• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শুভ্রদেবের বিস্ফোরক মন্তব্যের জবাবে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ
শুভ্রদেবের একুশে পদকপ্রাপ্তির খবর প্রকাশের পর থেকে প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি জবাব চলছে। প্রথমে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন প্রিন্স মাহমুদ। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দেন শুভ্রদেব। ফেসবুকের মাধ্যমে এবার আবার তার জবাব দিলেন প্রিন্স মাহমুদ। প্রিন্স মাহমুদ প্রসঙ্গে শুভ্রদেব বলেছিলেন, তিনি (প্রিন্স মাহমুদ) তো আমার গানের জন্য বাসায় এসে বসে থাকতেন। কদিন আগেও তিনি আমাকে গানের জন্য ফোন করেছেন।’ শুভ্রদেবের এমন বক্তব্যের পর বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আবার পোস্ট দিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ক্ষুদ্র মানুষ কিন্তু মিথ্যা বলিনা। তিনি সত্য গোপন করছেন। কিছুদিন আগে কেন আমি তাকে ২৫ বছরে ফোন করি নাই। ভদ্রলোকের বাসা যে পল্লবী এটা জানতাম না। সবসময় সবার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। অতি নিকটজন না হলে আড্ডায় বসি না কোথাও গিয়ে বসে থাকা তো দূর। পুরনো দিনে গানের যোগাযোগ সব স্টুডিওতে হতো। কাজ শেষ হলে এক মুহূর্ত স্টুডিওতে আড্ডা দেই নাই ।  নিজের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রিন্স মাহমুদ আরও লিখেছেন, আমার কাছে সব শিল্পী এক। সংগীতের শপথ, আমার কারও ওপর কোনো রাগ নাই। আমি শুধু দু–একটা অসংগতি–অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছি। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এর আগে শুভ্রদেব তার বক্তব্যে বলেছিলেন, প্রিন্স মাহমুদ ক্যারিয়ারের দিক থেকে আমার অনেক জুনিয়র। ও (প্রিন্স মাহমুদ) আমার পল্লবীর বাসায় এসে বসে থাকত আমাকে দিয়ে গাওয়ানোর জন্য। ও একটা মিক্সড অ্যালবামে গান করার জন্য অনেক দিন গিয়ে বসে ছিল। আমি মিক্সড অ্যালবামে গান করব না। কারণ, তখন সলো অ্যালবামে আমি সবচেয়ে বেশি টাকা নিতাম। তারপরও আমার খারাপ লাগল, অনেক ইয়াং একটা ছেলে। চলতি বছর সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্রদেব। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘একুশে পদক ২০২৪’-এর মনোনীত ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এবারের একুশে পদক যেদিন ঘোষণা করা হয়, সেদিন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, দেশের সংগীতে শুভ্রদেবের অবদান আছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি অবদান লাকী আখান্দ্‌, আইয়ুব বাচ্চু, ফুয়াদ নাসের বাবু, নকীব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল হক, মাহফুজ আনাম জেমস এবং প্রিয় গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও শহীদ মাহমুদ জঙ্গির। প্রিয় শুভ্রদেবের উচিত এই প্রসঙ্গে কথা বলা। নিজে পদক না গ্রহণ করে সত্যিকার মেধাবীকে পদক দিতে বলার এই সংস্কৃতি এখনই শুরু হোক।  তবে প্রিন্স মাহমুদের এসব কথাকে একেবারে আমলে নেননি শুভ্রদেব। তিনি পাল্টা বলেছেন, আজকে যদি সৈয়দ আব্দুল হাদী, রুনা লায়লার মতো শিল্পীরা কিছু বলতেন, তাহলে হয়তো আমি ভাবতাম। জুনিয়ররা অনেকে অনেক কিছু বলে ফেলে, আমি এগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখি। আমার মনে হয়, তিনি কারও ইন্ধনে এমন কথা বলেছেন। নইলে এমন কথা কীভাবে তিনি বলেন! যারা সমালোচনা করছেন, তারা তো আমার লেভেলের (সমসাময়িক) না। তিনি (প্রিন্স মাহমুদ) তো আমার গানের জন্য বাসায় এসে বসে থাকতেন। কদিন আগেও তিনি আমাকে গানের জন্য ফোন করেছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

প্রিন্স মাহমুদ আমার লেভেলের না : শুভ্রদেব
সংগীতে আবদান রাখার জন্য সংগীতশিল্পী শুভ্রদেবকে ২০২৪ সালে একুশে পদক পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। তবে শুভ্রদেবকে এই সম্মান দেওয়ায় সমালোচনা করছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন সংগীতজ্ঞ প্রিন্স মাহমুদ। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমালোচনা করে শুভ্রদেবকে একুশে পদক ফিরিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে শুভ্রদেব মনে করেন, এই পুরস্কার  তার অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। আর একুশে পদক নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ যে পরামর্শ দিয়েছেন সে বিষয়ে শুভ্রদেব দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বলছেন বলেন, প্রিন্স মাহমুদ কাজের ক্ষেত্রে আমার অনেক ছোট। একটা সময় গান নেওয়ার জন্য সে আমার পল্লবীর বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকত। সেগুলো বলতে চাই না। সে তো আমাদের লেভেলের কেউ না। আমি তাদেরই গণ্য করবো যাদের বিশ্বসংগীতে অনেক বেশি কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। যারা সমালোচনা করছে তারা জেলাসের জায়গা থেকে সমালোচনা করছে। এগুলো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। শুভ্রদেব আরও  বলেন, সংগীত হল গুরুমুখী বিদ্যা। এটা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। কিন্তু আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যা দিয়েছি এমনটা খুব কম শিল্পীর কন্ট্রিবিউশন আছে। শুধু গান গাইলেই হয় না। আমি যদি বলি, বাংলাদেশের কোন সংগীতশিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন শিল্পী থিম সং করেছে তাহলে আপনি কিন্তু কারো নাম বলতে পারবেন না। দেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে বলিউডের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে আমন্ত্রণ পেয়েছি। এগুলো হয়েছে ১০-১৫ বছর আগে। এছাড়া মাত্র ১২ বছর বছর বয়সে আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। মাদার তেরেসাসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছি। এজন্য যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানে, তারা বেশিরভাগই বলেছেন, এই পদক অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩০

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স
কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স কারাগার থেকে বের হয়ে সরাসরি কলাবাগানের বাসভবনে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, প্রিন্সকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়