজি হয়ে যাই। গৌতম সাহা বলেন, আমি সবসময়ই সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই। সুযোগ পেলে আমি তাদের জন্য কিছু করি। ঈদে নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য ওদের পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। অপু বিশ্বাস বর্তমানে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্যদিকে গৌতম সাহা ঈদের ফটোশুট নিয়ে ব্যস্ত পার করছেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

জাহাজ ছিনতাইয়ে শিশুদের কাজে লাগাচ্ছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্যতাসহ নানান কারণে জলদস্যুতার দিকে ঝুঁকছে দেশটির বাসিন্দারা। এমনকি কম বয়সী শিশু-কিশোররাও জলদস্যুতায় জড়িত হচ্ছে। ১৪ বছর আগে ‘এমভি জাহান মণি’ নামে একটি বাংলাদেশি জাহাজ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেটিতে জিম্মি নাবিকদের যারা পাহারা দিতেন তাদের মধ্যে ১৬-১৮ বছর বয়সী সশস্ত্র কিশোররা ছিলেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সমেত সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এই জাহাজটি ছিনতাইয়ের সময় সোমালি জলদস্যুদের ব্যবহার করা আরেকটি ‘জাহাজ এমভি রুয়েন’ এর জলদস্যুদের মধ্যেও ছিল শিশু-কিশোররা। ভারতীয় নৌবাহিনীর ৪০ ঘণ্টার অভিযানে জাহাজটি থেকে ৩৫ জলদস্যুকে আটকের পর আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে আটজন নিজেদের বয়স ১৮ বছরের কম বলে জানায়। এরপর আদালত তাদের পৃথক জুভিনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানোর নির্দেশ দেয়। এতে করে সোমালিয়া উপকূলে ‘সমুদ্রপথের আতঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র জলদস্যুদের দলগুলোতে শিশু-কিশোরদের থাকার বিষয়টি আবারও সামনে আসে।  দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ ২০১৭ সালের মে মাসে ‘চিলড্রেন ইফেক্টেড বাই মেরিটাইম পাইরেসি: এ হ্যান্ডবুক ফর মেরিটাইম সিকিউরিটি সেক্টর এক্টরস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ২০১৪ সালে সোমালিয়া উপকূলে গ্রেপ্তার হওয়া জলদস্যুদের মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম ছিল বলে তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ১৭ মার্চ টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন বলা হয়, ওই সপ্তাহে আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর আটক ৬১ সোমালি জলদস্যুর মধ্যে ২৫ জনই ছিল শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। এমনকি তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স মাত্র ১১ বছরের কিছু কমবেশি ছিল। সোমালিয়ার জলদস্যু দলে শিশু-কিশোরদের যুক্ত হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে দ্যা জিওপলিটিক্স এবং দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ এর প্রতিবেদনে।  এতে বলা হয়, জলদস্যুতার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণগুলো হল- সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও বারবার ঘটতে থাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেখানে সোমালিয়ায় বছরে মাথাপিছু গড় আয় ৬০০ ডলারের মত। সেখানে জলদস্যুরা শুধু একটি জাহাজ ছিনতাই করে হাজার হাজার ডলার পেতে পারে।  ছোট নৌযান চালানো, ছোট জায়গা দিয়ে চলাচল করতে পারা এবং চটপটে স্বভাবের হওয়ায় জলদস্যু দলের প্রধানরা ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের এই কাজে প্রলুব্ধ করে। স্বাক্ষরতার হার কম হওয়ায় সহজে বেশি অর্থ উপার্জনের পথ হিসেবে শিশুরা এই কাজে আগ্রহী হয়।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩০

হাবিপ্রবিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে হাবিপ্রবি মজার স্কুল। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে হাবিপ্রবি স্কুল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় হাবিপ্রবি ‘মজার ইস্কুল’ কর্তৃক আয়োজিত এ কার্যক্রমে প্রায় ১২০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে সেমাই, চাল, চিনিসহ ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, আইভি রহমান হলের হল সুপার প্রফেসর আদিবা মাহজাবিন নিতু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, আমরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি তা হলো আমাদের ছেলে মেয়েগুলো ভালো সিজিপিএ ও ভালো মানুষ হওয়ার জন্য এসব মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসবে। আমি মনে করি, মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে হাবিপ্রবি ‘মজার ইস্কুল’ অনেক বড় একটা ক্ষেত্র। যেখান থেকে মানবিক দিকগুলো ফুটে উঠবে এবং পরবর্তী জীবনে তা বাস্তবায়ন করবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

