• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি রমজানে কতগুলো ইফতার পার্টি করেছে তা গণনার জন্য সরকার লোক নিয়োগ করেছে। বিএনপি রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে ইফতার মাহফিলে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়।  ‘বিএনপি রমজানে এক হাজার ইফতার পার্টি করেছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জাবাবে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ-খুশি। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি। উন্নত মানের খাবার কেনার সঙ্গতি ছিল না। অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করছে দেশের মানুষ। অথচ, আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের আনন্দের শেষ নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। হতাহত হয়ে মৃত্যু শোক যেন ঈদের খুশির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মরলেও সেতুমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব ও বাকি মন্ত্রীদের মনে স্বস্তি থাকলেও সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি নেই। রিজভী বলেন, বিএনপির জনগণের স্বার্থের দিকে দৃষ্টি দেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। তাদেরকে এতো নিপিড়ন ও নির্যাতন করার পরেও তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতই নির্যাতন ও হুমকি আসুক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে আছে এবং থাকবে।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয় : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্রসংগঠন। ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এই কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে।   তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দখলদারিত্ব শুরু হয়। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শ বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।  তিনি বলেন, জিয়ার আমলে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন করেন। এর প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যহত করে। এই নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বোঝেন না যে এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবেন। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগবিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছেন এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ও অভিন্ন বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা হলো ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। আর ইতিহাসের বিরুদ্ধে যে জাতি বা গোষ্ঠী অবস্থান নেয়, তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশের মূল চেতনা হতে বিচ্ছিন্ন ইতিহাসবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিলুপ্তির পথে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়