• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জামিন মঞ্জুর হয়নি, সেই ৫ আইনজীবী কারাগারে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। এর আগে, এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামাদির আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৭ মার্চ বিকেলে আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

বেইলি রোড ট্রাজেডি / চার আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর 
রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজিরের পর ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি এ আবেদন করেছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন, দোতলায় অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।  শুক্রবার চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজন মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসানকে আটক করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করে শনিবার ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডসহ আরও কিছু আইনের ধারা উল্লেখ রয়েছে। মামলায় আসামির কোনও সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চারজনকে গ্রেপ্তার ছাড়াও তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।  এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' নামে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। 
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

স্বামীকে দুলাভাই পরিচয় দেওয়া সেই মিম রিমান্ডে
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) ও তার স্বামী ওবাইদুল্লাহের (৩৬) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে পাবনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিজের স্বামীকে অন্য মানুষের কাছে দুলাভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে প্রতারণা করতেন মিম। গ্রেপ্তারকৃত মিম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরাতন মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে এবং তার স্বামী ওবাইদুল্লা একই এলাকার মৃত মাওলানা কেসমত উল্লাহর ছেলে। মিম পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি। এর আগে, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাজধানীর শাহজানপুরে বসবাস করেন। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মামলার এজাহারে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে তার পরিচয়। এর কিছুদিন পর ওবাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। পরবর্তীতে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটে ব্যবসার কথা বলে ও সেই ব্যবসায়ী অংশীদার রাখার আশ্বাসে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। গেলো বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার কাছ থেকে উল্লেখিত টাকা ধার নেন তারা। তিনি বলেন, বিশ্বাসের কারণে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। মনিরুজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি দুলাভাই বলে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবাইদুল্লাহ। তারা দু’জন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমনটা করেছে। উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে আমি পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করি। আশা করছি, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার পাবো। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারণার মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি কোন দল করেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। এজাহারভুক্ত আসামি এটাই তার বড় পরিচয়। আসামির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮

বিআরডিবি কর্মকর্তা মুকুল হত্যা : ৬ আসামির জামিন না মঞ্জুর
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির কর্মকর্তা হুমায়ন কবির মুকুল হত্যা মামলার ৬ আসামির জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম জানান, দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবি কর্মকর্তা হুমায়ন কবির মুকুল হত্যা আসামি সাহাব উদ্দিন (৩৫), আব্দুল মালেক (৬০) জাহাঙ্গীর (৫৫) সবুজ (৩৮) রায়হান (২৬) রুবেল (৩৮) আদালতে জামিন আবেদন করেন। এরপর বিচারক দুপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।   মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত মুকুল (২৩) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের নোয়াখালী সেনবাগের মাঠ সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত ওমর ও মামলার অপর আসামিরা এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারি। তাদের মাদক কারবারে ভিকটিম বাধা দেওয়ায় ভিকটিমের প্রতি আসামিদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।  মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর সকালে আসামি কালাম ভিকটিমকে প্রকাশ্য বাজারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে একই দিন বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার সাহেবের হাট বাজারে মুকুলের উপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে মুকুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গত ৬ অক্টোবর নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৩

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের জামিন মঞ্জুর
বিভিন্ন থানায় করা পৃথক ৯ মামলায় অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামির পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত সাত মামলায় এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত দুই মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী থেকে মঞ্জুরুল আলম শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে রোববার দুপুরে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানকে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। সিআইডির তথ্যমতে, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে ওই বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয়।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়