• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ মেয়েকে হত্যায় শারমিন আক্তার (৩৬) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ আদেশ দেন। শারমিন আক্তার উপজেলার মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে বিদেশ চলে যান। তিন সন্তানকে লালনপালন করতে শামীম মিয়া বিয়ে করেন শারমিন আক্তারকে। দুই ছেলে বড় হয়ে যাওয়ায় তারা সুমাইয়াকে (১২) রেখে ঢাকায় বসবাস করে ডিস লাইনের কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সুমাইয়ার মরদেহ ঘরে পাওয়া যায়। এ খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার মরদেহের গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় শারমিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূঁইয়া। এ মামলায় শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে এ মামলায় শারমিনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে যুক্তিতর্ক ও সাক্ষী জেরা শেষে বুধবার জেলা জজ শারমিন নিগার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শারমিন আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গ্রেপ্তারের পর হাজতবাসকালীন সময় কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৪

শিশুকে গলাকেটে হত্যা, নানা গ্রেপ্তার 
বগুড়ার পল্লীতে মায়ের মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হয়েছে এক শিশু। বন্ধন সরকার নামের পাঁচ বছর বয়সী  শিশুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে শিশুটির মায়ের মামা।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বন্ধন সরকার বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকার রবি দাসের ছেলে।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত নানা (নিহতের মায়ের মামা) সুকুমার দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুকুমার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকার ঝুমুর দাসের ছেলে। তিনি এলএলবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফহিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেশী বঙ্কিম চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার থেকে এলাকায় হরিবাসর শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে ছেলে বন্ধন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে তার মা নিজের মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী জানতে পারে, কাঁচি দিয়ে গলাকেটে শিশু বন্ধনকে হত্যা করেছে সুকুমার। এরপর সুকুমার পালিয়ে না গিয়ে ওই ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।   অভিযুক্ত সুকুমার দাস ভুক্তভোগী শিশু বন্ধন সরকারের মায়ের মামা। সেই সূত্রে তিনি বন্ধন সরকারের নানা হন।  এলাকাবাসী আরও জানান, কেউ কেউ বলছে সুকুমারের মোবাইল নেওয়ার কারণে, আবার কেউ বলছে কোনো এক দ্বন্দ্বের কারণে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অনেকেই সুকুমারকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে  প্রমাণের চেষ্টা করছে। কিন্তু সুকুমার বুধবার সারাদিন হরিবাসরে সারাদিন প্রসাদ বিতরণ করেছে। আবার সে এলএলবি পড়াশোনাও করছে। পুলিশ পরির্দশক ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সুকুমারকে গ্রেপ্তার করেছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে।   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৪

নারায়ণগঞ্জে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম সাকিব সিকদার (১০)। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী এলাকায় তার নানার বাড়ির পাশে থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত সাকিব রুপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার জিকু সিকদারের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, ১৭-১৮ দিন আগে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার পাচঁরুখী গ্রামে তার নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তার মা তাকে ব্লেড আনতে তাকে বাজারে পাঠায়। এরপর থেকে সাকিব আর বাড়ি ফেরেনি। এ দিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার নানার নতুন বাড়ির পাশে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  তিনি আরও বলেন, সাকিবের সামান্য বাক প্রতিবন্ধিতা ছিল। মুখের কথা অস্পষ্ট ছিল। শিশুটি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসলে নানার পুড়ির দোকানে কাজ করতো। মরদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ও খুন্তি ছ্যাঁকা দেওয়াসহ রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৭

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ডাকাতিয়া নদীতে ফেলার দায়ে মোহাম্মদ আলী ওরফে বাপ্পী (২৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন আসামি মোহাম্মদ আলী। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই শিশুকে তেঁতুল খাওয়ানোর কথা বলে মোহাম্মদ আলী টিনের ঘরে নিয়ে যান। এরপর তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর লাশ কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার পর নিজেই অটোরিকশা ভাড়া করে শিশুটির নিখোঁজের সংবাদ মাইকিং করেন। একপর্যায়ে তার আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তাকে পিটুনি দিলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। পরে শিশুটির বাবা পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় মোহাম্মদ আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ জুন মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের মো. মিজানের (২২) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ইকবাল মনির। ২০২০ সালের ৮ মার্চ এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আদালত মোহাম্মদ আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অপর আসামি মো. মিজানকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। শিশুটির বাবা বলেন, এ রায়ে আমি খুশি। দ্রুত ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখতে চাই। আমার অবুঝ শিশুর মুখে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ঘাড় মটকিয়ে দেওয়া হয়। পরে কাঁথা মুড়িয়ে লাশ বাড়ির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ভাসিয়ে দেয় মোহাম্মদ আলী। একসঙ্গে এতগুলো অপরাধ করা ব্যক্তির ফাঁসি দ্রুত হলে আমি শান্তি পাব। কুমিল্লা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ের দ্রুত কার্যকর চান তারা। অবুঝ শিশুর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছেন মোহাম্মদ আলী। এই রায় ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, রায়ে বিবাদী পক্ষ খুবই অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর তারা আপিল করবেন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৬

৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে তিন বছরের এক শিশুকে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে সাজ্জাদ হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রোববার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শহরের ব্র্যাকমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ঘটনার চার ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত কিশোর সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া সাজ্জাদ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে।  ধর্ষণের শিকার শিশুর মা জানান, স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাক মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। সাজ্জাদ তার মেজো ভাইয়ের শ্যালক হয়। মাঝে মধ্যে সে ব্র্যাক মোড়ের বাসায় আসা যাওয়া করতো। গতরাতে তিনি নামাজ পড়ছিলেন, এ সুযোগে মেয়েকে একা পেয়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে সাজ্জাদ। মেয়ের খালা বিষয়টি টের পেলে মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ। পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনা জানার পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাকে সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

টঙ্গীতে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে টঙ্গীর আলেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তরুণ ফাহিমকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার সরকার পাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। ফাহিম মিরাশপাড়া এলাকায় কাইয়ুম মোল্লার বাসার ভাড়াটিয়া। অভিযুক্ত ফাহিম টঙ্গীর বিসিক এলাকার একটি ওয়াশিং কারখানায় কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই শিশু ও ফাহিম একই মালিকানাধীন পাশাপাশি পৃথক দুটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রোববার দুপুরে ভাড়া বাসার পাশে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এ সময় ফাহিম চকলেট দেওয়ার কথা বলে চারতলা ভবনের নিজ ফ্লাটে ডেকে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরও এক পর্যায়ে ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে ধর্ষণ করেন। এরই মধ্যে কিছু সময় পর শিশুটিকে না দেখতে পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে শিশুটির মা ওই ভবনের কক্ষে গেলে অভিযুক্ত ফাহিম শিশুটিকে কক্ষে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যায় পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ অভিযুক্ত ফাহিমকে আটক করে। এ ঘটনায় রাত আটটায় শিশুটির বাবা টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।  ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান।  তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর আটককৃত ফাহিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৮

ঠাকুরগাঁওয়ে ১১৯২ জন শিশুকে শ্রম মুক্ত করেছে ইএসডিও
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করে সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে নথিপত্র হস্তান্তর করেছে জেলার পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যানরা। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিজয়সরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার হাতে এসব নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এর আগে ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করতে জেলার পাঁচটি উপজেলার তিনটি পৌরসভা ও ৫৪ ইউনিয়নে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে ইএসডিও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিও এর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ১৯২ জন শিশু শ্রমিককে চিহ্নিত করে তাদের শ্রম মুক্ত করে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে ইএসডিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহিদ উজ জামান বলেন, আমরা এই কার্যক্রমটি শুরু করার আগে পুরো জেলার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সার্ভে করেছিলাম। সেই সার্ভেতে আমরা দেখেছি পুরো জেলায় ১ হাজার ১৯২ জন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে জড়িত রয়েছে। তারপর আমরা জেলার ৫৪টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার সঙ্গে পৃথকভাবে মিটিং করার পর সেখানে আমরা এক ধরনের কমিউনিটি লেভেল পর্যবেক্ষণ মডেল তৈরি করি। এবং এই শিশুদের শ্রম থেকে মুুক্ত করার দায়িত্ব দেই তাদের। কারণ শিশুশ্রম মুক্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। ১৪ বছর বয়সের নিচে শিশুদের আমরা স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং ১৪ বছরের বেশি বয়সের যেসব শিশু ছিল, তাদের আমরা নানা ধরনের প্রিভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা ইতিবাচক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্তি করেছি। এখন এটি যেন আবার বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য এসব শিশুদের বাবা-মায়ের আয়ের সুবিধার্থে তাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ও এনজিও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, শিশুদের শ্রম মুক্ত করা একটি কঠিন কাজ। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে শিশুদের বুঝিয়ে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা সহজ কাজ নয়। ইএসডিও এই কঠিন কাজটি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই এই কার্যক্রম চলতে থাকুক। যেহেতু ঠাকুরগাঁওকে শিশুশ্রম মুক্ত করা গেছে, সেহেতু সারা বাংলাদেশও শিশুশ্রম মুক্ত করা হোক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) জাতীয় প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়ানিন, জাতীয় শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সালমা আলী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাই কমিশনের স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবিন প্রমুখ।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭

নারায়ণগঞ্জে ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার  
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর এলাকায় দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলার অভিযুক্ত আসামি শিপন আহমেদকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার। তিনি জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি বাদীর দুই মেয়ে শিশুকে বাসায় একা পেয়ে চকলেট ও টিভিতে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিপন তার ঘরে তাদের ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে জানালে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে গুম করার হুমকি দেয়।  পরে ওই শিশুরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিষয়টি মা-বাবাকে জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে, তারা বিচার সালিশির আশ্বাস দিলেও আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। শেষ পর্যন্ত বিচার না পেয়ে ১০ মার্চ ওই শিশুদের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।  তিনি আরও জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। 
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়