• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চোখের সমস্যা ও সাকিবের ফিটনেস নিয়ে যা জানালেন কোচ সোহেল 
বিপিএলে চোখের সমস্যা ভালো ভাবেই ভুগিয়েছে সাকিবকে। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে ফিট করতে ডিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। সাকিবের চোখের সমস্যা এবং ফিটনেস নিয়ে কথা বলেছেন শেখ জামালের কোচ সোহেল ইসলাম। সাকিবের চোখে সমস্যা নিয়ে সোহেল ইসলাম বলেন, সে যতটুকু খেলেছে আমার তো মনে হলো তার চোখে কোন সমস্যা নেই। তার ব্যাটিং এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তো ঠিক-ই আছে সব। চোখে নিয়ে সে এখন চিন্তিত না। সে প্রস্তুত হচ্ছে এখান থেকে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে যত দ্রুত ফিরতে পারে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য সাকিব কতটুকু ফিট তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে সাকিব চাইলেই ফিট হয়ে উঠবেন বলেন মনে করেন এই কোচ। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই সে মাঠের বাইরে। ম্যাচ ফিটনেস আসলে ম্যাচ খেলে খেলেই প্রমাণ করতে হয়। যেহেতু সামনে এনসিএল কিংবা বিসিএলের কোন খেলা নেই, তাই তাকে টেস্ট খেলতে হবে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হওয়ায় সে জানে লঙ্গার ক্রিকেট খেলতে কেমন ফিটনেস প্রয়োজন।  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ড শেষ। এর মাঝে সবগুলো ম্যাচেই বেশ ভালোভাবে জয় তুলে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন রেসে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু এতোদিন তারা মাঠে পায়নি তাদের সবচেয়ে বড় তারকার সার্ভিস। কারণ, ব্যক্তিগত কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি ডিপিএল থেকেও এতোদিন দূরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ পুরোটা সময় নিজের নির্বাচনী এলাকায় নানা কাজ, সংসদ অধিবেশন, বিজ্ঞাপনী কমিটমেন্ট এবং পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার পর ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করেছে সাকিব। সেখানে টেস্ট খেলতে বিসিবি বসের অনুমতি চেয়েছেন তিনি।  তাই ধারণা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন টাইগার পোস্টারবয়। সিলেট টেস্ট শেষ হতে ডিপিএলে আরও কয়েক রাউন্ড ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন সাকিব। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং
ভারত বিশ্বকাপে ফিল্ডিং দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশটি কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এবার পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কা মারতে না পারায় বাবর-রিজওয়ানদের ফিটনেস নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার আগে ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ ফিট করতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে পিসিবি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইসলামাবাদের একটা হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ কালে এই ঘোষণা দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভী। আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কুকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেবেন বাবর-রিজওয়ানরা। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পিসিবি। সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং নিয়ে নাকভী বলেন, আমি যখন লাহোরে খেলা দেখছিলাম, আমার মনে হয় না তোমাদের মধ্যে (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) কেউ গ্যালারিতে ছক্কা মেরেছো। যখনই এরকম কোনো ছক্কা মারা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় মেরেছে। আমি বোর্ডকে বলছিলাম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য একটা পরিকল্পনা করতে। তোমাদের সবাইকে যথাযথভাবে চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি অবাক হয়েছি এটা ভেবে, ‘কখন আমরা প্রস্তুতি নিব?’ কোনো সময়ই নেই। যাইহোক, আমরা একটা সময় খুঁজে পেয়েছি।  ‘সেই সময়টাতে আমরা কুকুল (মিলিটারি অ্যাকাডেমি) একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছি মার্চের ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৮ তারিখ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তোমাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে এবং আশা করি তারা তোমাদের উপকার করবেন।’ এর আগে ২০১৬ সালে মিসবাহ উল হক অধিনায়ক থাকাকালীন একবার কুকুলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। সেবার ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের বিপক্ষে ২-২ এ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল দলটি। জাতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে নাকভি বলেন, আমি তোমাদের শতভাগ সমর্থন দেব। কিন্তু তোমাদের বলব, পাকিস্তানকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে এবং টি-টোয়েন্টি লিগকে পরে প্রাধান্য দিতে। যখন দেশের আগে টাকা প্রাধান্য পায়, এটা আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আর তোমরা যদি তাইই করো, তবে আমাদের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৩

দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই
দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির দাবি, বাসকর্মী-শ্রমিকেরা মনে করেন— দেশের ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স-টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই। মূলত বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করে টিআইবি। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।  প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক রয়েছে। তবে প্রায় ৪১ দশমিক বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৪

দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই
দেশের সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি জানায়, প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও ৩ ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকরা দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি। এতে বলা হয়েছে, ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ সিটি সার্ভিস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস সার্ভিস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক বলছে, তাদের কোম্পানি ভাড়ার বিপরীতে কোনো টিকেট দেয় না। ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস কোম্পানিতে টিকিট বাতিল ও মূল্য ফেরতের কোনো নীতিমালা নেই। এতে আরও বলা হয়, সিটি সার্ভিসের ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকদের মতে তাদের কোম্পানির বাস নিয়ম অনুযায়ী, বাসের টায়ার, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি পরিবর্তন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ সিটি বাস সার্ভিসের কর্মীদের মতে তাদের বাদ নকশা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী বাস যাত্রী যাত্রাপথে কোনো না কোনো সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বা হতে দেখেছেন। ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী সহযাত্রী দ্বারা, ৬৪ দশমিক ৩ হেলপার দ্বারা, ৪০ দশমিক ৬ কন্ডাকটর দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এতে বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মনে করেন।  টিআইবি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে বিআরটিএর প্রকাশিত তথ্যের গরমিলের  দাবি করেছে। বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২ জন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পরিবহন শ্রমিকদের খারাপ আচরণ বা যৌন হয়রানির শিকার হলে ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী কোনো অভিযোগ করেননি। ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী বলছেন, অভিযোগ জানানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়