শিশুদের বিরল রোগের ‌‌‘জিন থেরাপি’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ
মেটাক্রোম্যাটিক লিউকোডিস্ট্রফি বা এমএলডি নামক অতি বিরল রোগের জন্য নতুন একটি জিন থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পাইকারি মূল্য ৪ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধ। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সোমবার ওষুধটির অনুমোদন দেয়।  এমএলডি একটি বিরল এবং মারাত্মক রোগ যা সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের আক্রান্ত করে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা কখনও কখনও হাঁটতে এবং কথা বলার ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থা অরচার্ড থেরাপিউটিকসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রতি এক লাখ শিশুর মধ্যে একটি শিশু এমএলডি নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। বছরে এই সংখ্যা ৪০ শিশুর কম। অরচার্ড থেরাপিউটিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. ববি গ্যাসপার বলেছেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ওষুধ। এটিতে শিশুদের বিধ্বংসী রোগকে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:০৫

শিশুদের ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধু 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশকে ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন দেশের মানুষকে। এমনকি প্রতি ছিলেন দুর্বল। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন তিনি। তার একাধিক নিদর্শন তিনি রেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন কার্যক্রমে এমন চিত্র দেখা গেছে। শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিত। তাই মহান নেতার জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে তৃতীয় সন্তান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।  ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর ডাকনাম ছিল ‘খোকা’। আচরণে তিনি খোকাদের মতোই সহজ সরল, নিষ্পাপ ও জেদী ছিলেন। শিশুদের মতোই মানুষকে ভালোবাসতেন, সবাইকে সহজেই বিশ্বাস করতেন।  শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভীষণ দয়ালু। টাকার অভাবে কোনো ছেলে বইপত্র কিনতে না পারলে নিজের বইপত্র দিয়ে দিতেন। এমনকি একদিন এক ছেলেকে ছেঁড়া কাপড় পরে থাকতে দেখে নিজের পরনের কাপড় খুলে দিয়েছিলেন তিনি। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে তার জীবনে। এছাড়া দেশ ও জনগণের বিভিন্ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামেগঞ্জে যেতেন, তখন চলার পথে শিশুদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতেন। খোঁজ-খবর নিতেন। দুস্থ ও গরিব শিশুদের দেখলে কাছে টানতেন। কখনো কখনো নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অফিসে বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এরপর কাপড়-চোপড়সহ নানা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন। ১৯৭২ সালের ঘটনা। সকালে বঙ্গবন্ধু হাঁটতে বের হয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে শেখ কামাল। তিনি দেখলেন, একটি ছোট ছেলে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। কাছে ডাকার পর ছেলেটি জানায়, তার পা ব্যথা করছে। বঙ্গবন্ধু নিজে ছেলেটির জুতা খুলে দেখেন, জুতার মধ্যে পেরেকের সুঁচালো মাথা বের হয়ে আছে, ছেলেটির পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তখনই ছেলেটির চিকিৎসার জন্য তার দেহরক্ষী পুলিশকে নির্দেশ দিলেন বঙ্গবন্ধু, তার হাতে কিছু টাকাও দিলেন। পরম মমতায় তাকে কোলে নিয়ে আদর করলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর দেশের ঐতিহ্যবাহী শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসার মানসিকতা বিকাশে শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রেরণা পাচ্ছে। দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।  জাতির পিতা বুঝেছিলেন, দেশের আগামী দিনের নাগরিক আজকের শিশুরাই জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। সুতরাং তাদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশু মনে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালাতে না পারলে তারা সুষ্ঠু নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না। শিশুরাই আগামী প্রজন্ম। তারা গড়ে উঠুক কল্যাণকামী ও সৌন্দর্যমূলক জীবনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যদিয়ে। এ স্বপ্ন আমাদের চেতনায় জাগিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কাছে তার শিশুপুত্র রাসেল ছিল বাংলাদেশের সব শিশুর প্রতীক। তিনি অনুধাবন করেছেন, শিশুর কাছে জাত-পাত, ধনী-গরিবের ভেদাভেদ নেই। স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়তে হলে শিশুদেরও গড়তে হবে। ওদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগাতে হবে। তাই তো সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে শিশুদের অগ্রগতির বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, সুযোগের সমতা, অধিকার ও কর্তব্য এবং জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শিশু উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম শক্তি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। যারা আজকের শিশু-কিশোর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৎডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। সেই বাংলাদেশের আগামী নেতৃত্ব আজকের শিশু-কিশোরদের কাছে।   বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখো। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।’
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯

শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার : দীপু মনি
সরকার শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ প্রোগ্রাম শিশুদের নিয়ে। শিশু পরিবার, মুক ও বধির বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরে সিএসপিবি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও নতুন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমাদের শহরগুলোতে অনেক শিশু রাস্তায় বসবাস করে। অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করে। কাজেই এসব শিশুদের সুরক্ষা, তাদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো শিশু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে কিনা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করবে আমাদের কর্মীরা। কমিউনিটিভিত্তিক এ কাজ করতেই সমাজকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি দেশের শিশুদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও সুরক্ষা নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গ্রামে শিশুরা সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে থাকে। সেই সমাজ কাঠামো শিশুর সুরক্ষায় একটা কবচ হিসেবে থাকে। কিন্তু শহরের ক্ষেত্রে তা নয়। এখানে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সঙ্গীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার। একই সঙ্গে তার শিশুও অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে। অপরদিকে গ্রামে যৌথ পরিবার কাঠামোটা নারীর সুরক্ষার রক্ষাকবচ তৈরি করে। এখানে শহুরে পরিবেশে তেমন কেউ এগিয়ে আসে না। গ্রামে শিশুদের শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, শিশুরা যে অনিরাপদ পেশায় বা অনিরাপদ জীবনযাপন করছে তার অধিকাংশ ঘটে শহরে, গ্রামে ঘটে না। এ ধরণের সমস্যা শহরকেন্দ্রিক। তাই শহরে শিশু সুরক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নাতালি ম্যাক কলি ও  সিএসপিবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

শিশুদের যৌনমিলন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে যা বললেন কঙ্গনা
স্কুল পড়ুয়া শিশুদের যৌনমিলন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ইনস্টাগ্রাম স্টোরির এক পোস্টে এমন দাবি জানান তিনি।   ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কঙ্গনা রাণৌত বলেন, আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, কোনো পুরুষ কোনো নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর তাকে ছেড়ে যেতে পারবে না, যদি পুরুষ এ কাজ করে তবে ভরণপোষণের জন্য ওই নারীকে তার টাকা দিতে হবে এবং বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হোক। কঙ্গনার দাবি, স্কুল পড়ুয়া শিশুরাও যৌনমিলনে লিপ্ত হয়ে থাকেন। তার ভাষায়, স্কুল পড়ুয়া শিশুদের যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হোক। বিয়ের জন্য যেমন বয়স (১৮/২১) করা হয়েছে, তেমনি যৌনমিলনের বয়স নির্ধারণ করা উচিত, না হলে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করা বা বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে কি লাভ? স্কুলে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকা শহুরে সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে কঙ্গনা রাণৌত বলেন, শিশুরা যদি অনলাইনে যৌন ক্রিয়াকলাপে যুক্ত হয় এবং স্কুলে যৌন সঙ্গী তৈরি করা নিয়মে রূপান্তর করে, বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে স্কুলে বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড থাকা শহুরে সংস্কৃতির একটি অংশ, এটি অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত, এটি তাদের মানসিক এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত করে। কম বয়সে যদি বিয়ের খুবই প্রয়োজন পড়ে, তবে ঐতিহ্যগত রীতি মেনে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, কঙ্গনা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘তেজাস’। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় এটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। বক্স অফিসে আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। ‘ইমার্জেন্সি’ ও নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার কাজ এখন কঙ্গনার হাতে রয়েছে। ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩২

টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ
টাঙ্গাইল সদরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া দুই শতাধিক শিশুর মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরণের চার শতাধিক শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি শাহজাহান মিয়া।  বিতরণকালে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান, সদস্য শাকিল আহমেদ, সুমন চৌধুরী, রিপন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বই পেয়ে শিশুদের চোখে ছিল আনন্দ আর মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, আমার গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে পাঠাগারে এসে বই পড়ি। আজ বই উপহার পেয়ে আমি আনন্দিত। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান বলেন, বই শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি ও মনের সুপ্ত ভাবনার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। শিশু বয়স থেকেই শিক্ষামূলক বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাই গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করে থাকি।  প্রসঙ্গত, এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়